যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা: ব‍্যবহারাধ‍্যায় – সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -3

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -3

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -3

“প্রত‍্যর্থিনোঅগ্রতো লেখ‍্যং যথাবেদিতমর্থিতা।
সমামাসতদর্ধাহর্নামজাত‍্যাদিচিহ্নিতম্।।”

উৎস

আলোচ‍্য শ্লোকটি যোগীশ্বর যাজ্ঞবল্ক‍্য রচিত যাজ্ঞবল্ক‍্য সংহিতার ব‍্যবহারাধ‍্যায়ের অন্তর্গত সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণ থেকে উদ্ধৃত হয়েছে।

প্রসঙ্গ

প্রত‍্যর্থীকে মুদ্রাকারী বা লেখ‍্য পুরুষগণের দ্বারা আনা হলে তারপর কি করতে হবে তা এই শ্লোকে বলেছেন আচার্য যাজ্ঞবল্ক‍্য।

ব‍্যাখ‍্যা

যা প্রার্থনা করা হয় তাই হল অর্থ, অর্থাৎ সাধ‍্য। সেই অর্থ যার আছে সে হল অর্থী। তার প্রতিপক্ষ হল প্রত‍্যর্থী। সেই প্রত‍্যর্থীর সম্মুখে লেখ‍্য পত্র প্রস্তুত করতে হবে। অর্থী আবেদনের সময় বা তারিখ যেভাবে জানিয়েছ তা সেই ভাবেই লিখতে হবে। কোনোভাবেই তার অন‍্যথা করা যাবে না। যদি লেখার সময় অন‍্য প্রকার কিছু লেখা হয় তা হলে ব‍্যবহার ভঙ্গ হবার আশঙ্খা থাকে। কারণ সেক্ষেত্রে অর্থী অন‍্যবাদী হওয়ায় ব‍্যবহারে হীন বা অপকৃষ্ট বলে গণ‍্য হয়।

আচার্য নারদের মতে হীন বা অপকৃষ্ট বাদী পাঁচ প্রকার। যথা:-
i) অন‍্যবাদী, ii) ক্রিয়াদ্বেষী, iii) নোপস্থাতা, iv) নিরুত্তর, v) আহূত প্রপলায়ী।
এই প্রসঙ্গে যোগীশ্বর যাজ্ঞবল্ক‍্য বলেছেন-

” অন‍্যবাদী কার্যদ্বেষী নোপস্থাতা নিরুত্তরঃ।
আহূতঃ প্রপলায়ী চ হীনঃ পঞ্চবিধঃ স্মৃতঃ।।”

লেখ‍্য পত্রে অর্থী ও প্রত‍্যর্থীর নাম, গোত্র, জাতি ইত‍্যাদি এবং অভিযোগ দিবসের বৎসর, মাস, পক্ষ, তিথি, বার প্রভৃতি চিহ্নিত করতে হবে।

Comments