সংস্কৃত বর্ণমালা হতে সকল স্বরবর্ণ, স্বরবর্ণের চিহ্ন ও প্রয়োগ, ব্যঞ্জন বর্ণ, তুলে ধরা হল । সংস্কৃত বর্ণমালা যেমন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ – সংস্কৃত অ আ ক, খ বর্ণমালা– sanskrit alphabet – sanskrit barnamala pdf প্রভৃতি সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত করা হল ।
সংস্কৃত ভাষার বর্ণমালা pdf সংস্কৃত বর্ণমালা যুক্তাক্ষর সংস্কৃত অক্ষর sanskrit অ আ ক খ বর্ণমালা ব্যঞ্জনবর্ণ sanskrit alphabet pdf
বর্ণ | ভাষার মূল উপাদান |
বর্ণমালা | বর্ণের সমষ্টি |
বর্ণ কয় প্রকার | (ক) স্বরবর্ণ (খ) ব্যঞ্জনবর্ণ |
বর্ণ কয়টি | স্বরবর্ণ ১৪ টি, ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৫ টি |
সংস্কৃত বর্ণমালা সঙ্গে বাংলা বর্ণ মালা (পিডিএফ)
বর্ণ – ভাষার মূল উপাদান হল বর্ণ। বর্ণের সমষ্টিকে বলে বর্ণমালা।
- পদ প্রকরণ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন 👈
বর্ণ দুই প্রকার –
- (ক) স্বরবর্ণ।
- (খ) ব্যঞ্জনবর্ণ।
(ক) স্বরবর্ণ
‘স্বয়ং রাজন্তে‘ ইতি ‘স্বরাঃ‘। যে বর্ণগুলির অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হয় , সেগুলিকে স্বরবর্ণ বলে।
স্বরবর্ণ ১৪ টি
अ | आ | इ | ई | उ | ऊ | ऋ |
অ | আ | ই | ঈ | উ | ঊ | ঋ |
ऋॄ | ऌ | ए | ऐ | ओ | औ | |
ঋ্ৃ | ৯ | এ | ঐ | ও | ঔ |
স্বরবর্ণ তিন প্রকার, যথা-
১) হ্রস্বস্বর-
अ | इ | उ | ऋ | ऌ |
অ | ই | উ | ঋ | ৯ |
হ্রস্বস্বরকে ‘লঘুস্বর’ বলা হয়।
২) দীর্ঘস্বর-
आ | ई | ऊ | ऋ | ऋॄ | ए | ऐ | ओ | औ |
আ | ঈ | ঊ | ঋ | ঋ্ৃ | এ | ঐ | ও | ঔ |
হ্রস্বস্বরের দীর্ঘ অবস্থা হল দীর্ঘস্বর,যথা- আ, ঈ, ঊ, ৠ, এ, ঐ, ও, ঔ। দীর্ঘস্বরকে ‘গুরুস্বর’ বলা হয়।
৩) প্লূতস্বর- দীর্ঘস্বর আরও দীর্ঘতররূপে উচ্চারণ করলে প্লূতস্বর হয়। প্লূতস্বর আটটি, যথা- আ৩, ঈ৩, ঊ৩, ৠ৩, এ৩, ঐ৩, ও৩, ঔ৩। সাধারণতঃ দীর্ঘস্বরের উত্তর ৩ সংখ্যা লিখে সেই বর্ণের প্লূতত্ব বোঝানো হয়।
বাংলা বর্ণমালা | সংস্কৃত বর্ণমালা | রোমান |
---|---|---|
অ | अ | a |
আ | आ | ā |
ই | इ | i |
ঈ | ई | ī |
উ | उ | u |
ঊ | ऊ | ū |
ঋ | ऋ | ṛ |
ঋৃ | ॠ | ṝ |
ঌ | ऌ | ḷ |
এ | ए | e |
ঐ | ऐ | ai |
ও | ओ | o |
ঔ | औ | au |
অং | अं | aṃ |
অঃ | अः | aḥ |
দেবনাগরী লিপি ও সংস্কৃত বর্ণমালা সম্পর্কে ধারণা
সংস্কৃত ভাষা ও দেবনাগরী লিপি
দেবনাগরী লিপিতে সংস্কৃত লেখার অভ্যাস করা প্রয়োজন। এর অর্থ এই নয় যে দেবনাগরী লিপিতেই একমাত্র সংস্কৃত লেখা সম্ভব। সংস্কৃত ভাষার নিজস্ব কোনো লিপি নেই। বাংলা, দেবনাগরী, ব্রাহ্মী ইত্যাদি বিভিন্ন লিপিতে সংস্কৃত লেখা হয়েছে এবং হবেও।
তবু দেবনাগরী লিপির চল প্রত্যক্ষ করেই এরূপ নির্দেশ দিচ্ছি রোমান লিপিতে ব্যবহার করে সংস্কৃত লেখারও অভ্যাস করা উচিত।
অ | আ | ই | ঈ | উ | ঊ | ঋ | ৠ | ঌ | এ | ঐ | ও | ঔ |
अ | आ | इ | ई | उ | ऊ | ऋ | ऋ | लृ | ए | ऐ | ओ | औ |
a | ā | i | ī | u | ū | ṛ | ṝ | ḷ | e | ai | o | au |
(খ) ব্যঞ্জনবর্ণ
যে বর্ণগুলির অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হয় না, সেগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে। যেমন- ‘ক্’ বর্ণকে আমরা উচ্চারণ করতে পারি না। কিন্তু ‘ক্+অ’ = ‘ক’– এই স্বরবর্ণ যুক্ত ব্যঞ্জনকে (ক) আমরা উচ্চারণ করতে পারি।
ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৫ টি। যথা-
क (ক) | ख (খ) | ग (গ) | घ (ঘ) | ङ (ঙ) | च (চ) | छ (ছ) |
ज (জ) | झ (ঝ) | ञ (ঞ) | ट (ট) | ठ (ঠ) | ड (ড) | ढ (ঢ) |
ण (ণ) | त (ত) | थ (থ) | द (দ) | ध (ধ) | न (ন) | प (প) |
फ (ফ) | ब (ব) | भ (ভ) | म (ম) | य (য) | र (র) | ल (ল) |
व (ব) | श (শ) | ष (ষ) | स (স) | ह (হ) | . ( ং) | ঃ ( ঃ) |
সংস্কৃত বর্ণমালা – ব্যঞ্জনবর্ণ বর্গ
ক-বর্গ | ক্, খ্, গ্, ঘ্, ঙ্ | क्, ख्, ग्, घ्, ङ् |
চ-বর্গ | চ্, ছ্, জ্, ঝ্, ঞ্ | च्, छ्, ज्, झ्, ञ् |
ট-বর্গ | ট্, ঠ্, ড্, ঢ্, ণ্ | ट्, ठ्, ड्, ढ्, ण् |
ত-বর্গ | ত্, থ্, দ্, ধ্, ন্ | त्, थ्, द्, ध्, न् |
প-বর্গ | প্, ফ্, ব্, ভ্, ম্ | प्, फ्, ब्, भ्, म् |
অন্তঃস্থ বর্ণ | য্, র্, ল্, ব্ | य्, र्, ल्, व्, |
উষ্ম বর্ণ | শ্, ষ্, স্, হ্ | श्, ष्, स्, ह् |
অযোগবাহ বর্ণ | ং, ঃ | ं, ः |
সংস্কৃত বর্ণমালা: ক-বর্গ
বাংলা বর্ণমালা-ক-বর্গ | সংস্কৃত বর্ণমালা ক-বর্গ | রোমান |
ক | क् | ka |
খ | ख् | kha |
গ | ग् | ga |
ঘ | घ् | gha |
ঙ | ङ् | ṅ |
সংস্কৃত বর্ণমালা: চ-বর্গ
বাংলা বর্ণমালা-চ-বর্গ | সংস্কৃত বর্ণমালা চ-বর্গ | রোমান |
চ | च | c |
ছ | छ | cha |
জ | ज | ja |
ঝ | झ | jha |
ঞ | ञ | ñ |
সংস্কৃত বর্ণমালা: ট -বর্গ
বাংলা বর্ণমালা-ট -বর্গ | সংস্কৃত বর্ণমালা ट-বর্গ | রোমান |
ট | ट | ṭ |
ঠ | ठ | ṭha |
ড | ड | ḍa |
ঢ | ढ | ḍha |
ণ | ण | ṇa |
সংস্কৃত বর্ণমালা: ত -বর্গ
বাংলা বর্ণমালা-ত -বর্গ | সংস্কৃত বর্ণমালা त-বর্গ | রোমান |
ত | त | ta |
থ | थ | tha |
দ | द | da |
ধ | ध | dha |
ন | न | na |
সংস্কৃত বর্ণমালা: প-বর্গ
বাংলা বর্ণমালা-প-বর্গ | সংস্কৃত বর্ণমালা প-বর্গ | রোমান |
প | प् | pa |
ফ্ | फ् | pha |
ব্ | ब् | ba |
ভ্ | भ् | bha |
ম্ | म् | ma |
সংস্কৃত বর্ণমালা: অন্তস্থ-বর্ণ
বাংলা বর্ণমালা-অন্তস্থ -বর্ণ | সংস্কৃত বর্ণমালা অন্তস্থ-বর্ণ | রোমান |
য | य | ya |
র | र | ra |
ল | ल | la |
ব | व | va |
সংস্কৃত বর্ণমালা: উষ্ম বর্ণ
বাংলা বর্ণমালা- উষ্ম বর্ণ | সংস্কৃত বর্ণমালা উষ্ম বর্ণ | রোমান |
শ্ | श् | śa |
ষ্ | ष् | ṣa |
স্ | स् | sa |
হ্ | ह् | ha |
সংস্কৃত বর্ণমালা: যুক্ত বর্ণ
বাংলা বর্ণমালা- যুক্ত বর্ণ | সংস্কৃত বর্ণমালা যুক্ত বর্ণ | রোমান |
ক্ষ | क्ष | kṣa |
ত্র | त्र | tra |
শ্রী | श्री | śrī |
জ্ঞ | ज्ञ | jña |
ক্ত | क्त | kta |
সংস্কৃত বর্ণমালার স্বরবর্ণের চিহ্ন ও তাদের প্রয়োগ
का | कि | की | कु | कू | कृ | के | कै | को | कौ |
ा | ि | ी | ु | ू | ृ | े | ै | ो | ौ |
কা | কি | কী | কু | কূ | কৃ | কে | কৈ | কো | কৌ |
সংস্কৃত অক্ষর অ আ ক খ লেখা Pdf Sanskrit Barnamala
সংস্কৃত ব্যাকরণের অন্যান্য পোস্টগুলি
- সংস্কৃত বর্ণমালা
- ক্রিয়ার্থোপপদস্য চ কর্মণি স্থানিন
- উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি
- যতশ্চ নির্ধারণম্
- স্পৃহেরীপ্সিতঃ (১/৪/৩৬)
- অপবর্গে তৃতীয়া(২/৩/৬)
- হেতৌ
- সাধকতমং করণম্ (১/৪/৪২)
- উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ
