কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের বিষয়বস্তু আলোচনা করা হল । অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক তথা অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের বিষয়বস্তু ও কাহিনী সহজভাবে উত্থাপন করা হল। অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর কাহিনী ও অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের উৎস এবং অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের রচয়িতা কে তা আলোচনা করা হয়েছে । কালিদাসের শকুন্তলা pdf download নিচে দেওয়া হল ।
অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের বিষয়বস্তু ও কাহিনীআলোচনা করো।
কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের বিষয়বস্তু
সংস্কৃত কাব্য কাননে নাট্যকার রূপে কালিদাস যেন প্রস্ফুটিত পারিজাত। তিনি তাঁর অমর সৃষ্টির দ্বারা সংস্কৃত সাহিত্য কে বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে এক সম্মানজনক প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেছেন। তাঁর রচিত তিনখানি নাটকের মধ্যে ‘ অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ‘ কালিদাসের সর্বস্বগ্রন্থ- “কালিদাসস্য সর্বস্বমভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ”। দুষ্মন্ত– শকুন্তলার প্রণয় নাটকটির বিষয়বস্তু।
কবি পরিচিতি
মহাকবি কালিদাস প্রাচীন যুগের কবি। ধ্রুপদি সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার হলেন মহাকবি কালিদাস। তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবিরূপে পরিচিত। তাঁর জীবনকাহিনী সম্পর্কে বিশেষ নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না।তিনি শিপ্রা নদীর কুলে উজ্জয়িনী নগরের কাছে বাস করতেন। সম্রাট বিক্রমাদিত্যের সভাকবি ছিলেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের উৎস
কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক-এর উৎস হল মহাভারতের আদিপর্বের (৭০-৭৪ তম অধ্যায়) শকুন্তলোপাখ্যান। অনেকে আবার এই নাটকটির উৎস হিসেবে পদ্মপুরাণের কথাও উল্লেখ করেছেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের নাট্য বৈশিষ্ট্য
- ১) নাটকটিতে মহাকবি কালিদাস ঘটনার বিন্যাস ও বর্ণনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
- ২) চতুর্থ অঙ্কে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও চতুর্থ অঙ্কে দুর্বাসার অভিশাপ কালিদাসের অভিনব সংযোজন।
- ৩) পঞ্চম অঙ্কে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার দ্বন্দ্ব ও নাট্য রসের অবদানের জন্য।
- ৪) এই নাটকটি বৈধর্ভী রীতিতে রচিত। এই নাটকে চমৎকার ছন্দ ও অলংকার ব্যবহার করা হয়েছে।
- ৫) নাটকটিতে শৃঙ্গার রস প্রাধান্য পেয়েছে।
- ৬) নাটকটিতে একই সাথে স্বর্গ ও মর্ত্য বাঁধা পড়েছে।
- ৭) রূপের মোহ,সংযম,নিষ্ঠা ও মাধুর্য্যের মাধ্যমে কিভাবে দিব্য প্রেম লাভ করা যায়,তা এখানে দেখানো হয়েছে।
- ৮) চরিত্র সৃষ্টিতে কবি অসাধারন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। অনসূয়া,প্রিয়ংবদা,গৌতমী প্রভৃতি চরিত্র কালিদাসের নিজস্ব সৃষ্টি।
- ৯) শকুন্তলার চরিত্রের ক্রমিক পরিণতি দর্শকদের অভিভূত করে।
অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের বিষয়বস্তু অঙ্ক অনুসারে আলোচনা করা হল
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম অঙ্ক
