ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা

উচ্চ মাধ্যমিক একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রথম অধ্যায় হতে ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ টির সংস্কৃত অংশ দেওয়া হল এবং বাংলা উচ্চারণ সহ শব্দার্থ সহ বঙ্গানুবাদ দেওয়া হয়েছে । সর্বশেষে ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা হতে প্রশ্ন ও উত্তরগুলির লিংক দেওয়া হল । From the first chapter of Sanskrit in higher secondary class XI, the Sanskrit part of the Brahman choura pishach katha text has been given and the Bengali translation has been given with the semantics along with the Bengali pronunciation. Finally, there is a link to the questions and answers from Brahmanyachar Pishach Katha.

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রথম অধ্যায় ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশটির দেবনাগরী হরফে ও বাংলা উচ্চারণ সহ সংস্কৃত শব্দগুলির বাংলা মানে দেওয়া হয়েছে । The first chapter of Class XI Sanskrit Brahman choura pishach katha text is given in the Devanagari script and the Bengali meaning of Sanskrit words with a Bengali pronunciation.

উচ্চ মাধ্যমিক একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত অন্যান্য পাঠ্যাংশগুলির লিংক নিম্নে দেওয়া হল । প্রত্যেক পাঠ্যাংশগুলির নিচে ঐ পাঠ্যাংশের প্রশ্ন ও উত্তরগুলির লিংক দেওয়া আছে।

গদ্যাংশপদ্যাংশ
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথাদশাবতারস্তোত্রম্
দশকুমারচরিতম্মেঘদূতম্
নাট্যাংশ
ভারতবিবেকম্ 

Table of Contents

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রথম অধ্যায় ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ (Brahman choura pishach katha – Class XI Sanskrit)

পঞ্চতন্ত্রম্ কথামুখ – ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা

দক্ষিণ ভারতে প্রাচীনকালে মহিলারোপ্য নগরে রাজা অমরশক্তির সভাপণ্ডিত ছিলেন বিষ্ণুশর্মা। ইনি পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের রচয়িতা। এই গ্রন্থরচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজপুত্রদের রাজনৈতিক ও দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে গভীর কিছু উপদেশ প্রদান করা।

পঞ্চতন্ত্র গ্রন্থের পাঁচটি হল মিত্রভেদঃ, মিত্রপ্রাপ্তিঃ, কাকোলুকীয়ম, লব্ধপ্রণাশম্ অপরীক্ষিতকারকম্। ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশটি তৃতীয় তন্ত্র কাকোলূকীয়ম্ অংশের অষ্টম সংখ্যক কাহিনি। এই গল্পটির মাধ্যমে বলা হয়েছে যে শত্রুরা যখন পরস্পরের মধ্যে বিবাদ করে তখন তা সাধারণ মানুষের উপকারই সাধন করে।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ – একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ (Brahman choura pishach katha Sanskrit Text)

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 1 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ১)

शत्रवोऽपि हितायैव विवदन्तः परस्परम् ।

चौराण जीवितं दत्तं राक्षसेन तु गोयुगम् ॥

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 2 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ২)

अस्ति कस्मिंश्चिदधिष्ठाने दरिद्रो द्रोणर्नामा ब्राह्मणः प्रतिग्रहधनः, सततं विशिष्टवस्त्रानुलेपनगन्धमाल्यालङ्कारताम्बुलादिभोगपरिवर्जितः, प्ररूढ़केशश्मश्रुनखरोमोपचितः, शीतोष्णवातवर्षादिभिः परिशोभितर्शरीरः। तस्य च केनापि यजमानेनानुकम्पया शिशुगोयुगं दत्तम्। ब्राह्मणेन च बालभावादारभ्य याचितघृततैलयवसादिभिः सम्बर्ध्य सुपुष्टं कृतम्।

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 3 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ৩)

