উচ্চ মাধ্যমিক একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশাবতারস্তোত্রম্ অনুসারে দশাবতারের ভগবান বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতারের পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে ।
ভগবান শ্রী বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতারের পৌরাণিক কাহিনী বর্ণনা করো।
উঃ- দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু ছিলেন ঘোর বিষ্ণু বিদ্বেষী। তাঁর পুত্র বাল্যকাল থেকেই ছিলেন হরি ভক্ত। তিনি অধিকাংশ সময় হরিনাম করে কাটাতেন। হিরণ্যকশিপু বহু চেষ্টা করেও তাকে হরিনাম থেকে বিরত করতে পারেননি। পিতার শত অনুরোধেও প্রহ্লাদ হরিনাম ত্যাগ করেননি।
পিতা হিরণ্যকশিপু শাসন তর্জন করেও প্রহ্লাদকে হরিনাম ত্যাগ করাতে না পেরে ক্রোধে অধীর হয়ে পুত্রের প্রাণনাশের আদেশ দেন। তথাপি প্রহ্লাদ হরিনাম ত্যাগ করলেন না। বরং অবিচলিত চিত্তে তিনি হরিনাম করতে লাগলেন। প্রহ্লাদের প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে একে একে খরগাঘাত,হস্তি পদতল, অগ্নিকুণ্ড, সাগরগর্ভ, সমুচ্চ পর্বত থেকে ভূপৃষ্ঠে নিক্ষেপ,বিষ প্রদান প্রভৃতি প্রাণান্তকর সর্বপ্রকার উপায়ে তার প্রতি প্রয়োগ করা হল। কিন্তু হরির কৃপায় প্রহ্লাদ সকল বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে লাগলেন।
প্রহ্লাদকে যখন কোনো প্রকারেই এই হরিনাম ত্যাগ করতে পারলেন না। তখন পিতা হিরণ্যকশিপু ক্রোধান্বিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,” বল তোর হরি কোথায় আছেন?” সে উত্তর দিলেন “তিনি সর্বত্র বিরাজমান’।
এবার দৈত্যরাজ সভাস্থ স্ফটিক স্তম্ভের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করে জিজ্ঞাসা করলেন-“তোর হরি কি এই স্ফটিক স্তম্ভের মধ্যে আছেন?’ প্রহ্লাদের সেই পূর্ববৎ একই উত্তর-” হরি সর্বত্র বিরাজমান ‘।তখন দৈত্যরাজ ক্রোধকম্পিত শরীরে নিদারুণ পদাঘাতে সেই স্ফটিক স্তম্ভকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই স্তম্ভ থেকে ভগবান নারায়ন নরসিংহরূপ ধারণ করে আবির্ভূত হলেন এবং দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর জীবন অবসান ঘটালেন।
এই ভাবে নৃসিংহ অবতারের পৌরাণিক কাহিনী বর্ণিত হল ।
দশাবতারস্তোত্রম্ পদ্যাংশ শ্লোকগুলির শব্দার্থ ও বঙ্গানুবাদ বাংলা
একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশাবতারস্তোত্রম্ হতে বড় প্রশ্ন ও উত্তর
- একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশাবতারস্তোত্রম্ অনুসারে দশাবতারের বর্ণনা
- বরাহ অবতারের পৌরাণিক কাহিনী
- মৎস্য অবতারের পৌরাণিক কাহিনী
- কূর্ম অবতারের পৌরাণিক কাহিনী
- দশাবতারস্তোত্রম্ হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশাবতারস্তোত্রম্ হতে ভাবসম্প্রসারণ