স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব্যাখ্যা (বৃত্তি ব্যাখ্যা) প্রত্যাহারেষ্বিতাং ন গ্রহণম্। (অনুনাসিক ইত্যাদি নির্দেশাৎ)।
Table of Contents
স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব্যাখ্যা (বৃত্তি ব্যাখ্যা)- প্রত্যাহারেষ্বিতাং ন গ্রহণম্
উৎস:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত বিরচিত ‘সিদ্ধান্তকৌমুদী’ গ্রন্থের পূর্বার্ধে আলোচ্য দীক্ষিত বৃত্তিটি বিদ্যমান।
প্রসঙ্গ:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত উপদেশেঅজনুনাসিক ইৎ- সূত্রের বৃত্তিতে বলেছেন- প্রত্যাহারেষ্বিতাং ন গ্রহণম্। অনুনাসিক ইত্যাদনির্দেশাৎ।
বৃত্তিটির অর্থ:- প্রত্যাহারসমূহে ইৎ সংজ্ঞক বর্ণের গ্রহণ হয় না। কারন স্বয়ং পাণিনীর অনুনাসিক ইত্যাদি প্রয়োগ আছে।
দীক্ষিত ব্যাখ্যা (বৃত্তি ব্যাখ্যা) প্রত্যাহারেষ্বিতাং ন গ্রহণম্
আদিরন্ত্যেন সহেতা- সূত্রের দ্বারা গঠিত প্রত্যাহার আদি বর্ণকে এবং আদি ও অন্ত্য বর্ণের মধ্যবর্তী সমস্ত বর্ণকে বোঝাবে। কিন্তু বাস্তবে কি তা হয়? অচ্ বলতে আমরা বুঝি অ,ই,উ,ঋ,৯,এ,ও,ঔ কিন্তু মধ্যবর্তী হলেও ণ্,ক্,ঙ্ এই বর্ণগুলিকে আমরা গ্রহণ করিনা।
অর্থাৎ প্রত্যাহারে মধ্যবর্তী ইৎসংজ্ঞক বর্ণদের গ্রহণ হয় না-এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করে দীক্ষিত বলেছেন
‘প্রত্যাহারেষু ইতাং ন গ্রহণম্’।
অর্থাৎ প্রত্যাহারে ইৎসংজ্ঞক বর্ণের গ্রহণ হবে না। যেমন- অচ্ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে ণ্,ক্,ঙ্ এই বর্ণদের সূত্রের অন্তে অবস্থান হওয়ায় তাদের হলন্ত্যম্। সূত্রে ইৎসংজ্ঞা হয়। তাই তাদের অচের দ্বারা গ্রহণ হয় না। এ বিষয়ে প্রমাণ দিতে গিয়ে দীক্ষিত বলেছেন- অনুনাসিক ইত্যাদি নির্দেশাৎ ‘ অর্থাৎ পাণিনী কোন সূত্র করে প্রত্যাহারে ইৎসংজ্ঞক বর্ণের গ্রহণ নিষেধ করেননি। তবে তিনি এমন কিছু শব্দের প্রয়োগ করেছেন যা থেকে অনুমান হয় যে প্রত্যাহারে ইৎসংজ্ঞক বর্ণের বর্জন তাঁর অভীষ্ট। যেমন- পাণিনী একাধিক সূত্রে অনুনাসিক শব্দটি ব্যবহার করেছেন। প্রত্যাহারের ইৎ সংজ্ঞক বর্ণের গ্রহণ যদি হোত, তবে এই শব্দ সিদ্ধ হতে পারত না। কারণ, তা হলে অচ্ প্রত্যাহারের ক কারেরও গ্রহণ হবে।
কারন, ঋ৯ক্ সূত্রের ক- কার অচ্ অ-কার ও চ-কারের মধ্যবর্তী। ফলে অনুনাস-ই ক অবস্থায় ক কাররূপ অচ্ পরে থাকায় ইকো যণচি সূত্রে ইকার স্থানে যকার হবে (অনুনাস্ য্ -ক) এবং লোপো ব্যোর্বলি সূত্রদ্বারা য্ কারের লোপ হলে রূপটি হবে অনুনাস্ক। কিন্তু পাণিনী ই-কারকে অবিকৃত রেখে অনুনাসিক শব্দেরই প্রয়োগ করেছেন। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে পাণিনীর মতে, ক-কার অচ্ নয়, কারন প্রত্যাহারে মধ্যবর্তী ইৎসংজ্ঞক বর্ণের গ্রহণ হয়ে না।