तच्च दृष्ट्वा सहसैव कश्चिच्चौरश्चिन्तितवान्-“अहमस्य ब्राह्मणस्य गोयुगमिदमपहरिष्यामि” इति निश्चित्य निशायां बन्धनपाशं गृहीत्वा यावत्प्रस्थितस्तावदर्धमार्गे प्रविरलतीक्ष्णदन्तपङ्क्तिः, उन्नतनासावंशः, प्रकटरक्तान्तनयनः, उपचितस्नायुसंततिर्नतगात्रः, शुष्ककपोलः, सुहुतहुतवहपिङ्गलश्मश्रुकेशशरीरः कश्चिदृष्टः। दृष्ट्वा तीव्रभयत्रस्तोऽपि चौरोऽब्रवीत्-“को भवान्”? इति । स आह- “सत्यवचनोऽहं ब्रह्मराक्षसः। भवानप्यात्मानं निवेदयतु । सोऽब्रवीत्-“अहं क्रूरकर्मा चौरः, दरिद्रब्राह्मणस्य गोयुगं हर्तु प्रस्थितोऽस्मि ।

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 4 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ৪)

जातप्रत्ययो राक्षसोऽब्रवीत्-“भद्र !अथ ब्राह्मणमद्य भक्षयिष्यामि।षष्ठालकालिकोऽहम् । अतस्तमेव एककार्याववायाम्” । तत्सुन्दरमिदम् । अथ तो तत्र गत्वैकान्ते कालमन्वेषयन्तौ स्थितौ । प्रसुप्ते च ब्राह्मणे तदक्षणार्थ प्रस्थितं राक्षसं दृष्ट्वा चौरोऽब्रवीत्— “भद्र! नैष न्यायः। यतो गोयुगे मयाऽपहते पशाचमेनं ब्राह्मणं भक्षय |

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 5 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ৫)

सोऽब्रवीत्- “कदाचिदयं ब्राह्मणो गोशब्देन वुध्येत तदानर्थकोऽयं ममारम्भः स्यात्। चौरोऽप्यब्रवीत्—“तवापि यदि भक्षणायोपस्थितस्यान्तरे एकोऽप्यन्तरायः स्यात्, तदाहमपि न शक्नोमि गोयुगमपहर्तुम्। अतः प्रथमं मयापहृते गोयुगे पश्चात्त्वया ब्राह्मणो भक्षयितव्यः” । इत्थं चाहमहमिकया तयोर्विवदतोः समुत्पन्ने द्वैधे प्रतिरववशाद्ब्राह्मणो जजागर।

ब्राह्मणचौरपिशाचकथा मूलपाठ- 6 (ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা সংস্কৃত পাঠ্যাংশ মূল পাঠ – ৬)

अथ तं चौरोऽब्रवीत्–“ब्राह्मण ! त्वामेवायं राक्षसो भक्षयितुमिच्छति” इति ।राक्षसोऽप्याह–“ब्राह्मण ! चौरोऽयं गोयुगं तेऽपहर्तुमिच्छति । एवं श्रुत्वोत्थाय ब्राह्मणः सावधानो भूत्वेष्टदेवतामन्त्रध्यानेनात्मानं राक्षसादुद्गूर्णलगुडेन च चौराद्गोयुगं ररक्ष ।


একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত – ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ বাংলা উচ্চারণ, শব্দার্থ ও অর্থ

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মূলপাঠ ১

শত্রবোঽপি হিতায়ৈব বিবদন্তঃ পরস্পরম্।

চৌরেণ জীবিতং দত্তং রাক্ষসেন তু গোযুগম্।।

শব্দার্থঃ

পরস্পরম্ (পরস্পর ) বিবদন্তঃ (বিবাদ বা ঝগড়া করছে এমন) শত্রবঃ (শত্রুরা) অপি (ও) হিতায় (মঙ্গলের জন্য) এব (ই) চৌরেণ (চোর কর্তৃক) দত্তং (দান করেছিল ) জীবিতং (জীবন) রাক্ষসেন (রাক্ষস কর্তৃক) তু (তেমনি ) গোযুগম্ (গোরু দুটি)।

বঙ্গানুবাদ

পরস্পর বিবাদরত শত্রুরাও সাধারণের উপকারই করে থাকে। যেমন চোরের দ্বারা ব্রাহ্মণের জীবন এবং রাক্ষসের দ্বারা গোরু দুটির জীবন প্রদত্ত হয়েছিল (রক্ষা করা হয়েছিল)।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মূলপাঠ 2

