অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে প্রশ্ন উত্তর ( Abhijnanasakuntalam Short questions and answers pdf for SLST / HONS and Pass) । কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম pdf দেওয়া হল । অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের বিষয়বস্তু ও অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর কাহিনী দেখুন। কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে অন্যন্য প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল।
অভিজ্ঞান শকুন্তলম ছোট প্রশ্ন উত্তর (Abhijnanasakuntalam Short questions and answers pdf)
নাট্যশাস্ত্রের পরিভাষায় অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম শ্লোকটিকে কি শ্লোক বলা হয়? এরকম বলার কারন কি?
নান্দী কাকে বলে?
নাট্যশাস্ত্রের পরিভাষায় অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম শ্লোকটিকে নান্দী শ্লোক বলা হয়।নান্দী শব্দের অর্থ মঙ্গল। নাটকের প্রারম্ভিক শ্লোকে ইষ্ট,দেবতা, ব্রাহ্মণ ও রাজা প্রভৃতির স্তুতি এবং আশীর্বাদ সূচক প্রার্থনা থাকে বলে উক্ত শ্লোককে নান্দী শ্লোক বলা হয়।
2) যদি নেপথ্য বিধানমবসিতম্ ইতস্তাবদাগম্যতাম্ – গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? নেপথ্যবিধানম্ শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা কর।
উঃ-অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রস্তাবনা অংশে নটীকে উদ্দেশ্য করে সূত্রধর একথা বলেছেন। নেপথ্য শব্দের অর্থ অভিনেতা -অভিনেত্রীর সাজসজ্জাগ্রহন ও সাজসজ্জা গ্রহনের স্থান। বিধান অর্থাৎ তৎসংক্রান্তকার্য। অতএব নেপথ্যবিধানম্ শব্দের অর্থ নাটকীয় পাত্র পাত্রীর সাজসজ্জা ও সাজঘরের অন্যান্য কার্য যার মধ্যে পূর্বরঙ্গের কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
3) দিবসাঃ পরিনামরমনীয়াঃ -গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কখন দিবস গুলি পরিনামরমনীয় হয়? বক্তাকে অনুসরন করে তার পরিচয় দাও।
উঃ- কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রস্তাবনায় সূত্রধার একথা বলেছেন।
গ্রীষ্মকালে দিনগুলি পরিনামরমনীয় হয় অর্থাৎ দিনের শেষভাগ উপভোগ্য হয়।
গ্রীষ্মে জলে স্নান অত্যন্ত আরামদায়ক। পাটল বা পিয়ল ফুলের সুগন্ধে এ সময় বনের বাতাস থাকে সুরভিত,বৃক্ষের শীতল ছায়ায় সহজেই ঘুম আসে চোখে এবং দিনের শেষভাগ অত্যন্ত উপভোগ্য ও মনেরম হয়।
4) ভগবান্ কাশ্যপঃ শাশ্বতে ব্রহ্মণি স্থিত ইতি প্রকাশঃ- সঠিক গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কার উক্তি? শাশ্বতে ব্রহ্মণি- শব্দের অর্থ তাৎপর্য নির্দেশ কর।
উঃ- মহাকবি কালিদাস বিরচিত কালজয়ী নাটক অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ -এর প্রথম অংক থেকে উদ্ধৃতিটি গৃহীত।
রাজা দুষ্যন্ত ঋষিকুমারদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় একথা বলেছেন।
শাশ্বতে ব্রহ্মণি- কথাটির অর্থ আজীবন বা চিরকালীন ব্রহ্মচর্য। মহর্ষি কন্ব আজীবন ব্রহ্মচারী অর্থাৎ নৈষ্ঠিক ব্রহ্মচারী ছিলেন- রাজার বক্তব্যের অভিপ্রায় হল এই।
5) চীনাংশুকমিব কেতোঃ প্রতিবাতং নীয়মানস্য- কার উক্তি? বাক্যে ব্যবহৃত উপমাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- কালিদাসের অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম অংকের শেষে রাজা দুষ্যন্ত একথা বলেছেন।
শকুন্তলার প্রতি আসক্ত রাজার মন তপোবনে শকুন্তলার সন্নিধানে থেকে যেতে চায়। কিন্তু তার সৈন্যসামন্তদের উপদ্রব থেকে আশ্রমকে রক্ষার জন্য তাকে অবিলম্বে আশ্রমের বাইরে যেতে হবে। তাই কর্তব্যের খাতিরে শরীর আগে আগে চললেও মন পড়ে থাকতে চাইছে পিছনে। যেমন বাতাসের প্রতিকূলে নিয়মান পতাকা সমেত দন্ড আগে আগে চললেও তৎসংলগ্ন চীনদেশীয সূক্ষ্ম বস্ত্রে তৈরি পতাকাটি পেছনের দিকে উঠতে থাকে।
6) মূল কাহিনী থেকে কালিদাস এই নাটকে যেসব পরিবর্তন সাধন করেছেন তার মধ্যে দুটি উল্লেখ্য পরিবর্তনের কথা বিবৃত করো।
উঃ- মহাভারতের আদি পর্বে বিবৃত শকুন্তলার যে কাহিনী থেকে কালিদাস তার নাটকের কাহিনী গ্রহণ করেছেন,সেটি নিতান্তই সাদামাটা বা মামুলি প্রেম কাহিনী। কালিদাসের অসাধারণ প্রতিভার গুনেই তা যুগান্তকারী সৃষ্টিতে পরিণত হয়েছে। সেজন্য কালিদাসের নাটক আমরা মূল কাহিনী থেকে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তার মধ্যে দুটি উল্লেখ্য পরিবর্তন হল দুর্বাসার অভিশাপ ও শকুন্তলার সখি রূপে অনসূয়া প্রিয়ংবদা চরিত্র দুটির সংযোজন।
7) আর্যে!অভিরুপভূয়িষ্ঠা পরিষদিয়ম্। গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার প্রতিকে এই কথা বলেছেন? এরুপ বলার উদ্দেশ্য কি?
