একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশকুমারচরিতম্ -এ রচিত রাজহংসের চরিত্র বর্ণনা কর। দশকুমারচরিতম্ অনুসারে রাজহংসের চরিত্র বর্ণনা করা হল (Class xi Sanskrit Daskumarcharitam – The character of Rajhans.)।
Table of Contents
রাজহংসের চরিত্র বর্ণনা
উত্তর- আচার্য দণ্ডী রচিত দশকুমারচরিতম্ এর পূর্ব পীঠিকার প্রথম উচ্ছ্বাসের প্রারম্ভে রাজহংসের সামান্য কিছু পরিচয় পায়। দণ্ডী রাজহংসের চরিত্রটিকে সুন্দরভাবে পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন।
রাজহংসের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে যে গুণাবলী আমরা পায়, তাহলে-
পরাক্রমশালীঃ-
মহারাজ রাজহংস মগধের রাজা। তিনি পরাক্রমশালী রাজা ছিলেন। তার দুই বাহু ছিল মন্দর পর্বতের মতো দৃঢ়, যার দ্বারা তিনি শত্রুদের মন্থন করতেন। এছাড়া মগধ রাজহংসের প্রতাপের দ্বারা শত্রু কুলের রাজাদের বশীভূত করতেন।
কীর্তিমানঃ-
রাজহংসের কীর্তি দিগন্তব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল। শুধু তার কীর্তিকাহিনী পৃথিবীতে সীমাবদ্ধ থাকেনি, স্বর্গের অপ্সরা কীর্তিকাহিনী স্বর্গের উদ্যানে গেয়ে গেয়ে বেড়াত। কবি দণ্ডী রাজহংসের কীর্তি সভ্যতাকে শরতের চন্দ্র,কুন্দফুল,কোলফুল, শিশির, রাজহংস,ঐরাবত ইত্যাদি সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ধার্মিকঃ-
রাজহংস অত্যন্ত ধর্মজ্ঞ,কর্তব্য পরায়ণ ব্যক্তি ছিলেন। তার ধর্মে মতি ছিল এবং ব্রাহ্মণ অনুরাগী ছিলেন। তার দেশে সর্বদা যজ্ঞ অনুষ্ঠান হতো। সেই যজ্ঞের দক্ষিণা দ্বারা শাস্ত্র গুনবান ব্রাহ্মণদের পালন করতেন।
বীর ও দয়ালুঃ-
রাজা রাজহংস যেমন বীর ছিলেন তেমনি ছিলেন দয়ালু। মালবরাজ মানসারকে পরাজিত করে বন্দী করেন কিন্তু দয়াবশো তাকে মুক্তি দিয়ে তার রাজ্যে আবার প্রতিষ্ঠা করেন।
রূপবানঃ-
তিনি ছিলেন সৌন্দর্যে কামদেবের তুল্য। অর্থাৎ মধ্যগগনে উদিত সূর্যের মতো।
উপসংহারঃ-
পরিশেষে বলা যায় যে মহাকবি দণ্ডী রাজহংসের চরিত্রের মধ্যে নানা গুণের সমাবেশ ঘটিয়েছেন। অর্থাৎ প্রজাদের সকলের তিনি ছিলেন প্রিয় পাত্র। আদর্শ রাজা হতে গেলে যেসব মহৎ গুনগুলি থাকা দরকার রাজহংসের মধ্যে তাসবেই বিদ্যমান ছিল।