অস্তি কস্মিংশ্চিদধিষ্ঠানে দরিদ্রো দ্রোণনামা ব্রাহ্মণঃ প্রতিগ্রহধনঃ, সততং বিশিষ্টবস্ত্রানুলেপনগন্ধমাল্যলাঙ্কারতাম্বুলাদিভোগপরিবর্জিতঃ, প্ররূঢ়কেশশ্মশ্রুনখরোমোপচিতঃ, শীতোষ্ণবাতবর্ষাদিভিঃ পরিশোভিতশরীরঃ।

তস্য চ কেনাপি যজমানেনানুকম্পয়া শিশুগোযুগম্ দত্তম্। ব্রাহ্মণেন চ বালভাবাদারভ্য যাচিতঘৃততৈলযবসাদিভিঃ সম্বর্ধ্য সুপুষ্টং কৃতম্।

সন্ধিবিহীন পাঠ ও শব্দার্থঃ

অস্তি (আছে) কস্মিন চিৎ (কোনো) অধিষ্ঠানে (স্থানে) দরিদ্রঃ (গরিব) দ্রোণঃ নামা (দ্রোণ নামে) ব্রাহ্মণঃ (ব্রাহ্মণ) প্রতিগ্রহধনঃ (অন্যের দান ছিল যার সম্পদ) সততং (সর্বদা) বিশিষ্ট বস্ত্র অনুলেপন গন্ধ-মালা অলঙ্কার তাম্বুল আদি ভোগ বৰ্জিতঃ (বিশিষ্ট বস্ত্র, লেপন গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদি ভোগে বর্জিত) প্রবৃঢ় কেশ শ্মশূনখ রোমঃ উপচিতঃ (মাথার চুল, দাড়ি, নখ, লোম অনেক বেড়ে গিয়েছিল) শীত-উষ্ণ-বাত বর্ষাদিভিঃ পরিশোভিতঃ শরীরঃ (ঠান্ডা, গরম, ঝড়, বৃষ্টি দ্বারা শরীর শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল)। তস্য (তার) কেন অপি যজমানেন (কোনো একজন যজমানের দ্বারা) অনুকম্পয়া (দয়াপূর্বক) শিশু গোযুগম্ (দুটি শাবক গোরু ) দত্তম্ (দেওয়া হয়েছিল)। ব্রাহ্মণেন চ (ব্রাহ্মণের দ্বারা) বালভাবাৎ আরভ্য (বাল্যকাল থেকে আরম্ভ করে) যাচিত (ভিক্ষা করে পাওয়া) ঘৃত তৈল যবসাদিভিঃ (ঘি, তৈল এবং যব ইত্যাদির দ্বারা) সম্বর্ধ্য (সংবর্ধিত করে) সুপুষ্টং (সুপুষ্ট) কৃতম্ (করা হয়েছিল)।

বঙ্গানুবাদ

কোনো এক স্থানে দ্রোণ নামে এক দরিদ্র ব্রাক্ষ্মণ ছিল। সে সর্বদা বিশেষ বস্ত্র, অনুলেপন, গন্ধদ্রব্য, মালা, অলংকার, পান ইত্যাদি ভোগে বর্জিত ছিল। তার মাথায় চুল, দাড়ি, নখ, লোম অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। ঠান্ডা, নরম, ঝড়বৃষ্টিতে তার শরীর শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার কোনো একজন যজমান দয়াবশত তাকে একজোড়া বাছুর দান করেছিল। সেও বাল্য অবস্থা থেকেই লোকের কাছে চেয়ে ঘি, তেল, যব ইত্যাদির দ্বারা বাছুর দুটিকে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছিল।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মুল পাঠ – 3

তচ্চ দৃষ্ট্বা সহসৈব কশ্চিৎ চৌরশ্চিন্তিতবান্ – “অহমস্য ব্রাহ্মণস্য গোযুগমিদমপহরিষ্যামি” ইতি নিশ্চিত্য নিশায়াং বন্ধনপাশং গৃহীত্বা যাবৎপ্রস্থিতস্তাবদর্ধমার্গে প্রবিরলতীক্ষ্ণদন্তপক্তিঃ, উন্নতনাসাবংশঃ, প্রকটরক্তাত্তনয়নঃ, উপচিতস্নায়ুসন্ততিনতগাত্রঃ, শুষ্ককপোলঃ, সুহুতহুতবহপিঙ্গলশ্মশ্রুকেশশরীরঃ কশ্চিদ্ দৃষ্টঃ।

