পদ প্রকরণ pdf সাধারণ ব্যাকরণ-পদ প্রকরণ pdf ডাউনলোড করুন। পদ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ? পদ কত প্রকার ও কি কি ? বিশেষ্যপদ কাকে বলে ? সর্বনাম কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কিকি ? ক্রিয়াপদ কাকে বলে ? কয় প্রকার ও কি কি?
পদ পাঁচ প্রকার | বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় , ক্রিয়া। |
পদ কাকে বলে | সুপ্ ও তিঙ্ বিভক্তি যুক্ত শব্দকে বলা হয় পদ সুপ্ তিঙন্তং পদম্ |
শব্দ কাকে বলে | অর্থবহ ধ্বনিকে সাধারণ ভাবে শব্দ বলে |
প্রাতিপদিক কাকে বলে? | অর্থবিশিষ্ট ধ্বনি বা শব্দই প্রাতিপদিক |
পদ প্রকরণ-পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও – পদ কয় প্রকার আলোচনা করা হল ।
পদ প্রকরণ সাধারণ ব্যাকরণ – পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও ? বিশেষ্যপদ কাকে বলে ? সর্বনাম কাকে বলে? কয় প্রকার ও কিকি? ক্রিয়াপদ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি?
শব্দ কাকে বলে?
অর্থবহ ধ্বনিকে সাধারণ ভাবে শব্দ বলে । এই ধ্বনি শোনা মাত্রই কোন না পদার্থের বোধ জন্মে। অর্থাৎ শব্দ হলো কয়েকটি বর্ণের সমষ্টি যা একটি সুস্পষ্ট অর্থ প্রকাশ করে।
মহাভায্যকার পতঞ্জলি বলেছেন——
‘প্রতীতপদার্থকো লোকে ধ্বনিঃশব্দঃ।
থা- ‘গো’ শব্দ উচ্চারণ করার সাথে সাথেই গলকম্বল বিশিষ্ট প্রাণীর বোধ জন্মে। এইরূপ বৃক্ষ, লতা, মুনি প্রভৃতি অসংখ্য শব্দ। শব্দকে নাম ও বলা হয়।
প্রাতিপদিক কাকে বলে?
পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে এই শব্দকেই বলা হয়েছে প্রাতিপদিক।
প্রতিপদং গুহ্নাতি ইতি প্রাতিপদিকম্। ‘অর্থবদ ধাতুরপ্রত্যয়ঃ প্রতিপদিকম্’।
অর্থবিশিষ্ট ধ্বনি বা শব্দই প্রাতিপদিক। সংক্ষেপে সুবন্তপদের প্রকৃতিকেই বলে প্রাতিপদিক। অন্যান্য ব্যাকরণে এই প্রতিপদিককেই বলা হয়েছে নাম বা শব্দ ।
পদ কাকে বলে উদাহরণ দাও
ভাষায় সরাসরি কোন শব্দকে ব্যবহার করা যায় না। এইজন্য শব্দকে সুপ্ অথবা তি প্রত্যয় যুক্ত করে পদে পরিণত করে বাক্যে বা ভাষায় ব্যবহার করতে হয় সুপ্ বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং তি বিভক্তি যুক্ত ধাতুকে বলে পদ ।
সুতরাং সুপ্ ও তিঙ্ বিভক্তি যুক্ত শব্দকে বলা হয় পদ । এই পদ মূলতঃ দুই প্রকার সুবন্ত পদ (নামপদ) এবং তিঙন্ত পদ ( ক্রিয়াপদ) । নামপদের অন্তর্ভুক্ত বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় এবং তিঙন্তের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ক্রিয়া।
‘নাপদং শাস্ত্রে প্রযুজ্ঞীতে — যা পদ নয় শাস্ত্রে অর্থাৎ ভাষায় তা প্রয়োগ করা যায় না। সুপ বিভক্তি সাতপ্রকারের ১মা, ৪থ, ৫মী, ৬ষ্টী ও ৭মী। বিভক্তি গুলি আবার একবচন, দ্বিবচন ও বহুবচন ভেদে তিন প্রকার হেতু মোট একুশটি। ‘সংখ্যা কারক বোধয়িত্রী বিভক্তিঃ – সংখ্যা, কারক ও সম্বন্ধ বোঝাতে বিভক্তি গুলি প্রযুক্ত হয়।
পদ কয় প্রকার ও কি কি ?
