সিদ্ধান্তকৌমুদী: তুল্যাস্যপ্রযত্নং সবর্ণম্
সিদ্ধান্তকৌমুদী – তুল্যাস্যপ্রযত্নং সবর্ণম্
উৎস:- আচার্য ভট্টোজিদীক্ষিত ‘সিদ্ধান্তকৌমুদী’ গ্রন্থের পূর্বার্ধে এই পাণিনীয় সূত্রটির আলোচনা করেছেন।
বৃত্তি:- তাল্বাদিস্থানমাভ্যন্তরপ্রযত্নশ্চ ইত্যেতদ্ দ্বয়ং যস্য যেন তুল্যং তন্মিথঃ সবর্ণসংজ্ঞং স্যাৎ।
সূত্রার্থ:- তালু প্রভৃতি উচ্চারণস্থান ও আভ্যন্তর প্রযত্ন এই দুটি যাদের সমান হয়, সংস্কৃত বর্ণমালা হতে সেই দুটি বর্ণ পরস্পর সবর্ণসংজ্ঞক হয়ে থাকে।
তুল্যাস্যপ্রযত্নং সবর্ণম্ সূত্রব্যাখ্যা
‘তুল্যাস্যপ্রযত্নম্’ পদটির প্রতিপদব্যাখ্যানে দেখা যায় যে, তুল্য শব্দটি এখানে সাদৃশ্যার্থে ব্যবহৃত। আস্য শব্দের দুটি অর্থ মুখ্য ও গৌণ। মুখ অর্থে মুখ্য এবং ভবার্থে অর্থাৎ উচ্চারণস্থান অর্থে গৌণ। আলোচ্য ‘তুল্যাস্য…..’ সূত্রে গৌণার্থক আস্য শব্দের গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের পরস্পর সবর্ণ সংজ্ঞা হবে। প্রযত্ন শব্দের অর্থ প্রকৃষ্ট যত্ন অথবা যত্নের প্রারম্ভ। বর্ণোচ্চারণের যে প্রকৃষ্ট ব্যাপার অথবা প্রারম্ভিক ব্যাপার তাই হল প্রযত্ন। বর্ণোচ্চারণের পরে যে ব্যাপার হয়ে থাকে, তাকে বাহ্য প্রযত্ন বলা হয়।
এভাবে একটি ব্যাপার আস্যের অন্তর্গত আর একটি ব্যাপার আস্যের বহির্ভাগে হয় বলে -এই দুটির নাম যথাক্রমে আভ্যন্তর ও বাহ্যপ্রযত্ন। সবর্ণসংজ্ঞায় আভ্যন্তর প্রযত্নেরই উপযোগিতা আছে। অর্থাৎ সবর্ণ হতে গেলে বর্ণদ্বয়ের উচ্চারণস্থানের মতো আভ্যন্তর প্রযত্নও এক হতে হবে। যেমন- অকার ও আকারের সবর্ণসংজ্ঞা হয়। কারণ, উভয়ের উচ্চারণস্থান কন্ঠ এবং আভ্যন্তর প্রযত্ন বিবৃত। ফলে সিংহ আসনম্- এই স্থিতিতে সিংহ -এর অকার এবং আসনম্ -এর আকারের সবর্ণদীর্ঘ হলে সিংহাসনম্ রূপটি হয়। কেবল উচ্চারণস্থান এক হলে সবর্ণসংজ্ঞা হবে না। যেমন- শ-কার ও চ-কার তালু থেকে উচ্চারিত হলেও পরস্পর সবর্ণ নয়। ফলে বাক্ শ্চ্যোততি ইত্যাদি স্থলে ‘ঝরো ঝরি সবর্ণে’ সূত্রে শ-কারের লোপলোপ হয় না। কারন বর্ণদুটির আভ্যন্তর প্রযত্ন ভিন্ন। শকারের বিবৃত চ কারের স্পষ্ট। আবার আভ্যন্তর প্রযত্ন এক হলেও সবর্ণসংজ্ঞা হয় না। যেমন- পকার ও তকারের। উভয়ের প্রযত্ন স্পৃষ্ট। কিন্তু স্থান ভিন্ন, ওষ্ঠ ও দন্ত। ফলে তর্প্তা (ত্ র্ প্ ত্ আ) ইত্যাদি স্থলে ‘ঝরো ঝরি সবর্ণে’ সূত্রে প-কারের লোপ হয় না।
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: লণ্ সূত্রে অকারশ্চ
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: তেন বিশ্বপাভিরিত্যত্র হোঢ ইতি ঢত্বং ন ভবতি
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: অচি কিম্ কুমারী শেতে
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: প্রত্যাহারেষ্বিতাং ন গ্রহণম্
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: এ দৈতোঃ ও দৌতোশ্চ ন মিথঃ সাবর্ণ্যম্
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: তেন দধি ইত্যস্য হরতি শীতলং ষষ্ঠং সান্দ্রমিত্যেতেষু পরেষু যণাদিকং ন
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: পরিভাষা ব্যাখ্যা – অসিদ্ধং বহিরঙ্গম্ অন্তরঙ্গে
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: পরিভাষা ব্যাখ্যা – পরনিত্যান্তরঙ্গাপবাদানামুত্তরোত্তরং বলীয়
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: তপরস্তৎকালস্য
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: বৃদ্ধিরাদৈচ্
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: আদেঙ্ গুণঃ
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: স্বং রূপং শব্দস্যাশব্দসংজ্ঞা
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: যেন বিধিস্তদন্তস্য
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: পরঃ সন্নিকর্ষঃ সংহিতা
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: ষষ্ঠী স্থানেযোগা
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: তস্মাদিভ্যূত্তরস্য
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: উরণরপর
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: এচোঅয়বায়াবঃ
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: হলন্ত্যম্
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: বৃদ্ধিরেচি
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: সূত্রপদসাধন
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: পরিভাষা ব্যাখ্যা – অকৃতব্যূহাঃ পাণিনীয়া
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: এজাদ্যোঃ কিম্? উপেতঃ
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: যত্রানেকবিধম্ আন্তর্য্যং তত্র স্থানত আন্তর্য্যং বলীয়ো যথা স্যাৎ
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: সপাদসপ্তাধ্যায়ীং প্রতি ত্রিপাদ্যসিদ্ধা