নাটকের প্রথম অঙ্কের শুরুতেই দেখা যায় দক্ষযজ্ঞ শেষ করে শিব যেমন পিনাক হাতে পলায়ন যক্ষকে অনুসরন করেছিলেন, তেমনি ধনুতে শর যোজনা করে পলায়মান হরিণকে ধাওয়া করতে করতে তপোবনে করলেন-
“মৃগানুসারিনং সাক্ষাৎ পশ্যামীব পিনাকিনম্।”
রাজা দুষ্যন্ত যখন হরিণটিকে তীর নিক্ষেপ করতে উদ্যত হলেন ঠিক সেই সময় আশ্রমের এক তাপস বৈখানস বলে উঠলেন-
“ভো ভো রাজন্!আশ্রম মৃগঃ অয়ং ন হন্তব্যঃ ন হন্তব্যঃ।”
বৈখানস রাজা দুষ্যন্তকে হরিণটিকে মারতে নিষেধ করে বলেছেন-
” ন খলু ন খলু বানঃ সন্নিপাত্যোঅয়মস্মিন্।
মৃদুনি মৃগশরীরে তুলরাশি ইব অগ্নিঃ”।।
অর্থাৎ, তুলা রাশিতে আগুন দেওয়া যেমন ঠিক নয়,তেমনি রাজার বানও মৃগ দেহে আঘাতের যোগ্য নয়। তিনি আরও বলেছিলেন রাজাদের অস্ত্র আর্তদের রক্ষা করার জন্য,নিরাপরাধকে মারার জন্য নয়।
এই অঙ্কে বৈখানস দুষ্যন্তকে চক্রবর্তী পুত্র লাভের আশীর্বাদ করেছিলেন-
“পুত্রমেবং গুণোপেতং চক্রবর্তিনম্ আপ্নুহি।’‘
এরপর তাকে কন্বের আশ্রম দেখিয়ে দিলেন। সেখানে শকুন্তলা ও তার সখীদের বার্তালাভ শুনতে পান। আর ভাবেন-“অহো মধুমাসাং দর্শনম্’। তাদের আশ্রমের কঠিন কাজে নিযুক্ত দেখে রাজা চিন্তা করলেন মহর্ষি কন্ব শকুন্তলাকে দিয়ে আশ্রমের কাজ করিয়ে ঠিক করছেন না-
” অসাধুদর্শী খলু তত্রভবান্ কাশ্যপঃ য ইমাম্ আশ্রমধর্মে নিযুক্তে।।”
সখীদের মুখে শকুন্তলার জন্ম বৃত্তান্ত জেনে রাজা জানতে পারলেন শকুন্তলা কোনো মানবীর কন্যা নয়। কারন দৈবপ্রভাব ছাড়া এইরকম আলোকসামান্যা রূপ হতে পারেনা-
“ন প্রভাতরলং জ্যোতিরূদেতি বসুধাতলাৎ”।
“চীনাংশুকামিব কেতোঃ প্রতি বাতং নিয়মানস্য”-
এই উক্তিটি প্রথম এসেছে রাজা দুষ্মন্ত করেছিলেন যখন তিনি আশ্রম থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন শকুন্তলাকে ছেড়ে দে তার মন চাইছিল না।একটি পতাকা দন্ডকে এগিয়ে নিয়ে গেলে বায়ু বলে পতাকাটি যেমন পিছনে থাকে। তেমনি রাজার দেহ আশ্রম ছেড়ে এগিয়ে চলেছে, কিন্তু তার মন পড়ে রইল সকলের কাছেই।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয় অঙ্ক
দ্বিতীয় অঙ্কে দেখা যায় বিদূষক মৃগানুসরনকারী দুষ্মন্তের সঙ্গে থেকে অনবরত পশ্চাৎ ধাবনে তার অনীহা চোখে পড়ে। কারণ বিদূষক ছিল বিশ্রামপ্রিয় এবং ভোজন প্রিয়।
তাই তিনি দুষ্যন্তকে বলেছেন-
“কিং মোদক খাদিকায়াম্? তেন হি সুগৃহীতোঅয়ং জনঃ”।
বিদূষক রাজাকে অনুরোধ করেছেন -অন্ততঃ একদিনের জন্য বিশ্রাম দিন’। শকুন্তলাকে দেখে রাজাও মৃগয়া করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজা তাই পুনরায় আশ্রমে প্রবেশের জন্য উপায় খুঁজতে বললেন বিদূষককে। এমন সময় দুজন তাপস রাজাকে আশ্রমে রাক্ষসের উপদ্রবের কথা জানিয়ে তাঁকে কয়েকদিনের জন্য থাকতে অনুরোধ করেন। ঠিক সেইসময় রাজধানী থেকে একজন বার্তাবহ এসে জানালেন যে রাজমাতা পুত্রপিণ্ডপালন উপবাসে রাজাকে কাছে পেতে চান। একদিকে তপস্বিকার্য্য – অন্যদিকে গুরুজনের আজ্ঞা। অবশেষে বিদূষককে রাজার প্রতিনিধি হিসেবে রাজধানীতে পাঠিয়ে স্বয়ং রাক্ষসবিতাড়নের কারনে আশ্রমে থেকে যান। বিদূষক রাজ-অন্তঃপুরে সব কথা প্রকাশ করে দেয়- এই ভেবে রাজা বিদূষককে শকুন্তলার প্রতি তাঁর অনুরাগের বিষয়ে যা বলেছেন তা সবই নিছক পরিহাসমাত্র বলে জানালেন। বিদূষক তাই সত্য বলে মেনে নিলেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের তৃতীয় অঙ্ক