পদ পাঁচ প্রকার – বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় , ক্রিয়া।
বিশেষ্য পদ কাকে বলে ?
গুণাদিভিস্তু যদ্ভেদ্যং তদ্বিশেষ্যমুদাহৃতম্
অর্থাৎ যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি,গুণ, অবস্থা ও ক্রিয়ার বোধ জন্মায় তাকে বলে বিশেষ্যপদ।
যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, জাতি গুণ অথবা ক্রিয়ার প্রতীতি তাকে বিশেষ্য বলে ‘গুণাদিভিস্তুং যদ্ভেদ্যং তদবিশেষ্য মুদাহৃতম।’ – শ্রীকৃষ্ণঃ, ঘটঃ, মনুষ্যঃ, ধৈর্যম্, গমনম্ ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ কয় প্রকার ও কিকি?
এই বিশেষ্য পদ আট প্রকার
বিশেষ্য পদের প্রকারভেদ | বিশেষ্য পদের উদাহরণ |
---|---|
১) সংজ্ঞাবাচক | রাম, শ্যাম, সীতা |
২) বস্তুবাচক | পুস্তক, টিভি, ফোন |
৩) স্থানবাচক | কলিকাতা, দিল্লি, |
৪) জাতিবাচক | মনুষ্য,গৌ,নারী |
৫) গুণবাচক | দয়া,ক্ষমা, ঘৃণা |
৬) অবস্থাবাচক | যৌনবম্,দারিদ্রম্, |
৭) ক্রিয়াবাচক | গমনম্, ভোজনম্, দর্শনম্ |
৮) কালবাচক | গ্রীষ্মকালঃ, শীতকালঃ |
( বস্তুতঃ সকল বিশেষ্যপদ ই সংজ্ঞাবাচক হয় , এবং পরে সেটি বস্তুবাচক, জাতিবাচক,গুণবাচক ইত্যাদি বিভাগানুসারে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়)
বিশেষণ পদ কাকে বলে ?
বিশেষ্যতে অনেনেতি বিশেষণম্যে –
পদের দ্বারা বিশেষ্যের দোষগুণাদি প্রকাশিত হয় তাকে বলা হয় বিশেষণ।
যে পদের দ্বারা বিশেষ্যের দোষ, গুণ, অবস্থার বোধ জন্মে তাকে বিশেষণপদ বলা হয়। বিশেষণ সাধারণতঃ বাক্যে বিশেষ্য পদের পূর্বে ব্যবহৃত হলেও সংস্কৃত ভাষায় কোন নিয়ম নেই অর্থাৎ পদটি বিশেষ্যের পূর্বে অথবা পরেও বসতে এত বাক্যের অর্থ সঙ্গতি ব্যাহত হয় না।
বাংলা ভাষায় লিঙ্গ, বিভক্তি করে বিশেষণের তারতম্য না হলেও সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ্য পদের যে লিঙ্গ যে বিভক্তি এবং যে বচন হয়, বিশেষণ পদেরও সেই লিঙ্গ, সেই বিভক্তি ও বচন হবে।
যথা— ধার্মিকঃ নরঃ, ধার্মিকৌ নরৌ, ধার্মিকাঃ নরাঃ। নূতনঃ গ্ৰন্থঃ, নূতনং পুস্তকম্, পুষ্পিত বৃক্ষঃ, পুষ্পিতা লতা ইত্যাদি। এজন্য বলা হয়েছে—
বিশেষ্যস্য হি যল্লিঙ্গং বিভক্তি বচনে চ মে
তানি সর্বাণি যোজ্যানি বিশেষণপদেষ্বপি ।।
বিশেষণ পদ কয় প্রকার ও কিকি?