দৃষ্ট্বা চ তং তীব্রভয়ত্রস্তোঽপি চৌরোহব্রবীৎ – “কো ভবান্?” ইতি।

স আহ – “সত্যবচনোহহং ব্রহ্মরাক্ষসঃ। ভবানপ্যাত্মানং নিবেদয়তু।”

সোহব্রবীৎ – “অহং ক্রূরকর্মা চৌরঃ, দরিদ্রব্রাহ্মণস্য গোযুগং হর্তুং প্ৰস্থিতোঽস্মি।”

সন্ধিবিহীন পাঠ ও শব্দার্থ

তৎ চ (তা) দৃষ্ট্বা (দেখে) সহসা এব (হঠাৎই) কঃ চিৎ চৌরঃ (কোনো একটি চোর) চিন্তিতবান্ (চিন্তা করল) অহম্ অস্য ব্রাহ্মণস্য (আমি এই ব্রাহ্মণের) গোযুগম্ (গোরু দুইটি) ইদম্ (এই) অপহরিষ্যামি (চুরি করব) ইতি (এই) নিশ্চিত্য (স্থির করে) নিশায়াং (রাত্রে) বন্ধন পাশং (বাঁধার জন্য দড়ি) গৃহীত্বা (নিয়ে) যাবৎ (যখন) প্রস্থিতঃ (প্রস্থান করল) তাবৎ (তখন) অর্ধমার্গে (অর্ধেক রাস্তায়) প্রবিরল তীক্ষ্ণ দন্তপক্তি (ধারালো দাঁতের সারিযুক্ত বিরল শ্রেণির), উন্নত নাসাবংশঃ (যার নাক বেশ উঁচু), প্রকট রক্তাক্তনয়নঃ (যার চোখ দুটি ভয়ংকর রক্তবর্ণ), উপচিত স্নায়ু সন্ততিঃ নতগাত্রঃ (শিরাগুলি ফুলে ওঠা, নুয়ে পড়া শরীর), শুষ্ককপোলঃ (যার গাল দুটি শুকনো), সুহূত হুতবহ পিঙ্গল শ্মশ্রু কেশ শরীরঃ (ভালোভাবে আহুতি দেওয়া আগুনের মতো দাড়ি, চুল ও শরীর পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করেছে) কশ্চিৎ (কেউ) দৃষ্টঃ (দেখা গেল)।

দৃষ্ট্বা চ (দেখে) তং (তাকে) তীব্র ভয় ত্রস্তঃ অপি (ভীত এবং ভয়ে কম্পমান) চৌরঃ (চোর) অব্রবীৎ (বলল) কঃ (কে) ভবান্ (আপনি) ইতি (এই)।

স (সে) আহ (বলল) সত্য বচন (সত্যবচন নামে) অহং (আমি) ব্রহ্মরাক্ষসঃ (ব্রষ্মরাক্ষস)। ভবান্ অপি আত্মানং (আপনিও নিজেকে) নিবেদয়তু (জানান/নিবেদন করুন)।

সঃ অব্রবীৎ (সে বলল) অহং (আমি) ক্রূরকর্মা ( ক্রূরকর্মা নামে) চৌরঃ (চোর), দরিদ্র ব্রাহ্মণস্য (গরিব ব্রাহ্মণের) গোযুগং (গোরু দুটিকে) হতুং (চুরি করতে) প্রস্থিতঃ অস্মি (আমি যাচ্ছি )।

বঙ্গানুবাদঃ

তা দেখে হঠাৎ একদিন এক চোর চিন্তা করল – “আমি এই ব্রাহ্মণের গোরু দুটিকে চুরি করব।” এইরূপ স্থির করে রাত্রিতে বাঁধার জন্য দড়ি নিয়ে যখন অর্ধেক রাস্তা গিয়েছে, এমন সময় ধারালো দাঁতের সারিযুক্ত, উঁচু নাক, টকটকে লাল চোখ, শুকনো গাল, শিরাগুলি ফুলে ওঠা, নুয়ে পড়া শরীর, ভালোভাবে আহুতি দেওয়া আগুনের মতো পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করেছে দাড়ি, চুল ও শরীর এরকম ভয়ংকর একজনকে দেখল। দেখে ভীত হয়ে কাঁপতে কাঁপতে চোর বলল, “আপনি কে?” ব্রষ্মরাক্ষস। আপনি নিজেকে জানান।” সে বলল “আমি কুরকর্মা নামে চোর, গরিব ব্রাহ্মণের গোরু দুটিকে চুরি করতে চলেছি।”

