দীক্ষিত ব‍্যাখ‍্যা: বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতো অনেন বিধীয়তে

স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব‍্যাখ‍্যা (বৃত্তি ব‍্যাখ‍্যা) বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতো অনেন বিধীয়তে

স্বপ্রসঙ্গ দীক্ষিত ব‍্যাখ‍্যা (বৃত্তি ব‍্যাখ‍্যা)- বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতো অনেন বিধীয়তে

বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতোঅনেন বিধীয়তে।
উৎস:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত বিরচিত সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের পূর্বার্ধে আলোচ‍্য দীক্ষিত বৃত্তিটি বিদ‍্যমান।

প্রসঙ্গ:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত ‘তুল‍্যাস‍্যপ্রযত্নং সবর্ণম্’ সূত্রের বৃত্তিতে বলেছেন-‘ বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতোঅনেন বিধীয়তে।

বৃত্তিটির অর্থ :- বিবৃত অকারের স্থানে সংবৃত অকার বিধান করা হয়েছে।

দীক্ষিত ব‍্যাখ‍্যা- বিবৃতমনূদ‍্য সংবৃতো অনেন বিধীয়তে

বর্ণসমূহের উচ্চারণস্থান ও আভ‍্যন্তর প্রযত্ন কী কী তা দীক্ষিত বৃত্তিতে বলেছেন। অকারের প্রযত্ন সম্পর্কে তিনি বলেছেন এর প্রযত্ন অবস্থাভেদে দুরকম হতে পারে। সংবৃত ও বিবৃত। প্রয়োগ দশায় অর্থাৎ যখন শাস্ত্রীয় প্রক্রিয়ায় নিষ্পন্ন রাম;কৃষ্ণ ইত্যাদি শব্দের ব‍্যবহার করা হবে,তখন অকার হবে সংবৃত। কিন্তু প্রক্রিয়াদশায় অর্থাৎ যখন কোনো শাস্ত্রীয় কার্য করা হবে, কোনো সূত্র প্রয়োগের প্রসঙ্গ হবে, তখন অকার হবে বিবৃত। যেমন- রাম +সু-এখানে প্রক্রিয়াবস্থায় রাম এই প্রতিপদিকের অকার হবে বিবৃত।

এই সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত সূত্রকার পাণিনী নিজেই অ অ সূত্রে। এখানে প্রথম অ কারটি বিবৃত ও দ্বিতীয় অকারটি সংবৃত। এরূপ প্রযত্নভেদ থাকায় সবর্ণদীর্ঘরূপ সন্নিকার্য এখানে হয়নি। প্রথম অকারটির উত্তর ষষ্ঠী বিভক্তি ছিল। সেটি লোপ পেয়েছে। পরবর্তী অ কারটি লুপ্ত প্রথমান্ত। সমগ্র সূত্রের অর্থ হল বিবৃত অকারের স্থানে সংবৃত হয়।

এই সূত্রটি অষ্ট‍াধ‍্যায়ীর সর্বদেশ সূত্র। এর পূর্বে অবস্থিত অষ্টাধ‍্যায়ীর সমস্ত সূত্রের দৃষ্টিতেই আলোচ‍্য সূত্রটি অসিদ্ধ হয়। এ থেকে সিদ্ধান্ত করা যায় যে, যখনই কোনো সূত্র প্রয়োগ করে ব‍্যাকরণের কোনো কার্য করা হবে তখন অকার বিবৃত বলে গণ‍্য হবে, সংবৃত হতে পারবেনা। কেবল যখন পরিনিষ্ঠিত রূপ গ্রহণ করে অকারের প্রয়োগ বা ব‍্যবহার হে, অর্থাৎ যখন আর কোনো সূত্রের প্রয়োগ ঘটবে না তখন অ অ সূত্র বিনা বাধায় প্রযুক্ত হয়ে অকারকে সংবৃত করবে।

Comments