যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা: ব‍্যবহারাধ‍্যায় – সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা-4

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -4

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -4

অভিযোগমনিস্তীর্য নৈনং প্রত‍্যভিযোজয়েৎ।
অভিযুক্তশ্চ নাণ‍্যেন নোক্তং বিপ্রকৃতিং নয়েৎ।।

বঙ্গানুবাদ

কোনো বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে সেই অভিযোগটির মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদী বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা কোনো অভিযোগ করতে পারবে না। যে ব‍্যক্তিকে একজন বাদী কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে সেই ব‍্যক্তিকে অন‍্য কেউ অন‍্য কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারবে না।

উৎস

আলোচ‍্য শ্লোকটি যোগীশ্বর যাজ্ঞবল্ক‍্য রচিত যাজ্ঞবল্ক‍্য সংহিতার ব‍্যবহারাধ‍্যায়ের অন্তর্গত অসাধারন ব‍্যবহার মাতৃকাপ্রকরণ থেকে গৃহীত হয়েছে।

প্রসঙ্গ

নোক্তং বিপ্রকৃতিং ণয়েৎ – এই উক্তিটিতে বাদীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব‍্যাখ‍্যা

যে বাদী অভিযোগের সময় যে বিষয় উপস্থাপিত করেছে ভাষাকালে অর্থাৎ লেখার সময় তার বিপরীত কিছু লেখাবে না বা বলবে না, যদিও

“প্রত‍্যর্থিনোঅগ্রতো লেখ‍্যং যথাবেদিত মর্থিনা”

বাক‍্যে এরূপ কথা বলা হয়ে গেছে তথাপি একই বিষয়েও যেন সামান‍্য কিছু পরিবর্তন করে বলা না হয়, এভাবে সতর্ক করার জন‍্য পুনরায় বললেন-

নোক্তং বিপ্রকৃতিং ণয়েৎ। প্রত‍্যর্থিণোঅগ্রতো….

– এর দৃষ্টান্তবাদী প্রথমে বলছে ঐ ব‍্যক্তি একশত টাকা বৃদ্ধির দ্বারা গ্রহণ করেছে। তারপর লেখাবার সময় লেখাচ্ছে একশত বস্ত্র বৃদ্ধির দ্বারা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রেও ভিন্ন উক্তি চলবে না। যেমন- প্রথমে বাদী বলছে একশত টাকা বৃদ্ধির দ্বারা গ্রহণ করে এই ব‍্যক্তি এখন ফেরত দিচ্ছে না। তারপর লেখাবার সময় লেখাচ্ছে এই ব‍্যক্তি একশত টাকা বলপূর্বক গ্রহণ করেছে।

অতএব, প্রত‍্যর্থিনো অগ্রতঃ – এই বাক‍্যে বস্ত্বন্তর গমন নিষিদ্ধ এবং ‘নোক্তং বিপ্রকৃতিং ণয়েৎ‘- এই বাক‍্যে পদান্তর গমন নিষিদ্ধ হওয়ায় পুনরুক্তি আশঙ্কা নাই।

যদিও প্রত‍্যবস্কন্দ উত্তরটি এক প্রকার প্রত‍্যভিযোগ তথাপি নিজ অপরাধ স্থালণের জন‍্য এরূপ বলা হয় বলে সেটিকে প্রত‍্যভিযোগ রূপে গ্রহণ করা হয় না।

Comments