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মূলপাঠ -4

অথ জাতপ্রত্যয়ো রাক্ষসোহব্রবীৎ “ভদ্র! ষষ্ঠাহুকালিকোহহম্। অতস্তমেব ব্রাহ্মণমদ্য ভক্ষয়িষ্যামি। তৎসুন্দরমিদম্। এককার্যাবেবায়াম্।” অথ তৌ তত্র গত্বৈকান্তে কালমন্বেষয়ন্তৌ স্থিতৌ। প্রসুপ্তে চ ব্রাহ্মণে তদ্ভক্ষণার্থং প্রস্থিতং রাক্ষসং দৃষ্ট্বা চৌরোহব্রবীৎ –“ভদ্র! নৈষ ন্যায়ঃ। যতো গোযুগে ময়াহপহূতে পশ্চাত্ত্বমেনং ব্রাহ্মণং ভক্ষয়।”

সন্ধিবিহীন পাঠ ও শব্দার্থ

অথ (অনন্তর/তারপর) জাতপ্রত্যয়ঃ (বিশ্বাস করে) রাক্ষসঃ (রাক্ষস) অব্রবীৎ (বলল) ভদ্র (ভদ্র) ষষ্ঠাহ্নকালিকঃ অহম্ (আমি ষষ্ঠ প্রহরে অর্থাৎ রাত্রিবেলা আহার করি) অতঃ (অতএব) তম্ এর (সেই) ব্রাহ্মণম্ (ব্রাহ্মণকে) অদ্য (আজ) ভক্ষয়িষ্যামি (ভক্ষণ করব)। তৎ সুন্দরম্ ইদম্ (তাই এটা সুন্দর)। এক কার্যা এর আয়াম্ (এক কাজেই আমরা দুজন এসেছি)। অথ (তারপর) তৌ (তারা দুজন) তত্র (সেখানে) গত্বা (গিয়ে) একান্তে (এক পাশে) কালং (সময়) অন্বেষয়ত্তৌ (অন্বেষণের অপেক্ষায়) স্থিতৌ (রইল)। প্রসুপ্তে চ ব্রাহ্মণে (ব্রাক্ষ্মণ ঘুমোলে) তদ্ভক্ষনার্থং (তাকে ভক্ষণের জন্য) প্রস্থিতং (গমন করেছে এমন) রাক্ষসং (রাক্ষসকে) দৃষ্ট্বা (দেখে) চৌরঃ (চোর) অব্রবীৎ (বলল) ভদ্র (ভদ্র) ন এষ (না এটি) ন্যায়ঃ (ঠিক/উপযুক্ত)। যতঃ (যেহেতু) গোযুগে (গোরু দুটি) ময়া (আমার দ্বারা) অপহূতে (চুরি করা হলে) পশ্চাৎ (পরে) তুম্ (তুমি) এনং (একে) ব্রাহ্মণং (ব্রাহ্মণকে) ভক্ষয় (খেয়ো)।

বঙ্গানুবাদ

তারপর তারা দুজন গিয়ে একপাশে সময়ের (উপযুক্ত) অপেক্ষায় রইল। ব্রাহ্মণ নিদ্রিত হলে তাকে ভক্ষণের জন্য রাক্ষস গমন করলে চোর বলল – “ভদ্র! এটি ঠিক নয়। গোরু দুটি আমার দ্বারা চুরি করা হয়ে গেলে তারপর তুমি এই ব্রাহ্মণকে খেয়ো।”তারপর বিশ্বাস করে রাক্ষস বলল, “ভদ্র, আমি ষষ্ঠ প্রহরে অর্থাৎ রাত্রিবেলা আহার করি।” অতএব সেই ব্রাহ্মণকে আজ ভক্ষণ করব। এটা খুবই সুন্দর ব্যাপার। আমরা দুজনে এক কাজেই এসেছি।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মূল পাঠ -5