রাজার উপস্থিতিতে রাক্ষস উপদ্রব বন্ধ হয়েছে। শকুন্তলা মদনানলে পীড়িত। তার পরিচর্যায় দুই সখী নিরত। রাজাও শকুন্তলার খোঁজে বেরিয়ে মালিনীতীরে বেতসকুঞ্জে অন্তরালে থাকলেন। অন্তরালে থেকে সখীদের কাছে বলা শকুন্তলার অন্তরের সব কথা তিনি শুনলেন। সখীরা শকুন্তলাকে রাজার কাছে প্রেমপত্র পাঠানোর কথা বললেন। শুকোদর কোমল পদ্ম পত্রে নখের আঁচড়ে শকুন্তলা প্রেমপত্র রচনা করে সখীদের পড়ে শোনানোর সময় তাদের সামনে দুষ্যন্ত আত্মপ্রকাশ করলেন। দুই সখী দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার ঘনিষ্ট আলাপের সুযোগ করে দিলেন। এইভাবে দুই সখী প্রিয়ংবদা ও অনসূয়ার সাহায্যে বেতসকুঞ্জে তাদের মিলন হল এবং তাদের গান্ধর্ব্য মতে বিবাহ হয়।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্ক
নাটকের চতুর্থ অংকের প্রথমেই বিষ্কম্ভক অংশে আমরা দেখি দুর্বাসার অভিশাপ বৃত্তান্ত– যা নাটকটিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। পতি চিন্তায় নিমগ্ন থাকার কারণে শকুন্তলা ঋষি দুর্বাসার আগমন বুঝতে পারেনি। অতিথি সৎকারে বঞ্চিত দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন- শকুন্তলা যাকে এক মনে চিন্তা করছে কেউ যদি সেই ব্যক্তিকে স্মরণ করিয়ে দেয় তাও তাকে চিনতে পারবে না। দুচোখের প্রতিষ্ঠান অবশেষে কোন বিজ্ঞান আবরণ দেখাতে পারলে রাজা শকুন্তলাকে চিনতে পারবেন এই ব্যবস্থা হয় অভিশাপের বৃত্তান্ত শকুন্তলার অগোচরে থেকে মহর্ষি কন্ব আশ্রম এ ফিরে এসেছেন তিনি অগ্নিশালায় ছন্দোময়ী বানীর দ্বারা মহর্ষি সব বৃত্তান্ত জেনেছেন এবং সানন্দে এই বিবাহ অনুমোদন করেছেন।
শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর আয়োজন শুরু হলে আসন্ন বিদায়ের চিন্তায় মহর্ষি কন্ব, দুই সখী এমন কি পশুপক্ষী ব্যাকুল হয়ে উঠেছে। বিদায় লগ্নে মহর্ষি কন্ব আশীর্বাদ প্রদান করলেন। শকুন্তলা শার্ঙ্গরব-শারদ্বত-গৌতমীর সঙ্গে রাজধানীর পথে রওনা দিলেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের পঞ্চম অঙ্ক
পঞ্চম অঙ্কে দেখা যায় অভিশাপের কারণে দুষ্মন্ত অন্তঃসত্ত্বা সহধর্মিনী শকুন্তলাকে চিনতে না পারায় গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন। শকুন্তলা রাজাকে অভিজ্ঞান -অঙ্গুরীয় দেখাতে না পেরে চারিত্রিক প্রশ্নে অপমানিত হয়। তারপর সন্তান প্রসব পর্যন্ত শকুন্তলা রাজপুরোহিতের গৃহে থাকবেন এবং সন্তান যদি রাজচক্রবর্তী লক্ষণযুক্ত হয় তবে রাজা শকুন্তলাকে পত্নী গ্রহণ করবেন। অন্যথা আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এইসময় ক্রন্দনরতা শকুন্তলাকে এক জ্যোতির্ময়ী রমণী আকাশ পথে অপ্সরাতীর্থের দিকে নিয়ে গেলেন। পুরোহিতের মুখে এই বৃত্তান্ত শুনলেন এবং শকুন্তলাকে প্রকৃতই তিনি বিবাহ করেছেন কিনা তা ভাবতে লাগলেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক
ষষ্ঠ অঙ্কে দেখা যায় এক ধীবর জালে ধরা পড়া এক মাছের পেট থেকে রাজ নামাঙ্কিত অঙ্গুরীয় পেয়ে তা বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে চোর সন্দেহে রক্ষী পুরুষদের হাতে ধৃত হয়েছে। সেই অঙ্গুরীয় রাজাকে বিচারপূর্বক দেখানো হলে অতীতের স্মৃতি মনে পড়ে এবং শকুন্তলাকে অকারণে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে ব্যথিত হন।
দুষ্মন্তের প্রমোদ উদ্যানে সমাগত শকুন্তলার মাতা মেনকার সখী সানুমতী শুনলেন রাজা অনুতাপে দগ্ধ হচ্ছেন। শকুন্তলার বিরহে উন্মাত্ত প্রায়। দুষ্যন্ত শকুন্তলার বিরহে বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ করায় বসন্তের কোকিলও নীরব থেকেছে।
এরপর অদৃশ্য অবস্থায় ইন্দ্রের সারথী মাতলি বিদূষককে তুলে নিয়ে যান। ফলে তাকে বাঁচাতে দূষ্যন্তের ক্ষত্রিয় তেজ ফিরে আসে। এই উদ্দেশ্যেই বিদূষককে অপহরণ করেছিলেন। এরপর রাজা মাতলির সঙ্গে স্বর্গের দিকে রওনা দিলেন।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের সপ্তম অঙ্ক
