দেবীসূক্ত হতে ৮ টি মন্ত্রের সংহিতা পাঠ নিম্নে দেওয়া হল ।দেবীসূক্ত হল ঋগ্বেদসংহিতার দশমমন্ডলের ১২৫তম সূক্ত।
দেবীসূক্ত
দেবীসূক্ত | ঋগ্বেদসংহিতা -দশমমন্ডল- ১২৫তম সূক্ত |
ঋষি | অম্ভৃণী বাক্ ঋষি |
দেবতা | পরমাত্মা দেবতা |
ছন্দ | ১, ৩-৮- ত্রিষ্ঠূপ্ ছন্দ ২- জগতী ছন্দ |
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-১
” অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরা
ম্যহমাদিত্যৈরুত বিশ্বদেবৈঃ।
অহং মিত্রা বরুণোভা বিভ-
র্ম্যহমিন্দ্রাগ্নী অহমশ্বিণোভা।।”
অন্বয়:- অহম্ রুদ্রভিঃ বসুভিঃ চরামি অহম্ আদিত্যৈঃ উত বিশ্বদেবৈঃ। অহম্ মিত্রাবরুণা উভা বিভর্মি অহম্ ইন্দ্রাগ্নী অহম্ উভা অশ্বিণা।
বঙ্গানুবাদ :- আমি রুদ্রগণের সঙ্গে (রূদ্রাত্মণা হয়ে বিচরণ করি, আমি বসুগণের সঙ্গে, আদিত্যগণের সঙ্গে এবং বিশ্ব দেবগণের সঙ্গে (তওদাত্মণা হয়ে) বিচরণ করি, আমি মিত্র ও বরুণ উভয়কে ধারণ করি, আমিই ইন্দ্র ও অগ্নি এবং উভয় অশ্বিণীকে ধারণ করি।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-২
” অহং সোম মাহনসংবিভ
র্ম্যহং ত্বষ্টারমুত পূষণং ভগম্।
অহং দধামি দ্রবিণং হবিষ্মতে
সুপ্রাব্যেত যজমানায় সুন্বতে।।”
বঙ্গানুবাদ:- আমি আঘাতকারী (উত্তেজক) (অথবা আঘাতের দ্বারা উৎপন্ন) সোমকে, ত্বষ্টাকে, (পুষ্টিদাতা) পূষাকে (ঐশ্বর্যদেবতা) ভগকে ভরণ করি। আমি হবির্যুক্ত (দেবতাদের ) উত্তম হবিঃ -র প্রাপয়িতা, সোমাভিষবকারী যজমানের উদ্দেশ্যে (অভীষ্টযাগফলরূপ) ধন ধারণ করি বা সম্পাদন করি।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-৩
” অহং রাষ্ট্রী সংগমণী বসূণাং
চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্
তাং মা দেবো ব্যদধুঃ পুরুত্রা
ভূরিস্থাত্রাং ভূর্যাবেশয়ন্তীম্।।”
বঙ্গানুবাদ :- আমি অধীশ্বরী, ধনের সংগ্রহিত্রী চৈতন্যবতী ও যজ্ঞার্হগণের মধ্যে মুখ্যা। তাদৃশ গুণবিশিষ্ট, বহুভাবে বিশ্বাত্মরূপে অবস্থানকারী, বহু প্রাণিবর্গের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী আমাকে দেবগণ বহুস্থানে স্থাপণ করেছেন।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-৪
” ময়া সো অন্নমত্তি যো বিপশ্যতি
যঃ প্রাণিতি য ঈং শৃণোত্যুক্তম্।
অমন্তবো মাং ত উপ ক্ষিয়ন্তি
শ্রুধি শ্রুত শ্রদ্ধিবং তে বদামি।।”
বঙ্গানুবাদ:- যিনি অন্ন ভক্ষণ করেন, দর্শন করেন, প্রাণ ধারণ করেন এবং উক্ত বিষয় শ্রবণ করেন, তিনি আমার দ্বারাই (সেই সকল কার্য ) করেন। আমার (মহিমাকে) যাঁরা জানেন না, তাঁরা ক্ষয়প্রাপ্ত বা বিনষ্ট হন। হে বিশ্রুত(শাস্ত্রজ্ঞ), শ্রবণ কর, শ্রদ্ধেয় বিষয় আমি তোমাদের নিকটে বলছি।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-৫
“অহমেব স্বয়মিদং বদামি
জুষ্টং দেবেভিরুত মানুষেভিঃ
যং কাময়ে তং তমুগ্রং কৃণোমি
তং ব্রহ্মাণং তমৃষ্ণিং তং সুমেধাম্।।”
বঙ্গানুবাদ:- আমি নিজেই দেবগনের দ্বারা এবং মনুষ্য গণের দ্বারা সেবিত এই (ব্রহ্মাত্মক তত্ত্ব ) বিষয়ে উপদেশ দিই। যাকে আমি চাই তাকে অত্যধিক বলযুক্ত, তাকে ( যাগানুষ্ঠাতা) পুরোহিত, তাকে (অতীন্দ্রিয়ার্থদর্শী) এবং ঋষি এবং উত্তম মেধাযুক্ত করে দিই।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-৬
