স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব্যাখ্যা (বৃত্তি ব্যাখ্যা) এ দৈতোঃ ও দৌতোশ্চ ন মিথঃ সাবর্ণ্যম্।
Table of Contents
স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব্যাখ্যা (বৃত্তি ব্যাখ্যা)- এ দৈতোঃ ও দৌতোশ্চ ন মিথঃ সাবর্ণ্যম্
উৎস:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত বিরচিত সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের পূর্বার্ধে আলোচ্য দীক্ষিত বৃত্তিটি বিদ্যমান।
প্রসঙ্গ:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত অনুদিৎসবর্ণস্য চাপ্রত্যয়ঃ সূত্রের বৃত্তিতে বলেছেন- ‘এ দৈতোঃ ওদৌতোশ্চ ন মিথঃ সাবর্ণ্যম্।
বৃত্তিটির অর্থ:- এ এবং ঐকার, ও এবং ঔ পরস্পর সবর্ণ হবে না।
দীক্ষিত ব্যাখ্যা – এ দৈতোঃ ও দৌতোশ্চ ন মিথঃ সাবর্ণ্যম্
একার ও ঐকার এবং ওকার ও ঔকারের পরস্পর সবর্ণ সংজ্ঞা হবে না কেন? একার ও ঐকারের কন্ঠতালু এবং ওকার ও ঔকারের কন্ঠোষ্ঠ্য স্থান আর বিবৃত নামক আভ্যন্তর প্রযত্ন, সুতরাং এদের সবর্ণসংজ্ঞা হওয়া উচিত আর সবর্ণসংজ্ঞা হলেই একটির দ্বারা অপরটির গ্রহণ সম্ভবপর হতে পারে। তাহলে একারের বারো ও ঐকারের বারো দুটির সমষ্টি চব্বিশ এবং ওকার ও ঔকারের মিলিতভাবে চব্বিশটি ভেদ হওয়া উচিত, তা হয়না কেন?
এ জাতীয় আপত্তির উত্তরে দীক্ষিত বলেন যে, একার ঐকার বা ওকার ঔকারের সবর্ণসংজ্ঞা হবেনা। কারন, সবর্ণসংজ্ঞা হলে একারের দ্বারা ঐকারের এবং ওকারের দ্বারা ঔকারের গ্রহণ হবার ফলে ঐঔচ্ এই মাহেশ্বর সূত্রের কোনো সার্থকতা থাকেনা। একারের দ্বারা ঐকারকে এবং ওকারের দ্বারা ঔকারকে পাওয়া যেত। ঐঔচ্ সূত্রের আরম্ভের দ্বারা জ্ঞাপিত হয় যে, একার ঐকার এবং ওকার ঔকারের পরস্পর সবর্ণসংজ্ঞা হয় না।