যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা: ব‍্যবহারাধ‍্যায় – সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা-8

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -8

যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতা ব‍্যবহারাধ‍্যায় সাধারন ব‍্যবহার মাতৃকা প্রকরণম্ ব‍্যাখ‍্যা -8

বিভজেরন্ সুতাঃ পিত্রোরূর্ধ্বং রিক্থমৃণং সমম্।
মাতুর্দুহিতরঃ শেষমৃণাং তাভ‍্য ঋতেঅন্নয়ঃ।।

অনুবাদ:-

মাতা পিতার মৃত্যুর পর পুত্রগন পৈত্রিক ধন ও ঋণ সমানভাবে ভাগ করে নেবে। মাতার ঋন পরিশোধ করার পর অবশিষ্ট ধন কন‍্যাগণ সমান অংশে ভাগ করে নেবে। কন্যা না থাকলে মাতার বংশধর পুত্র পৌত্র প্রভৃতি ঋণ অবশিষ্ট ধন ভাগ করে নেবে।

উৎস / প্রসঙ্গ

আচার্য যাজ্ঞবল্ক‍্য রচিত যাজ্ঞবল্ক‍্যসংহিতার ব‍্যবহারাধ‍্যায়ে দায়ভাগ প্রকরণ থেকে আলোচ‍্য শ্লোকটি গ্রহণ করা হয়েছে।

ব‍্যাখ‍্যা

পিতা মাতার মৃত্যুর পর ধন বিভাগের বিধি বর্ণনা প্রসঙ্গে যাজ্ঞবল্ক‍্য মহাশয় আলোচ‍্য প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছেন।

পিতা মাতার প্রয়াণের পর পুত্রেরা পিতৃধন সমান ভাগে ভাগ করে নেবে। ধনের সঙ্গে পুত্রদের পিতার ঋণের দায়ও সমান ভাগে ভাগ করতে হবে। কিন্তু মাতৃধন পুত্রেরা পাবে না। মায়ের মৃত‍্যুর পর ওই ধন থেকে যদি মায়ের কিছু ঋণ থাকে তবে তা পরিশোধ করা হবে। অবশিষ্ট মাতৃধন কন‍্যারা পাবে। কন‍্যাগনের মধ‍্যে বিভাগের নিয়ম গৌতম স্মৃতিতে পরিলক্ষিত হয়- “স্ত্রীধনং দুহিতৃৃৃণাম্ অপ্রত্তাণাম্ অপ্রতিষ্ঠিতানাম্ চ”। অর্থাৎ মাতৃধন অবিবাহিতা কন‍্যারাই পাবে। আবার অবিবাহিতাদের মধ্যে যারা অপ্রতিষ্ঠিতা তারাই মাতৃধন পাবে। কন্যার অভাবে মাতৃধন পুত্রগন গ্রহণ করবে। আচার্য অপরার্কের মতে কন‍্যার অভাবে দৌহিত্রী থাকলে সে ঐ ধন পাবে।

আচার্য মনুর মতে জ‍্যেষ্ঠপুত্র পিতৃধনের একমাত্র অধিকারী এবং অন‍্যান‍্য পুত্রগন পিতার মতো জ‍্যেষ্ঠ ভ্রাতার উপর নির্ভর করে জীবন ধারন করবে।

কোন কোন দেশে জ্যৈষ্ঠ পুত্রকে পিতার সোনা গরু রথ ইত্যাদি দেওয়ার প্রথাও দেখা যায়। কিন্তু এরূপ বিষম বিভাগ আচার বিরুদ্ধ ও শ্রুতিবিরুদ্ধ হওয়ায় সর্বগ্রাহ‍্য নয়। তাই সমান অংশে বা সমবিভাগের নিয়ম করার কথা বলা হয়েছে।

Comments