ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠীর দুটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী কী কী ? তাদের উপশ্রেণী গুলি কী কী ? যে কোনাে চারটি উপশ্রেণীর বৈশিষ্ট্য লেখ ?-উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব। The main language group of the Indo-European language.
ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠীর দুটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠী কী কী ?
ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী কে ভাষাতত্ত্বের বিচারে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা হয়। যথা ১) কেন্তুম্ ২) শতম্।
ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠীর উপশ্রেণী গুলি কী কী ?
মূল ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠী কে ১০ টি উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে কেন্তুম্ গুচ্ছের ৬ টি উপশ্রেণী যথা – ক) গ্রিক খ) ইতালিক গ) কেলটিক ঘ) জার্মানিক বা টিউনিক ঙ) হিট্টাহিট ও চ) তুখারীয়। ‘ শতম্ ভাষাগােষ্ঠীকে ৪ টি উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যথা- ক) ইন্দো-ইরানীয় খ)বালটোশ্লাভিক গ) আলবেনীয় ঘ)আর্মেনীয় ।
ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠীর চারটি উপশ্রেণীর বৈশিষ্ট্য
কেলটিক-
এটি কেন্তুম্ শাখার উপশ্রেণী ইতালিয় ও লাতিনের সঙ্গে এই ভাষার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। কালক্রমে জামানিক ও ইটালিক ভাষার প্রভাবে এই ভাষার লােপ থটেছে। পুর্বে মধ্য ও পশ্চিম ইউরােপে এই ভাষার ব্যবহার দেখা যেত।। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দির শিলালিপি তে এবং কিছু আইরিশ গ্রন্থে এ ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া যায়। এই ভাষার আধুনিক ভাষা হল আয়ারল্যান্ডের আইরিশ ভাষা।
গ্রিক:
কেন্তুম্ গুচ্ছের শাখাগুলির মধ্যে গ্রিক ভাষা হল সাহিত্যে সমৃদ্ধ। গ্রীস,এশিয়া মাইনর, সাইপ্রাস প্রভৃতি অঞ্চলে এই ভাষার প্রসার ছিল।
বৈশিষ্ট: ১) ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষার স্বরবর্ণ গুলি সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পেয়েছে।
২)বৈদিক ভাষা ও সংস্কৃত ভাষার সাথে প্রচুর মিল দেখা যায়।
৩)মূল ভাষার সাথে ব্যঙনবর্ণের পরিবর্তন দেখা যায়। প্রচীনতম নির্দশন: ইলিয়াড ও ওডিসি এই ভাষার প্রচীনতম নিদর্শন।
বর্তমানে গ্রিক ভাষার উৎপত্তি এই ভাষা হাতেই অর্থাৎ বর্তমান গ্রিক ভাষার নাম কোইনী।
ইটালিক-
কেন্তম্ শাখার প্রধান শাখা হল ইটালিক। ইটালিক শাখার প্রধান ভাষা হল লাতিন। খ্রীঃ পূঃ সপ্তম শতাব্দিতে এই ভাষার প্রচীন নিদর্শন পাওয়া যায়। বর্তমানে ইউরোপে আধুনিক ভাষাগুলি এই ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
বৈশিষ্ট:
১) শ্বাসাঘাত লক্ষ্য করা যায়।
২) যৌগিক ধ্বনি এক স্বরে পরিণত হয়েছে।
৩) ব্যঞ্জনবর্ণের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
ইন্দা-ইরাণীয় :-
ভারতীয় আর্য এবং ইরাণীয় শাখার মিলনে এই ভাষার উৎপত্তি। এটি একটি অনুমিত ভাষা। শতম্ গুচ্ছের ভাষাগুলির মধ্যে প্রাচীনসাহিত্যের সমৃদ্ধ এই ভাষা। প্রায় ৩০০০ বছর আগে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে এই ভাষার নাম হয়েছিল আর্যভাষা।
বৈশিষ্ট্য:-
১)ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত বৈশিষ্ট্য ইন্দো-ইরাণীতে রক্ষিত হয়েছে।
২) মূল ইন্দো-ইউরােপীয় দীর্ঘস্বরবর্ণগুলি আ হয়েছে এবং অতি হ্রস্ব ধ্বনিগুলি ই -এ পরিণত হয়েছে।
৩) এই ভাষার প্রচীনতম নির্দশন ঋকবেদ এ জেন্দাবেস্তা।
- মূর্ধন্যীভবন: ভাষাতত্ত্ব
- ভাষাতত্ত্ব: হিট্টীয় ভাষা
- ভাষাতত্ত্ব: বর্ণ বিপর্যয়
- সমীভবন: ভাষাতত্ত্ব
- অপিনিহিতি (Epenthesis):ভাষাতত্ত্ব
- ধ্বনিসূত্র কাকে বলে? গ্রাসম্যানের ধ্বনিসূত্র আলোচনা
- ভাষাতত্ত্ব: লৌকিক সংস্কৃত ও বৈদিক সংস্কৃতের মধ্যে পার্থক্য
- ভাষাতত্ত্ব: বর্ণাগম
- কেন্তুম্ ও সতম্ সম্বন্ধে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা-ভাষাতত্ত্ব
- ভারতীয় আর্য ভাষার বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে লেখ
- ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টীর পরিচয় -সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব
- ভারতীয় আর্যভাষা সম্পর্কে আলোচনা
- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী-উপশ্রেণী ও চারটি উপশ্রেণীর বৈশিষ্ট্য