কৃৎপ্রত্যয় বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
কৃৎপ্রত্যয় বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
উ:- সংস্কৃত ব্যাকরণে তব্য, অনীয়, ণ্যাৎ,যৎ এবং ক্যপ্ -এই পাঁচটি কৃৎপ্রত্যয়কে একসঙ্গে কৃত্যপ্রত্যয় বলা হয়।
আদেশ, অনুরোধ, উচিত, যোগ্যতা এবং ভবিষ্যৎ অর্থে এই প্রত্যয়গুলি ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়। ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় বলে এগুলি কৃৎপ্রত্যয়ের অন্তর্গত।
i) তব্য প্রত্যয় :-
কর্ম ও ভাববাচ্যে সমস্ত ধাতুর সঙ্গে তব্য প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন- কৃ + তব্য = কর্তব্য। (করা উচিত/ করার যোগ্য ইত্যাদি অর্থ হয়। )দৃশ্ + তব্য = দ্রষ্টব্য (দেখা উচিত /দেখার যোগ্য)
ii) অনীয় প্রত্যয়:-
এই প্রত্যয় ও কর্ম ও ভাববাচ্যে সমস্ত ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়। এই প্রত্যয়ে ধাতুর শেষে অনীয় থাকে।
যেমন- গম্ + অনীয় = গমনীয় (যাওয়া উচিৎ)
কৃ+অনীয় = করনীয় (করা উচিৎ)
iii) ণ্যৎ প্রত্যয়:-
কর্ম ও ঋ-কারান্ত এবং ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর সঙ্গে ণ্যৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়।
ঋ-কারান্ত ধাতুর ক্ষেত্রে ঋ= আর্য হয়।
যেমন- কৃ+ ণ্যৎ = কার্য, ধৃ+ ণ্যৎ = ধার্য, হৃ+ ণ্যৎ = হার্য।
ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর ক্ষেত্রে শেষে যফলা (্য)
থাকে।
যেমন :- গম+ ণ্যৎ= গম্য।
লভ্+ ণ্যৎ = লভ্য।
iv) যৎ প্রত্যয় :-
কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে স্বরান্ত ও প-বর্গান্ত ধাতুর সঙ্গে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়।
যেমন :- দা + যৎ = দেয়। নী+যৎ= নেয়। স্থা+যৎ = স্থেয়, জি+যৎ = জেয়, চি + যৎ = চেয়।
প-বর্গান্ত :- গম্ + যৎ = গম্য।
লভ্ + যৎ = লভ্য।
শপ্ + যৎ = শপ্য।
v) ক্যপ্ প্রত্যয় :-
কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে কয়েকটি ধাতুর সঙ্গে এই প্রত্যয় যুক্ত হয়।
যেমন:- শাস্ + ক্যপ্ = শিষ্য। কৃ + ক্যপ্ = কৃত্য। ভৃ+ক্যপ্ = ভৃত্য। জি + ক্যপ্ = জিত্য।