উঃ-কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের প্রস্তাবনা অংশে সূত্রধর নটীকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
প্রেক্ষাগৃহে সমবেত দর্শক ও শ্রোতৃমন্ডলীকে নাটক তথা তাঁর রচয়িতার নাম প্রভৃতি জ্ঞাপিত করার পূর্বে সূত্রধর এই উক্তি করেছেন।
উপস্থিত দর্শক মন্ডলী শিক্ষিত,রুচিসম্পন্ন ও রসবেত্তা। তাদের সামনে নাটকটিকে সুষ্ঠু ভাবে উপস্থাপিত করা উচিত – এরকম ধারনার বশবর্তী হয়ে সূত্রধার একথা বলেছেন।
8) মৃগানুসারিনং সাক্ষাৎ পশ্যমীব পিমাকিনম্- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার প্রতি কে এই উক্তি করেছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংশকে ধনুর্বাণ ধারী মৃগের পশ্চাদ্ধাবনরত রাজা দুষ্যন্তকে দেখে তার রথের সারথি বিনষ্ট দক্ষ যজ্ঞের পর মৃগের রূপ ধরে পলায়নরত যজ্ঞের পশ্চাত ধাবনকারী শিবের সঙ্গে তুলনা করে একথা বলেছেন।
9) অভিজ্ঞানশকুন্তলম নাটক প্রথম কোন ঋতুতে অভিনীত হয়েছিল?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রস্তাবনা অংশে নটীর প্রতি উচ্চারিত- তদিদমেব তাবদচিরপ্রবৃত্তমুপভোগক্ষমং গ্রীষ্মসময়মধিকৃত্য গীয়তাম্’- উক্তি থেকে জানা যায় যে এই নাটক প্রথম গ্রীষ্মকালে অভিনীত হয়েছিল।
10) অস্মিনক্ষনে বিস্মৃতং খলুময়া- উক্তিটির গ্রন্থ স্থান লেখ। উক্তিটি কার? বিস্মৃতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রস্তাবনা অংশে সূত্রধর নটীর প্রতি এই উক্তি করেছেন।
নটীর গান শোনার পর আত্মপহৃত,বিমুগ্ধচিত্ত সূত্রধর স্বীকার করেছেন যে তিনি অভিনেতব্য দৃশ্যকাব্যটির শ্রেণী নির্ণায়ক পূর্ব কথিত নাম বিস্মৃত হয়েছেন- আগে নাটক বলে পরে প্রকরণ বলেছেন। সূত্রধরের এই বিস্মৃত কিন্তু নাটকে কোন বিচ্ছিন্ন, তাৎপর্যহীন ঘটনা নয়,কারণ নাটকে একাধিক বিস্মৃতির ঘটনা -যেমন,দুর্বাসাকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে শকুন্তলা বিস্মৃত- বিদ্যমান এবং এই বিস্মৃতির সূত্রে নাটকটি ঘাত-প্রতিঘাতে মুখর ও তাৎপর্য মন্ডিত হয়ে উঠেছে।
11) এব রাজেব দুষ্যন্তঃ সারঙ্গে নাতিরংহসা- কার প্রতি কার উক্তি? সারঙ্গ শব্দটির কি কি অর্থে এখানে ব্যবহৃত?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রস্তাবনায় সূত্রধর নটীর গানে মুগ্ধ হয়ে তার উদ্দেশ্যে এই কথা বলেছেন।
সারঙ্গ শব্দটি এখানে দুটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথমত সারঙ্গ একপ্রকার হরিণকে বুঝিয়েছে। দ্বিতীয়তঃ ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের একটি রাগকে বুঝিয়েছে- দাবদগ্ধ গ্রীষ্মদিনের শেষে তাপহরা বর্ষার আগমনকে যা সূচিত করে।
12) প্রত্যক্ষভিঃ প্রপন্নস্তনুভিরবতু বস্তাভিরষ্ঠাভিরীশঃ- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। এখানে কার কয়টি মূর্তির কথা উল্লিখিত হয়েছে?