সপ্তম অঙ্কে দেখা যায় মাতলির সঙ্গে দুষ্যন্ত স্বর্গে আগমন করেন। পথে হেমকূটে মারীচের পবিত্র তপোবন। দুষ্যন্ত ভগবান মারীচকে শ্রদ্ধা জানাতে আশ্রমে উপস্থিত হলেন। সারথি মাতলি রাজার আগমন সংবাদ জানাতে আশ্রমের ভিতরে প্রবেশ করেন। এমন সময় সিংহ শাবকের উপর উৎপীড়নরত এক সুন্দর বালককে দেখে রাজার মনে অপত্য স্নেহ উদয় হল। তিনি দেখলেন বালক রাজচক্রবর্তী লক্ষণযুক্ত। তাপসীদের কাছ থেকে জানতে পারল শকুন্তলা বালকের মায়ের নাম এবং পিতা স্বয়ং তিনি। এই সময় মলিনবেশে ব্রতচারিনী শকুন্তলা সেখানে উপস্থিত হলেন। মারীচ মুনির আশ্রমে এক অপরূপ স্বর্গীয় প্রাকৃতিক পরিবেশেই সপুত্র শকুন্তলার সঙ্গে রাজা দুষ্যন্তের মিলন ঘটে। এরপর রাজা দুষ্যন্ত ধর্মপত্নী শকুন্তলা ও পুত্র সর্বদমনের সঙ্গে রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করলেন।
মূল্যায়ন
‘মহাভারত‘ -এর বনপর্বে উপস্থিত ‘শকুন্তলোপাখ্যান‘ -এর সংক্ষিপ্ত কাহিনীকে গ্রহন করে নিজের হৃদয়াবেগ মিশিয়ে মহাকবি কালিদাস অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকটি রচনা করেছেন। ‘ ‘ অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ‘ নাটকটি রচনা করে কবি দেহজ ও কামজ প্রেমকে স্বর্গীয় প্রেমে পরিণত করেছেন।
তাই ইউরোপের প্রসিদ্ধ কবি গ্যায়েটর ‘ অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ‘ সম্বন্ধে বলেছেন-
” কেহ যদি তরুণ বৎসরের ফুল এবং পরিণত বৎসরের ফল কেহ যদি স্বর্গ ও মর্ত্য একত্রে দেখিতে চান, তবে শকুন্তলায় তাহা পাইবেন।”
অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের রচয়িতা মহাকবি কালিদাস ।
কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক-এর উৎস হল মহাভারতের আদিপর্বের (৭০-৭৪ তম অধ্যায়) শকুন্তলোপাখ্যান।
কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলা pdf download
অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর কাহিনী পিডিএফ (Abhigyan Shakuntalam Pdf )
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের বিষয়বস্তু / কাহিনী (YouTube Video)
অভিজ্ঞান শকুন্তলা নাটক এর কাহিনী ভিডিও (YouTube Video)।
আরো পড়ুন –
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের অন্য ভাবসম্প্রসারণগুলি
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে সংস্কৃত ভাষায় ভাবসম্প্রসারণ (1-2-3)
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে সংস্কৃত ভাষায় ভাবসম্প্রসারণ (4,5,6)
আরো পড়ুন-
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক-এর অন্যান্য বিষয়গুলি –
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ছোট প্রশ্ন উত্তর ।
- MCQ TEST অভিজ্ঞানশকুন্তলম্।
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে শকুন্তলার চরিত্র বিশ্লেষণ
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের শ্লোকগুলির সংস্কৃত বাখ্যা
- 1. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (1-2)
- 2. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (3-4)
- 3. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা-(5-6)
- 4. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত বাখ্যা-(7-8)
- 5. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত বাখ্যা-(9-10)
- 6. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (11-12)