একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশকুমারচরিতম্ (Class XI Daskumarcharitam) অনুসারে প্রশ্নটি আলোচনা করা হল- রাজহংস কে ? তিনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন? সেই যুদ্ধের বর্ণনা দাও। যুদ্ধের ফল কি হয়েছিল? দশকুমারচরিতম্ অনুসারে রাজহংসের পরিচয় ও যুদ্ধের বর্ণনা।
Table of Contents
দশকুমারচরিতম্ অনুসারে রাজহংসের পরিচয় ও যুদ্ধের বর্ণনা
রাজহংস কে ছিলেন?
উত্তর- মগধ রাজ্যের অধীশ্বর ছিলেন রাজহংস। তিনি অত্যন্ত প্রতাপশালী রাজা ছিলেন। তার রাজ্যের রাজধানীর নাম পুষ্পপুরী।যা ঐশ্বর্যে ও অভিজাত্যে উজ্জ্বল ছিল।
তিনি কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন?
মালবরাজ মানসারের সাথে যুদ্ধ করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তার মূল কারণ মালবরাজ মানসারের উদ্ধত ব্যবহার। তাই ক্রোধে চতুরঙ্গ সেনাসহ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করেন।
পাঠ্যাংশ অনুসারে সেই যুদ্ধের বর্ণনা
মালব ও মগধ দুটি দেশ পাশাপাশি বিরাজমান। এই দুটি দেশে সর্বদা বিবাদ লেগে থাকত।অর্থাৎ মালবরাজ মানসারের সঙ্গে মগধরাজ রাজহংসের প্রায় যুদ্ধ সংঘটিত হত। পাঠ্যাংশ হতে জানা যায় পূর্বে এক যুদ্ধে মগধরাজ পরাজিত হয়েছিলেন।
পাঠ্যাংশে ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধের বর্ণনা পাওয়া যায়। মালবরাজ মানসারের উদ্ধত ব্যবহারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে মগধরাজ রাজহংস চতুরঙ্গ সেনাসহ যুদ্ধযাত্রা করেন। এছাড়া পূর্ব পরাজয়ের প্রতিশোধ এর ইচ্ছাও ছিল।
চতুরঙ্গ সেনার ভয়ঙ্কর শব্দে অ তীব্র ভেরীর শব্দে সমুদ্রের গর্জন ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল। কদাতিক সৈন্যদের পদভারে পৃথিবী অবনত হয়েছিল। মালবরাজ মানসারের অভিমুখে উপস্থিত হলে উভয়ের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ বাধে। সেনাদের পরস্পর অস্ত্রের আঘাতে উভয়ের বহু সেনা আহত হয়।
সেই যুদ্ধের ফল কি হয়েছিল?
উক্ত যুদ্ধের পরিণামে মালবরাজ মানসার পরাজিত হয় এবং মগধরাজ তাকে বন্দী করেন। শেষ পর্যন্ত দয়ালু মগধরাজ তাকে মুক্তি দেন এবং তার রাজ্য তাকে ফিরিয়ে দেন।
দশকুমারচরিতম্ পাঠ্যাংশ হতে প্রশ্ন ও উত্তর গুলি দেখুন
- দশকুমারচরিতম্ কাব্যের অন্তর্গত পুষ্পপুরি নগরীর বর্ণনা
- একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশকুমারচরিতম্ হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ দশকুমারচরিতম্ অনুসারে রাজহংসের চরিত্র বর্ণনা