- শেষ: টিকা
- নিত্য সমাস
- সম্প্রদান: সংজ্ঞা
- সুত্র সহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয়
- অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তি
- সম্বদ্ধ পদ: ষষ্ঠী বিভক্তি
- অপাদান কারক ও পঞ্চমী বিভক্তি
- সমাসের পদসাধন
- সমর্থ পদবিধি-সমাস বিধায়ক সূত্র
- কর্মপ্রবচনীয়
- সমাস: অর্থ পার্থক্য
- তৃতীয়া তৎ কৃতার্থেন গুণবচনেন(তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বিধায়ক সূত্র)
- আম্রেড়িত
- অভিনিবিশশ্চ: কারক প্রকরণ
- রুচ্যর্থানাং প্রীয়মানঃ
- সম্প্রদান কারক: চতুর্থী বিভক্তি
- কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ
- বৈদিক সন্ধি
- সহযুক্তেঽপ্রধানে: করণ কারক বিধায়ক সূত্র ব্যাখ্যা
- করণ কারক: তৃতীয় বিভক্তি
- কর্ম কারক: দ্বিতীয়া বিভক্তি
- আখ্যাতোপযোগে
- ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ
- তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ (১/৪/৫০)
- কর্তৃ কারক: প্রথমা বিভক্তি
- কারক: অর্থ পার্থক্য
- বৃত্তি: সমাস প্রকরণ
- কারক প্রকরণ টিকা: অপাদান
- সংস্কৃত কারক ও বিভক্তি (সম্পূর্ণ আলোচনা)
- ণিচ্-প্রত্যয়
- কর্তা ও ক্রিয়ার সমন্বয়
- পদ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি – পদ প্রকরণ
- পরস্মৈপদবিধান সম্পর্কে আলোচনা
- মত্বর্থীয় প্রত্যয়
- দ্বিকর্মক ক্রিয়া
- অকর্মক ধাতু কখন সকর্মক ধাতু হয়?
- নিষ্টা প্রত্যয়: বর্তমানকালে ক্ত প্রত্যয়ের ব্যবহার
- সন্ প্রত্যয়
- যঙ্ প্রত্যয় ও যঙ্ প্রত্যয়ের ব্যবহার
- ঈয়সুন্, ইষ্ঠন্, তরপ্ ও তমপ্ প্রত্যয়
- আত্মনেপদবিধান সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা
- কৃৎপ্রত্যয়
- সন্ধি প্রকরণ [সংহিতা]
- সংস্কৃত স্বরসন্ধি
- সংজ্ঞা ও পরিভাষা প্রকরণ
- সংস্কৃত সমাসের উদাহরণ
- একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বোধ পরীক্ষণ
- ক্ত এবং ক্তবতু প্রত্যয়ের গঠন ব্যবহার ও প্রত্যয় দ্বারা অনুবাদ নিয়ম
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত কারক বিভক্তি সাজেশন
- বাংলা থেকে সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ
- সংস্কৃত অব্যয়ীভাব সমাস প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আলোচনা
- [Pdf] সংস্কৃত সমাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পর্ব 1
- সংস্কৃত সমাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রথম পর্ব pdf download
- অব্যয়ীভাব সমাস- দ্বিতীয় পর্ব
সংস্কৃত বর্ণমালা সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য (FAQ)
क, ख
ভাষার মূল উপাদান হল বর্ণ। বর্ণের সমষ্টিকে বলে বর্ণমালা।
১৩ টি
৩৫ টি
য র ল ব এগুলি অন্তঃস্থ বর্ণ।
যে বর্ণগুলির অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হয়।
যে বর্ণগুলির অন্য বর্ণের সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হয় না, সেগুলিকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে।
যে স্বর বর্ণ গুলি কম সময়ে উচ্চারিত হয় । যেমন অ ই ।
যে স্বর বর্ণ গুলি দীর্ঘ সময়ে উচ্চারিত হয় । যেমন আ ঈ ।