এই বিশেষণ পাঁচ প্রকার প্রকার
- ১) বিশেষ্যের বিশেষণ,
- ২) বিশেষণের বিশেষণ,
- ৩) ক্রিয়ার বিশেষণ
- ৪) অব্যয়ের বিশেষণ
- ৫) সর্বনামের বিশেষণ
১) বিশেষ্যের বিশেষণ
যে পদের দ্বারা বিশেষ্যের দোষগুণাদি প্রকাশিত হয়,সেটি বিশেষ্যের বিশেষণ।
যথা = সুশীলঃ বালকঃ এখানে বালকটি বিশেষ্যপদ , বালকটি কেমন ?? বালকটি সুশীল এখানে সুশীল হচ্ছে বালকের বিশেষণ, তাই এটি বিশেষ্যের বিশেষণ। আবার কখনো কখনো সর্বনাম বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়,
যথা “সঃ উত্তমঃ” “এষা উত্তমা” ইত্যাদি। মূলতঃ সর্বনাম বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু প্রয়োগানুসারে বিশেষ্যরূপেও প্রযুক্ত হয়।
( উল্লেখ্যঃ বিশেষণের বিশেষণ, অব্যয়ের বিশেষণ,এবং ক্রিয়ার বিশেষণ হচ্ছে ক্লীব লিঙ্গে এবং একবচনে ব্যবহৃত হয়।। )
২) বিশেষণের বিশেষণ
যে পদের মাধ্যমে বিশেষণ বিশেষিত হয়, তাকে বলে বিশেষ্যের বিশেষণ।
যথা “অত্যন্তম্ মধুরম্ বাক্যম্” এখানে বাক্য হচ্ছে বিশেষ্যপদ, বাক্যটি কেমন ? মধুর। কেমন মধুর? উঃ= অত্যন্তম্ মধুরম্। এখানে বাক্যম্ এর বিশেষণ মধুরম্, মধুরম্ এর বিশেষণ অত্যন্তম্। এখানে অত্যন্তম্ হচ্ছে বিশেষণের বিশেষণ।।
৩) ক্রিয়ার বিশেষণ
যে পদের দ্বারা ক্রিয়ার অবস্থা বর্ণিত হয়, তাকে ক্রিয়ার বিশেষণ বলে।
যথা –সঃ উত্তমম্ গায়তি এখানে সে কেমন গান করে ভাল গান করে, তাই ভাল এর পর্যায়বাচী উত্তম পদটি গায়তি ক্রিয়ার বিশেষণ। উল্লেখ্য কিছু কিছু অব্যয় ও ক্রিয়ার বিশেষণরূপে প্রযুক্ত হতে পারে, যথা =সঃ শনৈঃ শনৈঃ গচ্ছতি এখানে সে কেমন যাচ্ছে ??
উঃ= ধীরে ধীরে । এখানে “শনৈঃ শনৈঃ” অর্থাৎ ধীরে ধীরে পদটি গমন ক্রিয়ার বিশেষণ।
ক্রিয়াবিশেষণানাং কর্মত্বম্ একত্বম্ নপুংসকত্বম্ চ –
৪) অব্যয়ের বিশেষণ
যে সকল পদের দ্বারা অব্যয়ের অবস্থা বোঝান হয়, তাকে বলে অব্যয়ের বিশেষণ।। যেমন “প্রাতঃ মনোহরম্” প্রাতঃকালটি কেমন?
উঃ= মনোহরম্ । এখানে “মনোহরম্” এই পদটি “প্রাতঃ” এই অব্যয়ের বিশেষণ।।
৫) সর্বনামের বিশেষণ
যে পদের দ্বারা সর্বনামের দোষগুণাদি প্রকাশিত হয়, তাকে বলে সর্বনামের বিশেষণ। যথা = সঃ উত্তমঃ। সা উত্তমা। তৎ সমীচিনম্।
সর্বনাম পদ কাকে বলে?
উ= যে সকল পদ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়ে বিশেষ্যের অর্থকেই দ্যোতিত করে তাকে বলে সর্বনাম ।
সর্বনাম পদ কয় প্রকার ও কিকি? উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও?
এই সর্বনাম পাঁচ প্রকার –
সর্বাদীনি সর্বনামানি
- ১)সর্বাদি।
- ২)অন্যাদি
- ৩)পূর্বাদি
- ৪)ইদমাদি
- ৫) যদাদি
অব্যয় পদ কাকে বলে?