সোহব্রবীৎ “কদাচিদয়ং ব্রাহ্মণো গোশব্দেন বুধ্যেত তদানৰ্থকোহয়ং মমারম্ভঃ স্যাৎ।” চৌরোঽপ্যব্রবীৎ – “তবাপি যদি ভক্ষণায়োপস্থিতস্যান্তরে একোঽপ্যন্তরায়ঃ স্যাৎ, তদাহমপি ন শক্লোমি গোযুগমপহতুম্। অতঃ প্রথমং ময়াপহূতে গোযুগে পশ্চাত্ত্বয়া ব্রাহ্মণো ভক্ষয়িতব্যঃ।” ইখং চাহমহমিকয়া তয়োবিদতোঃ সমুৎপন্নে দ্বৈধে প্রতিরববশাদ্ ব্রাহ্মণো জজাগর।

সন্ধিবিহীন পাঠ ও শব্দার্থ

সঃ অব্রবীৎ (সে বলল) কদাচিৎ (কোনোভাবে) অয়ং (এই) ব্রাক্ষ্মণঃ (ব্রাক্ষ্মণ) গো শব্দেন (গোরুর শব্দে) বুধ্যেত (জেগে যায়) তদা (তাহলে) অনর্থক (নিরর্থক) অয়ং (এই) মম (আমার) আরম্ভঃ (প্রচেষ্টা) স্যাৎ (হয়ে যাবে)।চৌরঃ অপি (চোর) অব্রবীৎ (বলল) তব (তোমার) অপি (ও) যদি (যদি) ভক্ষণায় (ভক্ষণের জন্য) উপস্থিতস্য (উপস্থিত হওয়ার) অন্তরে (সময়) একঃ অপি অন্তরায়ঃ (একটিও বাধা) স্যাৎ (হয়) তদা অহম্ অপি (তাহলে আমিও) ন শক্লোমি (সমর্থ হব না) গোযুগম্ (গোরু দুটিকে) অপহতুম্ (চুরি করতে)। অতঃ (অতএব) প্রথমং (প্রথমে) ময়া (আমার দ্বারা) অপহূতে গোযুগে (গোরু দুটি চুরি করা হলে) পশ্চাৎ (পরে) ত্বয়া (তোমার দ্বারা) ব্রাক্ষ্মণঃ (ব্রাহ্মণকে) ভক্ষয়িতব্যঃ (ভক্ষণ করা উচিত)।ইখং (এইভাবে) চ (এবং) অহম্ অহমকিয়া (আমি আগে আমি আগে) তয়োঃ (তাদের দুজনের) বিবদতঃ (বিবাদ করতে করতে) সমুৎপন্নে দ্বৈধে (উৎপন্ন বিরোধে) প্রতিরববশ্যাৎ (শব্দ হওয়ার কারণে) ব্রাক্ষ্মণঃ (ব্রাহ্মণ) জজাগর (জেগে উঠল)।

বঙ্গানুবাদ :

সে বলল – “কোনোভাবে এই ব্রাহ্মণ গোরুর শব্দে জেগে গেলে আমার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।”বঙ্গানুবাদ : চোর বলল – – “যদি তোমার ভক্ষণের সময় কোনো বাধা আসে তবে আমিও গোরু দুটি চুরি করতে সমর্থ হব না। অতএব আমার দ্বারা গোরু দুটি চুরি করার পর ব্রাহ্মণকে তোমার ভক্ষণ করা উচিত।” এইভাবে ‘আমি আগে, আমি আগে’ করে পরস্পর বিবাদ ও বিরোধবশত শব্দ হওয়ার কারণে ব্রাহ্মণ জেগে উঠল।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা মূল পাঠ – 6

অথ তং চৌরোহব্রবীৎ – “ব্রাক্ষ্মণ! ত্বামেবায়ং রাক্ষসো ভক্ষয়িতুমিচ্ছতি” ইতি। রাক্ষসোঽপ্যাহ “ব্রাহ্মণ! চৌরোহয়ং গোযুগং তেহপহর্তুমিচ্ছতি।” এবং শ্রুত্বোখায় ব্রাহ্মণঃ সাবধানোভূত্বেষ্টদেবতামন্ত্রধ্যানেনাত্মানং রাক্ষসাদুদগূর্ণলগুড়েন চ চৌরাদ্ গোযুগং ররক্ষ।

