আখ্যাতোপযোগে:- আলোচ্য পাণিনীয় সূত্রটি আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণের অপাদান কারক বিধায়ক সূত্র এটি।
নিয়ম পূর্বক বিদ্যাগ্রহণ বুঝাইলে বক্তার অপাদান সংজ্ঞা হয়। উপযোগ শব্দের অর্থ হল নিয়ম পূর্বক বিদ্যা স্বীকার। ভূমিতে শয়ণ ভিক্ষাচারণ প্রভৃতি নিয়ম। সেই নিয়ম পালন পূর্বক বিদ্যাগ্রহণ বোঝালে এই সূত্র অনুসারে যে আখ্যাতা বা বক্তা তারই অপাদান সংজ্ঞা হয়ে থাকে। যেমন- উপাধ্যায়াদধীতে- এই বাক্যে উপাধ্যায়ের অপাদান সংজ্ঞা হয়েছে। ফলে অপাদানে পঞ্চমী বিভক্তি হয়েছে। এখানে অধ্যয়ন অর্থ হল পুর্বোক্ত নিয়ম পালন করে বিদ্যা স্বীকার সূত্রকার বক্তার অপাদান সংজ্ঞার বিধান দিয়েছে।
সূত্রে উপযোগ পদ গ্রহণ না করলে যেখানে নিয়মপূর্বক বিদাগ্রহণ বোঝায় না, সেখানেও অপাদান হবে। যেমন:- ‘নটস্য গাথাং শৃণোতি’ – এখানে নটের সঙ্গে গাথার অন্বয় বিবক্ষিত। গীতাদি শ্রবণে নট নিমিত্ত। সুতরাং তাতে অপাদান সংজ্ঞা যাতে না হয়, সেজন্য উপযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ভাষ্যকার অবশ্য বলেছেন- ‘উপাধ্যায়াদ্ অধীতে’- এইবাক্যে উপাধ্যায়ের মুখ হতে নিঃসৃত হয়ে শিষ্যের কর্ণে বা হৃদয়ে প্রবেশ করছে উপাধ্যায়ের উপদেশ। অতএব এইখানে বিশ্লেষ বোঝাচ্ছে। কাজেই ‘ধ্রুবমপায়েঅপাদানম্ ‘ সূত্রানুসারেই এখানে অপাদান সিদ্ধ। উপযোগ থাকুক বা না থাকুক
বক্তা অপাদান হবে এবং তা ধ্রুবমপায়েত্বপাদানম্।