অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হল । যাতে অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হবে ।
মহাকবি কালিদাস রচিত অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কে বর্ণিত হয়েছে শকুন্তলার পতিগৃহে যাত্রার বর্ণনা । এই অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অংককে শ্রেষ্ঠ বলা যায় কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট ধরণ হবে ।
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
উ:- মহর্ষি কণ্ব শকুন্তলার বিবাহবৃত্তান্ত দৈববানীর মাধ্যমে জানতে পারেন।
নাটকের চতুর্থ অঙ্কে শকুন্তলার পতিগৃহে যাত্রার সময় বন প্রকৃতি শকুন্তলার সাজসজ্জার উপকরণ প্রদান করেছিল। কোনো কাজ কর্তব্যস্ত দিয়েছে কোন গাছ দিয়েছে আলতা আবার কোন কোন গাছ নানারকম অলংকার দিয়ে শকুন্তলা কে সাজিয়ে তুলেছিল।
‘পীভ্যন্তে গৃহিনঃ কথংনু তনয়াবিশ্লেদুঃখৈর্নবৈঃ।”
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কে শকুন্তলার বিদায়কালে মহর্ষি কণ্ব আলোচ্য উক্তি করেছিলেন। শকুন্তলা বিদায় নেওয়ার সময় তাতে কন্ব অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েন। তার অন্তর উৎকণ্ঠায় আকুল হয়ে পড়ে, অশ্রু সংবরণ করতে গিয়ে বাগরোধ হয়ে আসে, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। তিনি ভাবেন বনবাসী তবস্বীরই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে কন্যা বিচ্ছেদকালে সংসারী ব্যক্তিরা কতই না কষ্ট পায়।
পতিগৃহে যাত্রাকালে আশ্রমত্যাগের বেদনায় শকুন্তলার ন্যায় প্রকৃতিও সমানভাবে কাতর হয়েছিল। হরিণের মুখ থেকে তৃণ খসে পড়েছিল, ময়ূরেরা নৃত্য পরিত্যাগ করেছিল। শকুন্তলার অত্যন্ত প্রিয় হরিণশিশুটি তার আঁচল ধরে টেনেছিল। জীর্ণ পাতা ঝরানোর ছলে বৃক্ষরাজিও যেন অশ্রুমোচন করছিল।
পতিগৃহে যাত্রাকালে শকুন্তলার সঙ্গে গিয়েছিলেন শাঙ্গরব, শারদ্বত এবং আশ্রমমাতা গৌতমী। শাঙ্গরবের মাধ্যমে মহর্ষি কণ্ব রাজা-দুষ্যন্তের উদ্দেশ্যে যে বার্তা প্রেরণ করেছিলেন সেটি হল –
‘ সংযমই হলো শুধু মানুষের সম্পদ। রাজা দুষ্যন্ত যেন শকুন্তলা ও অন্যান্য মহিষীদের সমানভাবে সমাধান করেন।’ এর বেশি প্রাপ্তি ভাগ্যের উপর নির্ভর করে।