কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ

কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ(১/৪/৪৯) সুত্র ব্যাখ্যা ।

কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ

আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে কর্ম কারক বিধায়ক সূত্র এটি। এই সূত্রটির সাধারন অর্থ হল ক্রিয়া সম্পাদনে কর্তার যেটি অধিক ইপ্সিত বস্তু তাতে কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়।এটি কারকের অধিকার সূত্রের অন্তর্গত হওয়ায় এখানে কারক পদটির অনুবৃত্তি হবে।

ফলে সম্পূর্ণ সূত্রটি হবে- ‘কর্তুরীপ্সিততমং কর্ম’। ইপ্সিততম্ শব্দের অর্থ ‘আপ্ত মিশ্রমানম্’। এখানে ‘অতিশায়নে তমবিষ্টনৌ ‘- এই সূত্রানুসারে তমপ্ প্রত‍্যয় হয়েছে।

তাই দীক্ষিত মহাশয় তাঁর টীকায় বলেছেন-

“কর্তুঃ ক্রিয়য়া আপ্তুমিষ্টতমং কারকং কর্মসংজ্ঞং স‍্যাৎ। ”

যদি সূত্রে কর্তুঃ পদটি প্রযুক্ত না হত তাহলে যেকোনো কারকের ইপ্সিততমই কর্ম হয়ে যেত। তা যাতে না হয় সেই জন‍্য সূত্রে কর্তুঃ পদের ব‍্যবহার হয়েছে। আবার যদি তমপ্ প্রত‍্যয় গ্রহণ না করা হত তাহলে কর্তার শুধু ইপ্সিতই কর্ম হয়ে যেত।

ফলে ‘ পয়সা ওদনং ভুঙক্তে’ – এই বাক‍্যে ভোজনকারী বালকের কাছে শুধু ওদন নয়, পয়ঃ ও ইপ্সিত হওয়ায় উভয়ের কর্মত্ব প্রাপ্ত হতো। কিন্তু পয়ঃ ভোজনকর্তার ইপ্সিততম নয়, ইপ্সিততম হল ওদন।

সুতরাং ইপ্সিত পয়ঃ তে কর্মের অপবাদের জন‍্য তমপ প্রত‍্যয় গ্রহণ হয়েছে। কারণ যদি বারণার্থক ধাতুর প্রয়োগে কর্মসংজ্ঞা হয় তাহলে- ‘বারনার্থামীপ্সিত’- সূত্রটি অর্থহীন হবে। ফলে উক্ত উদাহরণে উভয় পদেই কর্ম সংজ্ঞা হবে। তা যাতে না হয় সেই জন‍্য ‘কর্তুরীপ্সিততমং কর্ম’ সূত্রে তমপ্ প্রত‍্যয় গ্রহণ করা হয়েছে।

সংস্কৃত কারক বিভক্তির অন্যান্য পোস্টগুলি

Comments