অভিনিবিশশ্চ সুত্র ব্যাখ্যা ।
অভিনিবিশশ্চ
আলোচ্য সূত্রটি পাণিনীর অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থের ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত সিদ্ধান্ত কৌমুদীর কারক প্রকরণের আধারে কর্মসংজ্ঞা বিধায়ক একটি পাণিনীর সূত্র।
এখানে অনভিহিতে এই অধিকার সূত্রটি এবং আধারোঅধিকরণম্ এই সূত্রটি থেকে আধার পদটির এবং অধিশীঙস্থাসাং কর্ম- সূত্র থেকে কর্ম পদটির অনুবৃত্ত হয়েছে।
অভি-নি -বিশ্ ধাতুর আধার অধিকরণ কারক না হয়ে কর্ম সংজ্ঞা লাভ করে। তাই দীক্ষিত মহাশয় বৃত্তিতে বলেছেন-
‘অভি-নি-ইত্যেতৎ-সংঘাত পূর্বস্য বিশতেরাধারঃ কর্ম স্যাৎ।’
অর্থাৎ সংঘাৎ পূর্বক অভি ও নি উপসর্গ দুটি বিশ্ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হলে এর আধার কর্মত্ব প্রাপ্ত হয়। যেমন- ‘সাধুঃ সন্মাগম্ অভিনিবিশতে। এই উদাহরণে অভি- নি- বিশ্ ধাতুর আধারে সন্মার্গম্ অধিকরন কারকে সপ্তমী বিভক্তি না হয়ে কর্মণি দ্বিতীয়া সূত্রানুসারে কর্ম কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভি-নি-বিশ্ ধাতুর আধার কর্মকারক না হয়ে আধারই থাকে। যেমন- পাপে অভিনিবেশঃ এই সমস্ত প্রয়োগকে স্বার্থক করার জন্য দীক্ষিত মহাশয় মণ্ডূকপ্লূতি ও ব্যবস্থিত বিভাষার কথা উল্লেখ করেছেন। ‘পরিক্রয়ণে সম্প্রদানমন্যতরস্যাম্‘ – সূত্রানুসারে পাপে পদে ‘আধারোঅধিকরণম্ ‘- সূত্রানুসারে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।
সংস্কৃত কারক বিভক্তির অন্যান্য পোস্টগুলি
- ক্রিয়ার্থোপপদস্য চ কর্মণি স্থানিন
- উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি
- যতশ্চ নির্ধারণম্
- স্পৃহেরীপ্সিতঃ (১/৪/৩৬)
- অপবর্গে তৃতীয়া(২/৩/৬)
- হেতৌ
- সাধকতমং করণম্ (১/৪/৪২)
- উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ
- শেষ: টিকা
- সম্প্রদান: সংজ্ঞা
- সুত্র সহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয়
- অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তি
- সম্বদ্ধ পদ: ষষ্ঠী বিভক্তি
- অপাদান কারক ও পঞ্চমী বিভক্তি
- কর্মপ্রবচনীয়
- আম্রেড়িত
- অভিনিবিশশ্চ: কারক প্রকরণ
- রুচ্যর্থানাং প্রীয়মানঃ
- সম্প্রদান কারক: চতুর্থী বিভক্তি
- কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ
- সহযুক্তেঽপ্রধানে: করণ কারক বিধায়ক সূত্র ব্যাখ্যা
- করণ কারক: তৃতীয় বিভক্তি
- কর্ম কারক: দ্বিতীয়া বিভক্তি
- আখ্যাতোপযোগে
- ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ
- তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ (১/৪/৫০)
- কর্তৃ কারক: প্রথমা বিভক্তি
- কারক: অর্থ পার্থক্য
- কারক প্রকরণ টিকা: অপাদান
- সংস্কৃত কারক ও বিভক্তি (সম্পূর্ণ আলোচনা)
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত কারক বিভক্তি সাজেশন