পর-সামান্য – অপর সামান্য পার্থক্য লিখ ।
পর সামান্য ও অপর সামান্য পার্থক্য
উ:- বৈশেষিক সম্মত সাতটি পদার্থের অন্তর্গত চতুর্বিধ পদার্থটি হল – সামান্য। ন্যায় -বৈশেষিক দর্শন শাস্ত্রকার আচার্য অন্নংভট্ট সামান্যের লক্ষণ প্রসঙ্গে বলেছেন-
” নিত্যম্ একম্ অনেকানুগতং সামান্যম্।”
অর্থাৎ যেটি অর্থাৎ সর্বদা থাকে, এক অথচ অনেক ব্যাক্তিতে অনুগত অর্থাৎ সমবায় সম্বন্ধে থাকে তাকে সামান্য বলে। এই সামান্য দুই প্রকার। যথা- পর সামান্য এবং অপর সামান্য।
এদের পার্থক্য গুলি নিম্নরূপ-
- i) আচার্য অন্নংভট্ট পর সামান্যের লক্ষণে বলেছেন- ‘অধিকদেশবৃত্তিত্বং পরত্বম্।’ অর্থাৎ যে সামান্যটি অল্পদেশে থাকে তাকে অপর সামান্য বলে।
অপরদিকে, অপর সামান্যের লক্ষণে তিনি বলেছেন- ‘ন্যূনদেশবৃত্তিত্বমপরত্বম্’। অর্থাৎ যে সামান্যটি অল্পদেশে থাকে তাকে অপর সামান্য বলে। - ii) অনুগত ধর্মটি যখন দেখা যায় অনেকের আশ্রয়ে তা হল পর সামান্য। উদাহরণ হল সত্তা।
অপরপক্ষে অনুগত ধর্মটি অল্প স্থানে থাকলে তা হল অপর সামান্য। উদাহরণ হল ঘটত্ব। - iii) পর সামান্যে দ্রব্য, গুন এবং কর্মে সত্তা থাকে।
অপরপক্ষে অপর সামান্য ঘটে ঘটত্ব জাতি থাকে। - iv) পর সামান্যের ব্যাপ্যতা অপর সামান্যের তুলনায় অধিক।
অপরদিকে অপর সামান্যের ব্যাপ্যতা পর সামান্যের তুলনায় কম। - v) পর সামান্যের ক্ষেত্রে কোন সম্বন্ধই লক্ষ্য করা যায় না।
অন্যদিকে অপর সামান্যের ক্ষেত্রে সমবায় সম্বন্ধ লক্ষ্য করা যায়।
এটাই হল পর ও অপর সামান্যের পার্থক্য সম্বন্ধে আলোচনা।
Comments