সন্ধিবিহীন পাঠ ও শব্দার্থ :

অথ (তারপর) তং (তাকে) চৌরঃ (চোর) অব্রবীৎ (বলল) ব্রাক্ষ্মণ (হে ব্রাক্ষ্মণ)! তাম্ (তোমাকে) এব অয়ং (এই) রাক্ষসঃ (রাক্ষস) ভক্ষয়িতুম্ (ভক্ষণ করতে) ইচ্ছতি (ইচ্ছা করছে) ইতি (এই)।রাক্ষসঃ অপি (রাক্ষসও) আহ (বলল) ব্রাহ্মণ (হে ব্রাহ্মণ)! চৌরঃ অয়ং (এই চোর) গোযুগম্ (গোরু দুটিকে) তে (তোমার) অপহতুম (অপহরণ করতে) ইচ্ছতি (ইচ্ছা করছে)। এবং (এইরূপে) শ্ৰুত্বা (শুনে) উত্থায় (উঠে) ব্রাক্ষ্মণঃ (ব্রাহ্মণ) সাবধানঃ (সাবধান) ভূত্বা (হয়ে) ইষ্ট ৯। 8 দেবতামন্ত্র ধ্যানেন (ইষ্টদেবতার মন্ত্র ধ্যানের দ্বারা) আত্মানং (নিজেকে) রাক্ষসাৎ (রাক্ষস হতে) উদ্‌পূর্ণ লগুড়েন (উত্তোলিত লাঠি দিয়ে) চৌরাৎ (চোর হতে) গোযুগং (গোরু দুটিকে) ররক্ষ (রক্ষা করল)।

বঙ্গানুবাদ

তারপর তাকে চোর বলল, “হে ব্রাহ্মণ! এই রাক্ষস আপনাকে খেতে চাইছে ।

রাক্ষসও বলল, “হে ব্রাহ্মণ। এই চোর আপনার গোরু দুটিকে চুরি করতে চাইছে।”এইরূপ শুনে ব্রাক্ষ্মণ উঠে সাবধান হয়ে ইষ্টদেবতার মন্ত্র ধ্যানের দ্বারা নিজেকে রাক্ষসের হাত থেকে এবং উত্তোলিত লাঠি দিয়ে চোরের কাছ থেকে গোরু দুটিকে রক্ষা করল।


ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ হতে ভাবসম্প্রসারণ নিম্নে দেওয়া হল

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা হতে বড় প্রশ্ন ও উত্তরগলি নিম্নে দেওয়া হল

একাদশ শ্রেণীদ্বাদশ শ্রেণী
Class XI SyllabusHS Syllabus
Class XI Question 2015HS Question 2015
Class XI Question 2016HS Question 2016
Class XI Question 2017HS Question 2017
Class XI Question 2018HS Question 2018
Class XI Question 2019HS Question 2019
2020 (NO EXAM)2020 (NO EXAM)
2021 (NO EXAM)2021 (NO EXAM)
Class XI Question 2022HS Question 2022
একাদশ শ্রেণী সাজেশনদ্বাদশ শ্রেণী সাজেশন
একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত সাজেশন 2023HS Sanskrit Suggestion 2023
MCQ সাজেশনদ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত প্রকল্প
ছোটো প্রশ্ন উত্তর সাজেশনবাংলা থেকে সংস্কৃত অনুবাদ সাজেশন
বোধ পরীক্ষণ সাজেশনসংস্কৃত প্রবন্ধ রচনা সাজেশন
ব্যাকরণ সাজেশনব্যাকরণ সাজেশন

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত পাঠ্যাংশ ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা হতে জিজ্ঞাস্য(FAQ)

ব্রহ্মরাক্ষসের নাম কি ছিল ?

সত্যবচন

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশটির উৎস কি ?

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশটি তৃতীয় তন্ত্র কাকোলূকীয়ম্ অংশের অষ্টম সংখ্যক কাহিনি।