ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্প অবলম্বনে ব্রাহ্মণ,ব্রহ্মরাক্ষস ও চোরের বর্ণনা দাও

একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ অনুসারে ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্প অবলম্বনে ব্রাহ্মণ,ব্রহ্মরাক্ষস ও চোরের বর্ণনা দাও। অথবা, ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্পে উল্লেখিত চোর ও ব্রহ্মরাক্ষস সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্প অবলম্বনে ব্রাহ্মণ,ব্রহ্মরাক্ষস ও চোরের বর্ণনা


ভূমিকা

পন্ডিত বিষ্ণুশর্মা কর্তৃক রচিত পঞ্চতন্ত্র নামক গল্প সাহিত্যের তৃতীয় তন্ত্র কাকোলূকীয়ম্ -এর দশম কাহিনী ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পে বর্ণিত চরিত্র হল তিনটি – হতদরিদ্র ব্রাহ্মণ,চোর এবং ব্রহ্মরাক্ষস।


নিম্নে তিন চরিত্রের পরিচয় দেওয়া হল-

ব্রাহ্মণের পরিচয়ঃ-

গল্পে উল্লেখিত ব্রাহ্মণ টির নাম দ্রোন। সহায়-সম্বলহীন,ধর্মপ্রাণ দরিদ্র ব্রাহ্মন অন্যের দানে জীবন নির্বাহ করত। কোন একজন যজমান অনুকম্পাবশত দুটি গোবৎস দান করেছিল। অন্যের বাড়িতে আনা দ্রব্য তারা তাদের বাড়ি তুলে ছিল। সুতরাং পরজীবী এই ব্রাহ্মণটি বিলাশবেসন কি তা যানত না। তার দেহ হয়েছিল বড় বড় লোম, নখ,চুল ও দাঁড়িতে ভোরা। শীত,গ্রীষ্ম,ঝড় বৃষ্টিতে তার শরীর অত্যন্ত শীর্ণ হয়েছিল।


ধর্মপ্রাণ ব্রাহ্মণটি উপস্থিত বুদ্ধি দ্বারা ব্রহ্ম রাক্ষস ও চোরকে তাড়িয়ে নিজেকে এবং গরুটিকে রক্ষা করেছিল। সুতরাং দেখা যায় দরিদ্র হলেও দ্রোন ছিলেন নিষ্ঠাবান, ধার্মিক ব্রাহ্মণ এবং উপস্থিত বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত প্রবল।

চোরের বর্ণনা

চোরের নাম ক্রুরুকর্মা, তার নাম ও চরিত্রের সাদৃশ্য আছে।এই চোর অত্যন্ত নিষ্ঠুর। কারণ সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র ব্রাহ্মণের একমাত্র সম্বল গরুদুটিকে চুরি করতে চেয়েছে। আবার কাজে সফলতার জন্য ব্রহ্ম রাক্ষসের সাথে বন্ধুত্ব করেছে। ব্রহ্মরাক্ষস ব্রাহ্মণকে ভক্ষণ করবে জেনেও তাকে বাধা দেয়নি। এখানে তার নিষ্ঠুর মনের পরিচয় পাওয়া যায়।

ব্রহ্মরাক্ষসের পরিচয়ঃ-

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা গল্পে বর্ণিত তিনটি চরিত্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল ব্রহ্মরাক্ষস। এই গল্পে ব্রহ্মরাক্ষসের নাম সত্যবচন। সে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর চেহারা বিশিষ্ট। ফাঁকা,ফাঁকা দাঁত, উঁচু নাক,রক্তবর্ণ চোখ,পিঙ্গলবর্ণের দাঁড়িযুক্ত ব্রহ্মরাক্ষসের শরীর বড় বড় লোমে ঢাকা ছিল। সেই ব্রহ্মরাক্ষস ছিল ষষ্ঠাহ্নকালিক,এই উদ্দেশ‍্যে চোরের সাথে মিলিত হয়। কিন্তু ব্রহ্মরাক্ষস এর বুদ্ধি ছিল অপরিনত। নিজের কাজ আগে করবে এই বিবাদের ফলে তার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। ভয়ান দর্শন ব্রহ্মরাক্ষসের বুদ্ধি ছিল অপরিণত। ফলে এই গল্পের নিজ কার্য সমাধানে ব্যর্থ ও মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে।

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্পে ব্রাহ্মণের শারীরিক ও আর্থিক অবস্থার পরিচয় দাও।


উত্তরঃ-

ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা- গল্পে দ্রোণ নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সেই ব্রাহ্মণটি কোনো এক স্থানে বাস করত এবং অন‍্যের প্রদত্ত দানে জীবিকা নির্বাহ করত। ব্রাহ্মণটি এতই দরিদ্র ছিল যে,কখনো উত্তম বস্ত্র পরিধান করেনি। এছাড়া দ্রব‍্য,অলংকার ক্রয় করার সামর্থ তার ছিলনা। দারিদ্র বসত তাম্বুলাদি ভোজন  করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার দরিদ্রতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা উপদ্রবের শীর্ণকার শরীর। অপরদিকে অর্থাভাবে কেশ,রোম,দাঁড়ি ছেদনের অবকাশ ছিলনা। সুতরাং গল্পে বর্ণিত ব্রাহ্মণের খাদ‍্য ও বস্ত্রের চরম অভাব ছিল। যার চিত্র এই গল্পে বর্ণিত হয়েছে।

আরো পড়ুন

একাদশ শ্রেণীর পাঠ্যাংশ ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা হতে Post গুলি

গদ্যাংশপদ্যাংশ
ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথাদশাবতারস্তোত্রম্
দশকুমারচরিতম্মেঘদূতম্
নাট্যাংশ
ভারতবিবেকম্ 
Comments