অপিনিহিতি (Epenthesis)কাকে বলে? অপিনিহিতি শব্দের অর্থ কি?
অপিনিহিতি (Epenthesis)
পৃথিবীর প্রত্যেকটি জীবন্ত ভাষা পরিবর্তিত হচ্ছে এবং রূপান্তরিত হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে। যা তার চলিষ্ণুতার পরিচয় বহন করে। ফলে তাদের মধ্যে সংগঠিত হচ্ছে ধ্বনিগত ও রূপগত পরিবর্তন। বহু ভাষার বহু বিচিত্র পরিবর্তনের মধ্যে অপিনিহিতি এক অন্যতম।
অপিনিহিতি কাকে বলে
পদমধ্যস্থ কোনো স্বরবর্ণ বিশেষ করে (ইকার ও উকার) স্বস্থানে থেকেও পূর্বে রচিত হয় অথবা নিজস্থান থেকে আগে রচিত হয় অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনের পূর্বে ই কারের আগম ঘটলে হয় অপিনিহিতি। অপিনিহিতি। অপিনিহিতি শব্দ সংস্কৃত সাহিত্যে দুর্লভ। যেমন-
(সংস্কৃত ) ভবতি > (আবেস্তা) ভবৈতি।
(সংস্কৃত) ভরতি > (আবেস্তা) বরইতি।
(সংস্কৃত) এতি > (আবেস্তা) অইতি।
( সংস্কৃত ) অরূষ > (আবেস্তা) অউরূষ।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকারের অপিনিহিতি অন্যতম এবং নব্য বাংলায় অপিনিহিতির ব্যবহার বর্তমান।
প্রথম প্রকার অপিনিহিতি
যেমন:-
১. কাঁচি > কাইচি।
২. গাঁথি > গাইতি।
ইত্যাদি প্রথম প্রকার অপিনিহিতি।
দ্বিতীয় প্রকার অপিনিহিতি
আবার বাংলা ভাষাতেও দ্বিতীয় প্রকার অপিনিহিতির ব্যবহার দেখা যায়। যেমন-
১. আজি > আইজ
২. কালি > কাইল
তৃতীয় প্রকার অপিনিহিতি
এছাড়া তৃতীয় প্রকার অপিনিহিতি গুলি হল-
১. যজ্ঞ > যইগ্ গ্
২. বাক্য > বাইক্য।
সাধারনত য ফলা যুক্ত ও ঞ্জ – এই দুই সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের পূর্বে ধ্বনি লক্ষ্য করা যায়। আচার্য সুকুমার সেন বলেছেন- বাংলার অপিনিহিতির অধিকাংশ উদাহরণ স্বরব্যঞ্জনের বিপর্যয় ছাড়া কিছু নয়।
পদমধ্যস্থ কোনো স্বরবর্ণ বিশেষ করে (ইকার ও উকার) স্বস্থানে থেকেও পূর্বে রচিত হয় অথবা নিজস্থান থেকে আগে রচিত হয় অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনের পূর্বে ই কারের আগম ঘটলে হয় অপিনিহিতি।
পূর্বে স্থাপন