অপবর্গে তৃতীয়া(২/৩/৬) :- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে করণ কারক বিধায়ক সূত্র এটি। সূত্রটির অর্থ হল-
“অপবর্গঃ ফলপ্রাপ্তিঃ। তস্যাং দ্যোতায়াং কালাধ্বনোরত্যন্তসংযোগে তৃতীয়া স্যাৎ।”
অর্থাৎ অপবর্গ শব্দের অর্থ হল ফলপ্রাপ্তি। ফলপ্রাপ্তি বোঝালে ব্যাপ্তির অর্থে কালবাচক ও পথের পরিমাণবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়ে থাকে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, অপবর্গ কেন? কারণ অপবর্গ না বোঝালে ব্যাপ্তির অর্থে দ্বিতীয়া হয়ে যাবে মাসবাচক ও পথবাচক শব্দের উত্তরে। ‘কালাধ্বনোরত্যন্তসংযোগে(২/৩/৫)- এই সূত্রটির পরবর্তী সূত্র ‘অপবর্গে তৃতীয়া’ (২/৩/৬) এতে অনুবৃত্তি হয়েছে। তাহলে অনুবৃত্তির দ্বারা সম্পূর্ণ সূত্রটি হল- “কালাধ্বনোরত্যন্তসংযোগে অপবর্গে তৃতীয়া” অর্থাৎ ব্যাপ্তির অর্থে কার্য সমাপ্তি ও ফল প্রাপ্তি বোঝালে কালবাচক ও পথবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হয়ে থাকে।
এর উদাহরণ হল-
- i) অহ্না অনুবাকঃ অধীতঃ।( কালবাচক)
এই বাক্যে কালবাচক অহ্না পদে অপবর্গে তৃতীয়া হয়েছে। একদিনের মধ্যেই অনুবাক অর্থাৎ বৈদিক সূক্তগুলি পঠিত হয়েছে এবং তার সম্পর্কে জ্ঞান লাভও হয়েছে। - ii) ক্রোশেন অনুবাকঃ অধীতঃ। (অধ্ববাচক)
এই বাক্যে অধ্ববাচক ক্রোশেন পদে অপবর্গে তৃতীয়া হয়েছে। এক ক্রোশের মধ্যে অনুবাক অর্থাৎ বৈদিক সূক্তগুলি পঠিত হয়েছে এবং তার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ হয়েছে।
অপবর্গ না বোঝালে ব্যাপ্তির অর্থে দ্বিতীয়া হয়ে থাকে। যেমন – মাসম্ অধীতঃ গ্রন্থঃ। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে গ্রন্থটি পঠিত হয়েছে। কিন্তু জ্ঞান লাভ হয়নি। তাই মাসম্ পদে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে। সুতরাং কার্যসমাপ্তি ও ফলপ্রাপ্তি ঘটলে মাসবাচক এবং পথবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয়া বিভক্তি হবে।
এটাই হল সূত্রকারের অভিপ্রায়।