সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস বিভিন্ন যুগে প্রকাশিত হয়েছে। প্রাচীনকালে সংস্কৃত সাহিত্য বিশেষভাবে উপনিষদ, বেদ, পুরাণ, মহাভারত, রামায়ণ, মহাকাব্যসমূহ ইত্যাদি মুখ্যভাবে প্রভৃতি করে। প্রাচীনকালের সাহিত্যে যোগদান, সামান্তরিক, বৈদিক শিষ্টাচার, আত্মবিশ্লেষণ, দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়গুলি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের উন্নতির উপকারিতা বোধ করানো হয়েছে।
সংস্কৃত ভাষা হিন্দুধর্মীয় সাহিত্যের মূল ভাষা হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে এবং ভারতীয় দর্শন, সাংস্কৃতিক উত্থান, ধর্মীয় শক্তি, কাব্য, নাট্য, গণিত, যোগশাস্ত্র, ভৌগোলিক গ্রন্থ ইত্যাদি বিভিন্ন শাখার সাহিত্য সৃষ্টি করেছে।
সংস্কৃত সাহিত্যের উন্নতি মধ্যকালে, গৃহগ্রন্থ, শাস্ত্র, তন্ত্র, ভাষ্য, গদ্য এবং পদকাব্য, নাট্যশাস্ত্র, কামসূত্র, অর্থশাস্ত্র, মিমাংসা, ন্যায়, সাংখ্য, যোগ, মিশ্রশাস্ত্র, ইতিহাস, ভৌগোলিক গ্রন্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লেখকগণ অনেক গ্রন্থ সৃষ্টি করে। এই সময়ে সংস্কৃত সাহিত্যে ভারতীয় দর্শন, যোগশাস্ত্র, গণিত, মূর্তিশিল্প ইত্যাদি বিষয়ে অগ্রগণ্য গণিতজ্ঞ, দার্শনিক এবং কবিরা প্রভৃতি মহান ব্যক্তিত্বের উদয় ঘটে।
আধুনিককালে, সংস্কৃত সাহিত্য মুখ্যভাবে কাব্য, নাট্য, উপন্যাস, গদ্য, প্রবন্ধ, গণিত, সাংস্কৃতিক উন্নতি, প্রবন্ধসমূহ ইত্যাদি ভাষায় প্রকাশ পায়। আধুনিক কালে বিশেষভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্যাপতি, ভাস্কর চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আনন্দকুমার স্বামী, রাজনীকান্ত বসু, কাজী নজরুল ইত্যাদি প্রমুখ বাংলা সাহিত্যিকরা সংস্কৃত ভাষায় লেখ করেন এবং সংস্কৃত সাহিত্য সৃজনে গৌরবিত হয়েছে।
এটি প্রমুখ প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য যাতে ভারতীয় সাংস্কৃতিক উত্থানের প্রধান গতিমূলক কারক হয়েছে, যা আজও বিভিন্ন আধুনিক ভাষায় প্রভৃতি বা প্রভাবিত করে সেটি ব্যাক্ত করা যায়। এটি হিন্দুধর্ম, ভারতীয় দর্শন, সাংস্কৃতিক উন্নতি এবং জ্ঞানের ভিন্নতা এবং সমৃদ্ধির একটি মূল সোতের হিসেবে গণ্য হয়।