অপাদান কারক প্রকরণ টিকা
কারক প্রকরণ হতে টিকা অপাদান
পাণিনীর অষ্টাধ্যায়ী গ্রন্থে ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত সিদ্ধান্ত কৌমুদীর কারক প্রকরণে অপাদান শব্দটি পাওয়া যায়।
অপ্ পূর্বক আঙ্ পূর্বক দা ধাতুর ভাববাচ্য ল্যুট্ প্রত্যয় করে অপাদান শব্দটির নিষ্পত্তি হয়েছে। যে বস্তু থেকে কোন কিছুর বিচ্ছেদ হয়, তাহা যদি ধ্রুব অর্থাৎ অবিচলিত হয় এবং কারক হয় তবে সে কারক হয় অপাদান কারক।
সূত্র হল – ধ্রুবমপায়েঅপাদানম্
অপায় কথার অর্থ বিশ্লেষ। যে নির্দিষ্ট সীমা থেকে কোন কিছুর আরম্ভ বা বিচ্ছেদ হয়, তাহাই অবধিভূত। অপায় বা সংযোগ পূর্বক বিশ্লেষ বোঝালে ধ্রুব অচল বা সচল যা হতে বিশ্লেষ নিরুপিত হয় তা অপাদান কারক হয়।
আবার দীক্ষিত মহাশয় বৃত্তিতে বলেছেন-
‘অপায়ো বিশ্লেষঃ। তস্মিন্ সাধ্যে ধ্রুবম্ অবধিভূতং কারকমপাদানং স্যাৎ। ‘
ব্যাবহার নিষ্পাদনের জন্য ধ্রুব শব্দ আপেক্ষিক স্থিরত্ব অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যথা- বৃক্ষাৎ পত্রং পততি।
অপাদানে পঞ্চমী সূত্র দ্বারা পঞ্চমী বিভক্তি প্রাপ্ত হয়েছে।
অপাদান কারকের ভেদ
অপাদান কারক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভেদে দ্বিবিধ হতে পারে। যেমন- বৃক্ষাৎ পত্রং পততি- এই বাক্যে বৃক্ষ হতে পত্রের বিচ্ছেদ প্রত্যক্ষ। কিন্তু উপাধ্যায়াৎ বচনং শৃণোতি- এই বাক্যে বিচ্ছেদ প্রত্যক্ষ নয়। কারণ উপাধ্যায়ের উপাধ্যায়ের মুখ থেকে শব্দ নিঃসরণ চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা যায় না। অতএব অপাদান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভেদে দ্বিবিধ।
পাণিনী ও কাত্যায়ণ অপাদান বিষয়ে যে সকল বিশেষ বিশেষ সূত্র ও বার্তিক প্রণয়ন করেছেন সেগুলির মধ্যে সাতটি পাণিণী সূত্র অর্থাৎ ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ – সূত্র থেকে আরম্ভ করে ভুবঃ প্রভবঃ পর্যন্ত। আবার বার্তিকগুলি ভাষ্যকার গৌণ বা বুদ্ধি কল্পিত অপায় অবলম্বন পূর্বক প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অতিরিক্ত স্থলে অপাদান
অপাদানের যে সাধারন লক্ষণ বলা হয়েছে তদ্ব্যতিরিক্ত স্থলেও অপাদান হয়। যেমন-
i) ভয়ার্থক ও ত্রাণার্থক ধাতুর যোগে ভয় ও ত্রাণের কারণ অপাদান হয়। এবং তাতে পঞ্চমী বিভক্তি হয়।
যথা- ব্যাঘ্রাৎ বিভেতি। সূত্র হল- ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ।
ii) পরা -জি ধাতুর প্রয়োগে অসহনীয় বিষয় অপাদান হয়।
যথা- অধ্যয়ণাৎ পরাজয়তে। সূত্র হল- পরাজেরসোঢ়ঃ।
iii) বারণার্থ ধাতুর প্রয়োগে বারণ ক্রিয়ার যাহা ইপ্সিত বিষয় , তাহা অপাদান কারক হয়।
যথা- যবেভ্যো গাং বারয়তি। সূত্র হল- বারণার্থাণামীপ্সিতঃ।
iv) দৃষ্টিপথ থেকে অপসরন বোঝালে কর্তা যার দৃষ্টি পরিহার করতে ইচ্ছা করে তা অপাদান হয়।
যথা- মাতুর্নিলীয়তে কৃষঃ। সূত্র হল ‘অন্তর্ধৌযেনাদর্শনমিচ্ছতি।
v) যথা নিয়মে বিদ্যাগ্রহণ করলেই উপযোগ হয়। উপযোগ বোঝাইলে বক্তা অপাদান হয়।
যথা- উপাধ্যায়াদধীতে। সূত্র হল – আখ্যাতোপযোগে।
vi) উৎপন্ন পদার্থের উপাদান কারণ অপাদান হয়।
যথা- ব্রাহ্মণঃ প্রজাঃ প্রজায়ন্তে। সূত্র হল – জনিকর্তুঃ প্রকৃতিঃ।
vii) আবির্ভূত অর্থাৎ প্রকাশিত পদার্থের প্রথম প্রকাশ স্থান অপাদান হইবে।
যথা- হিমবতো গঙ্গা প্রভবতি। সূত্র হল- ভুবঃ প্রভবঃ।
- ক্রিয়ার্থোপপদস্য চ কর্মণি স্থানিন
- উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি
- যতশ্চ নির্ধারণম্
- স্পৃহেরীপ্সিতঃ (১/৪/৩৬)
- অপবর্গে তৃতীয়া(২/৩/৬)
- হেতৌ
- সাধকতমং করণম্ (১/৪/৪২)
- উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ
- শেষ: টিকা
- সম্প্রদান: সংজ্ঞা
- সুত্র সহ কারক ও বিভক্তি নির্ণয়
- অধিকরণ কারক ও সপ্তমী বিভক্তি
- সম্বদ্ধ পদ: ষষ্ঠী বিভক্তি
- অপাদান কারক ও পঞ্চমী বিভক্তি
- কর্মপ্রবচনীয়
- আম্রেড়িত
- অভিনিবিশশ্চ: কারক প্রকরণ
- রুচ্যর্থানাং প্রীয়মানঃ
- সম্প্রদান কারক: চতুর্থী বিভক্তি
- কর্তুরীপ্সিততমং কর্মঃ
- সহযুক্তেঽপ্রধানে: করণ কারক বিধায়ক সূত্র ব্যাখ্যা
- করণ কারক: তৃতীয় বিভক্তি
- কর্ম কারক: দ্বিতীয়া বিভক্তি
- আখ্যাতোপযোগে
- ভীত্রার্থানাং ভয়হেতুঃ
- তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ (১/৪/৫০)
- কর্তৃ কারক: প্রথমা বিভক্তি
- কারক: অর্থ পার্থক্য
- কারক প্রকরণ টিকা: অপাদান
- সংস্কৃত কারক ও বিভক্তি (সম্পূর্ণ আলোচনা)
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত কারক বিভক্তি সাজেশন