যে সমস্ত পদ তিনটি বচন, লিঙ্গ,সকল বিভক্তি তে একইরকম থাকে অর্থাৎ যে সকল পদের কোন পরিবর্তন হয় না তাকে বলে অব্যয়।
সদৃশং ত্রিষু লিঙ্গেষু সর্বাসু চ বিভক্তিষু
বচনেষু চ সর্বেষু যন্ন ব্যেতি তদব্যয়ম্
অর্থাৎ তিন লিঙ্গ, সকল বিভক্তি, সকল বচনে যে পদের কোন রূপ | পরিবর্তন হয় না তাকেই অব্যয় বলে।
অব্যয় শব্দের উত্তর সকল বিভক্তির লোপ হয়। সকল বিভক্তি ও সকল বচনে অব্যয় একইরূপ থাকে। শব্দশাস্ত্রে অব্যয়ের সংখ্যা অনেক । স্বর্ প্রভৃতি শব্দ এবং নিপাত জাতীয় শব্দগুলি অব্যয়। | তদ্ধিত প্রত্যয়ান্ত যে সকল শব্দে সকল বিভক্তি ও বচন হয় না সেগুলি অব্যয়। | কতকগুলি কৃৎপ্রত্যয়ান্ত শব্দ, তোসুন, কসুন্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ, অব্যয়ীভাব সমাস নিষ্পন্ন শব্দ সবই অব্যয়-শ্রেণীভুক্ত।
অব্যয়গুলি সাধারণতঃ তিন শ্রেণীর- স্বরাদি, চাদি এবং প্রাদি।
স্বরাদি অব্যয়
অন্তঃ, প্রাতঃ, উচ্চৈঃ, নীচৈঃ, আরাৎ, ঋতে, সহসা, বিনা, মিথ্যা, নঃ, ইত্যাদি।
চাদি অব্যয়
চ, বা, এব, এবম্, নূনম্, চেৎ, যাবৎ, তাবৎ, কিল, অথ, তুইত্যাদি।
প্রাদি অব্যয়
প্র, পরা, অপ, সম, অনু, অব, নির্, দুর্, অতি, অভি, অপি, উপ, অধি, প্রভৃতি। এই অব্যয়গুলি কোন ক্রিয়াপদের পূর্বে ব্যবহৃত হলে উপসর্গ যমে কথিত হয় – (উপসর্গাঃ ক্রিয়াযোগে)।
যথা= দিবা সূর্যোদয়ঃ ভবতি । দিবা হচ্ছে অব্যয় পদ।।
উল্লেখ্য ক্তাচ্ ,ল্যপ্ ,তুমুন্,ণমুল, ত্রল,তসিল ইত্যাদি প্রত্যয়নিষ্পন্ন পদ সমূহ এবং অব্যয়ীভাব সমাস নিষ্পন্ন পদ হচ্ছে অব্যয়।
ক্রিয়া পদ কাকে বলে?
যার দ্বারা কোন কাজ করাকে বোঝায় তাকে বলে ক্রিয়াপদ।
ক্রিয়া পদ কয় প্রকার ও কি কি?
এই ক্রিয়াপদ সাত প্রকার-
- ১) সমাপিকা ক্রিয়া
- ২) অসমাপিকা ক্রিয়া
- ৩) সকর্মক ক্রিয়া
- ৪) অকর্মক ক্রিয়া
- ৫) দ্বিকর্মক ক্রিয়া
- ৬) অবিবক্ষিত ক্রিয়া।
- ৭) গত্যর্থক ক্রিয়া
- ৮) ক্রিয়ার্থা ক্রিয়া।
(Pdf) পদ প্রকরণ
এখানে পদ প্রকরণ জানতে ক্লিক করুন বাংলা পিডিএফ ফাইল টি – পদ প্রকরণ PDF DOWNLOAD
পদ প্রকরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য(FAQ)
সুপ্ ও তিঙ্ বিভক্তি যুক্ত শব্দকে বলা হয় পদ ।
পদ মূলতঃ দুই প্রকার সুবন্ত পদ (নামপদ) এবং তিঙন্ত পদ ( ক্রিয়াপদ) । নামপদের অন্তর্ভুক্ত বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় এবং তিঙন্তের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ক্রিয়া।
অন্যান্য সংস্কৃত ব্যাকরণ হতে পোস্টগুলি
- সংস্কৃত বর্ণমালা
- বৈদিক সন্ধি
- পদ কাকে বলে? কয় প্রকার ও কি কি – পদ প্রকরণ
- পরস্মৈপদবিধান সম্পর্কে আলোচনা
- দ্বিকর্মক ক্রিয়া
- অকর্মক ধাতু কখন সকর্মক ধাতু হয়?
- আত্মনেপদবিধান সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা
- সন্ধি প্রকরণ [সংহিতা]
- সংস্কৃত স্বরসন্ধি
- সংজ্ঞা ও পরিভাষা প্রকরণ
- একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত বোধ পরীক্ষণ