” অহং রুদ্রায় ধনুরা তণোমি
ব্রহ্মদ্বিষে শরবে হন্তবা উ
অহং জনায় সমদং কৃণো
ম্যহং দ্যাবাপৃথিবী আ বিবেশ।।”
বঙ্গানুবাদ:- আমি রুদ্রর জন্য ব্রহ্মবিদ্বেষকারী ঘাতক শত্রুকে হত্যা করার জন্য তাঁর ধনু বিস্তার করে দিই। আমিই জনগণের জন্য (জনগণের হয়ে) সংগ্রাম করি। আমিই দ্যুলোক ও ভূলোকে প্রবিষ্ট হয়ে আছি।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ-৭
” অহং সুবে পিতরমস্য মূর্ধ
ন্মম যোনিরনস্বঅন্তঃ স মুদ্রে।
ততো বি তিষ্টে ভুবনানু বিশ্বো –
তামূং দ্যাং বর্ষ্মণোপ স্পৃশামি।।”
বঙ্গানুবাদ:- আমি এই পৃথিবীর বা পরমাত্মার মস্তকে বা উপরিভাগে দুলোককে (বা অন্তরীক্ষলোককে) সৃষ্টি করেছি। আমার উৎপত্তি পরমাত্মায় সর্ব ব্যাপক ব্রহ্মচৈতন্যে (অথবা সমুদ্রে জনকল্লোলের মধ্যে)। সেখান থেকে আমি সকল ভুবনে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন রূপে অবস্থান করছি। অধিকন্তু দূরবর্তী দ্যুলোককে (মায়াত্মক) মদীয় দেহের দ্বারা আমি স্পর্শ করছি।
দেবীসূক্ত হতে সংহিতা পাঠ -৮
” অহমেব বাত ইব প্রবা-
ম্যারভমাণা ভুবনানি বিশ্বা।
পরো দিবা পর এণা পৃথি-
ব্যৈতাবতী মহিমা সং বভূব।।”
বঙ্গানুবাদ:- আমি সকল ভুবনকে সৃষ্টি করতে করতে বায়ুর ন্যায় প্রবাহিত হই।( আপন) মহিমার দ্বারা দ্যুলোককে অতিক্রম করে, পৃথিবীকে অতিক্রম করে আমি ঈদৃশী হয়েছি।
- বৈদিক শব্দরূপ: বৈদিক যুগের ব্যাকরণের শব্দরূপের কিছু শর্ত
- ঋগ্বেদ সংহিতায়াঃ অক্ষসূক্ত ব্যাখ্যা
- ঋগ্বেদসংহিতা: অক্ষ সুক্ত
- হিরণ্যগর্ভ সুক্ত: সংস্কৃত ব্যাখ্যা
- হিরণ্যগর্ভ সূক্ত: সংহিতা পাঠ
- ঋগ্বেদে হিরণ্যগর্ভ সূক্তের বৈশিষ্ট্য
- শ্বেতাশ্বতরোপনিষদ: ঈশ্বরের স্বরূপ
- বৈদিক উপসর্গের বৈশিষ্ট্য স্বরূপ ও ব্যবহার
- ঋগ্বেদীয় ধর্মনিরপেক্ষ সূক্ত
- ঋগ্বেদসংহিতা: দেবীসূক্ত
- নদী সূক্তের বৈশিষ্ট্য
- ঋগবেদ প্রাতিশাখ্য গ্রন্থের পরিভাষাপটল: সুত্র ব্যাখ্যা
- ঋগ্বেদের দার্শনিক সূক্ত
- অগ্নি সূক্ত: ঋগ্বেদসংহিতা, প্রথম মন্ডল, প্রথম সূক্ত
- বেদ: বিনিয়োগ ব্যাখ্যা
- নাসদীয় সূক্তের দার্শনিক তাৎপর্য
- সরস্বতী দেবীর স্বরূপ
- বরুণ দেবতার স্বরূপ
- সবিতা দেবীর স্বরূপ
- ঊষা দেবীর স্বরূপ
- রুদ্র দেবতার স্বরূপ
- বিষ্ণু দেবতার স্বরূপ
- ইন্দ্র দেবতার স্বরূপ
- অগ্নিসূক্ত অনুসারে অগ্নি দেবতার স্বরূপ বর্ণনা কর
- অক্ষসূক্তে ঋকবেদের যে সমাজচিত্র ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা
- অক্ষসূক্ত হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- অক্ষসূক্তের বর্ণনা অনুযায়ী অক্ষক্রীড়কের দুর্দশাগ্রস্তের চিত্র অঙ্কন
- সংজ্ঞান সূক্ত অনুসারে একতার জন্য প্রার্থণা বর্ণনা
- সংজ্ঞান সূক্ত হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- বৃষ্টি সূক্ত হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- অগ্নিসূক্ত হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- বৃষ্টি সুক্তের বৈশিষ্ট্য