অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তির সুত্রগুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়ছে ।
অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ আলোচনা
যে স্থানে ক্রিয়া সংগঠিত হয় তা অধিকরণ কারক হয় । এই অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়।
অধিকরণ কারক
আধারোঅধিকরণম্
কোনো ক্রিয়ার আধারকে অধিকরণ বলে। অধিকরণ তিনটি অর্থে হয়ে থাকে। যথা:-
- i) ঐকদেশিক,
- ii) অভিব্যাপক,
- iii) বৈষয়িক।
ঐকদেশিক:-
কোনো ক্রিয়া যদি সমগ্র অংশের মধ্যে না হয়ে একাংশে সংগঠিত হয়, তখন তাকে ঐকদেশিক বলে। যেমন:- বনে বসতি, করে ধৃত্বা প্রাহ।
আলোচ্য উদাহরণে বাস করা ক্রিয়াটি সমগ্র বন জুড়ে না হয়ে একটি অংশে হওয়ায় ঐকদেশিক হয়েছে।
অভিব্যাপক:-
কোনো ক্রিয়ার আধার যদি সমগ্র স্থান জুড়ে অবস্থান করে তাহলে তাকে অভিব্যাপক বলে।
যেমন:- তিলেষু তৈলম্ বিদ্যতে।
বহ্নেঃ দাহিকা শক্তিঃ অস্তি।
আলোচ্য উদাহরণে সমগ্র তিল জুড়ে তৈল বিরাজ করায় এটি অভিব্যাপক হয়েছে।
বৈষয়িক:-
কোনো বিষয়ের প্রতি অনুরাগ, ইচ্ছা, ভক্তি, মতি প্রভৃতি অর্থে বৈষয়িক হয়ে থাকে।
যেমন:- বিদ্যায়াম্ অনুরাগঃ, ধর্মে মতিঃ।
আলোচ্য উদাহরণে বিদ্যা বিষয়ের প্রতি কোনো পাঠকের অনুরাগ হওয়ায় এটি বৈষয়িক হয়েছে।
সপ্তমী বিভক্তি
যে যে স্থানে সপ্তমী বিভক্তি হয় সেই সুত্রগুলি নিম্নে আলোচনা করা হল।
সপ্তম্যধিকরণে চ
অর্থাৎ অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ কটে আস্তে।
সপ্তম্যধিকরণে চ- এই সূত্রানুসারে কটে এই পদে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।
নিমিত্তাৎ কর্মযোগে(বার্তিক)
কর্মের সঙ্গে নিমিত্ত বাচক শব্দের যোগ থাকলে তাতে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন:- কেশেষু চমরীং হন্তি।
আলোচ্য উদাহরণে চমরীং হন্তি এই কর্মের সাথে নিমিত্ত বাচক কেশেষু পদের যোগ থাকায় এই বার্তিক সূত্রের প্রয়োগ হয়েছে।
নিমিত্তাৎ কর্মযোগে- এই বার্তিকানুসারে নিমিত্তবাচক কেশেষু পদে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।
যস্য চ ভাবেণ ভাবলক্ষণম্
যে ক্রিয়ার কাল দ্বারা অন্য কর্তার ক্রিয়ার কাল সূচিত হয় তাতে সপ্তমী বিভক্তি হয়হ একে ভাবে সপ্তমীও বলা হয়েছে।
যেমন:- সূর্যে উদিতে পদ্মং প্রকাশতে।
রজন্যাং প্রভাতায়াং সর্বে প্রস্থিতাঃ।
রামে আগতে শ্যাম গতঃ।
যস্য চ ভাবেণ ভাবলক্ষণম্- এই সূত্রানুসারে রজন্যাং পদে ভাবে সপ্তমী বিভক্ত হয়েছে।
ষষ্ঠী চানাদরে
ভাবে সপ্তমী স্থলে অনাদর বা উপেক্ষা করা বোঝালে তাতে ষষ্ঠী এবং সপ্তমী বিভক্তি হয়।
যেমন:- রুদতি পিতরি(রুদতঃ পিতুঃ বা) পুত্রঃ প্রাব্রাজীৎ।
ষষ্ঠী চানাদরে -এই সূত্রানুসারে পিতরি পদে অনাদর প্রকাশ করায় তাতে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে। অপরদিকে, পিতুঃ পদে অনাদর প্রকাশিত হওয়ায় অনাদরে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে।
যতশ্চ নির্ধারণম্
জাতি, গুন, ক্রিয়ার দ্বারা একটি সমুদায় থেকে একাংশকে পৃথক করা হলে তাতে ষষ্ঠী অথবা সপ্তমী বিভক্তি হয়।
উদা:- নৃণাং বা (ণৃষু ) ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠঃ। (জাতি)
গোষু (গবাং বা) কৃষ্ণা বহুক্ষীরা (গুন)
গচ্ছতাং (গচ্ছতষু) ধাবন্ত শীঘ্রতম্।(ক্রিয়া)
যোধেষু (বা যোধানাং) অর্জুন শ্রেষ্ঠঃ (সংজ্ঞা)
যতশ্চ নির্ধারণম্- এই সূত্রানুসারে জাতিবাচক ণৃনাং পদে নির্ধারণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়েছে।
ক্তস্যেন বিষয়স্য কর্মণি (বা)
ক্ত প্রত্যয়ান্ত শব্দের উত্তর ইণি প্রত্যয় করলে তাতে কর্মে বিকল্পে সপ্তমী বিভক্তি হয়। উদা:- ইষ্টী যাগেষু, অধীতী ব্যাকরণে।
ক্তস্যেন বিষয়স্য কর্মণি- এই বার্তিক নিয়ম অনুসারে ইনি প্রত্যয়ের যোগে ব্যাকরণে পদে কর্মে সপ্তমী বিভক্তি হয়েছে।
কারক বিভক্তির অন্যান্য পোস্টগুলি
- ক্রিয়ার্থোপপদস্য চ কর্মণি স্থানিন
- উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি
- যতশ্চ নির্ধারণম্
- স্পৃহেরীপ্সিতঃ (১/৪/৩৬)
- অপবর্গে তৃতীয়া(২/৩/৬)
- হেতৌ
- সাধকতমং করণম্ (১/৪/৪২)
- উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ
- শেষ: টিকা
- সম্প্রদান: সংজ্ঞা
- সুত্র সহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয়
- অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তি
- সম্বদ্ধ পদ: ষষ্ঠী বিভক্তি
- অপাদান কারক ও পঞ্চমী বিভক্তি
- কর্মপ্রবচনীয়
- আম্রেড়িত
- অভিনিবিশশ্চ: কারক প্রকরণ
- রুচ্যর্থানাং প্রীয়মানঃ
- সম্প্রদান কারক: চতুর্থী বিভক্তি
- কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ
- সহযুক্তেঽপ্রধানে: করণ কারক বিধায়ক সূত্র ব্যাখ্যা
- করণ কারক: তৃতীয় বিভক্তি
- কর্ম কারক: দ্বিতীয়া বিভক্তি
- আখ্যাতোপযোগে
- ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ
- তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ (১/৪/৫০)
- কর্তৃ কারক: প্রথমা বিভক্তি
- কারক: অর্থ পার্থক্য
- কারক প্রকরণ টিকা: অপাদান
- সংস্কৃত কারক ও বিভক্তি (সম্পূর্ণ আলোচনা)
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত কারক বিভক্তি সাজেশন