উঃ- কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকের প্রথম শ্লোকে অর্থাৎ নান্দী শ্লোকে দেবাদিদেব মহাদেবের আট প্রকার মূর্তির কথা বলা হয়েছে।
এই আট প্রকার মূর্তি হল- জল (যা ব্রহ্মার পূর্ববর্তী),হব্যবাহ অগ্নি, হোম কর্তা যজমান, সময়বিধায়ক সূর্য ও চন্দ্র,আকাশ, সর্বপ্রানীর আশ্রয় পৃথিবী এবং প্রানীবর্গের বলাধায়ক বায়ু।
13) অভিজ্ঞানশকুন্তলম নাটকের প্রস্তাবনায় নটীকৃত গ্রীষ্মবন্দনার বিষয় বর্ণনা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রস্তাবনায় সূত্রধরের অনুরোধে নটি অবলম্বন করে যে গানটি করেন তার বিষয় হল- বিলাসিনী রমনীগন এই গ্রীষ্মকাল অবলম্বন করে যে গানটি করেন তার বিষয় হল বিলাসিনী রমণীগণ এই গ্রীষ্মসময়ে ভ্রমরের দ্বারা ঈষত্ চুম্বিত কোমল কেশরাগ্রযুক্ত শিরীষ কুসুম তাদের কোমল হাতে কানের অলংকার রূপে পরিধান করেছেন।
14) ধাবন্ত্যমী মৃগজবাক্ষময়েব রথ্যাঃ- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। রথ্যা -গুলির দ্রুতগমনের বর্ণনা দাও।
উঃ- কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকের রাজা দুষ্মন্ত তার সারথি কে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন।
তাঁর রথের ঘোড়াগুলির শরীরের সম্মুখভাগ প্রসারিত, মস্তকে স্থাপিত চামরশিখাগুলি স্থির,কর্নদুটি নিস্পন্দ,নিজেদের খুর থেকে ওঠা ধুলো এদের অতিক্রম করতে অসমর্থ। এরা যেন সামনে ছুটন্ত হরিণের গতিবেগকে সহ্য করতে না পেরে অতি দ্রুত ছুটছে।
15) অকথিতোঅপি জ্ঞায়তে এব যথায়মাভোগস্তপোবনস্যেতি- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কার উক্তি? বক্তা কি বুঝলেন যে তিনি আশ্রমসন্নিকটে উপস্থিত হয়েছেন?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম অংকে রাজা দুষ্মন্ত তার সারথি কে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন।
রাজা লক্ষ্য করেছেন যে শুখ পাখি থাকে এমন গাছের কোটর থেকে নিবার ধান গাছের নিচে ছড়িয়ে আছে। কোনো কোনো স্থানে ইঙ্গুদীফল ভাঙার পাথর পড়ে আছে। কোথাও কোথাও হরিণ গুলি রথের শব্দেও ছুটে পালাচ্ছে না। সরোবরে যাওয়া আসার পথ ঋষিদের পরিধেয় থেকে ঝরে পড়া জলের ফোটায় চিহ্নিত হয়ে আছে এসব দেখেই (কেউ তাকে বলে না দিলেও) তিনি বুঝতে পেরেছেন যে তিনি আশ্রম সন্নিধানে উপস্থিত হয়েছেন।
16) ন খলু ন খলু বানঃ সন্নিপাত্যোঅয়মস্মিন্- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? নিষেধের প্রকৃত লক্ষ্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকে রাজা দুষ্মন্তকে উদ্দেশ্য করে আশ্রমের ঋষিকুমার বৈখনাস একথা বলেছেন।
যদিও আপাতভাবে এখানে আশ্রমের হরিণ কে হত্যা করা থেকে রাজাকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে তবু এই হননকর্ম নিষেধের প্রকৃত লক্ষ্য হল আশ্রমের সর্বাধিক প্রিয় প্রাণী,মহর্ষি কন্বের স্নেহমৃগ শকুন্তলা।
17) সদৃশমেতত্ পুরুবংশপ্রদীবস্য ভবতঃ- গ্রন্থস্থান কি? কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? সদৃশ কার্যটি কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম অংকে কন্বাশ্রমের ঋষিকুমার বৈখানস রাজা দুষ্যন্তকে একথা বলেছেন।
ঋষিকুমার বৈখানস হননোদ্যত রাজা দুষ্যন্তকে আশ্রম মৃগকে হত্যা করা থেকে নিবৃত্ত থাকতে অনুরোধ করলে রাজা সঙ্গে সঙ্গে ঋষিবাক্য অঙ্গীকার থেকে মৃগহত্যা থেকে বিরত হয়েছেন। ঋষিবাক্য অঙ্গীকাররূপ এই সৌজন্যকে ঋষিকুমার বৈখানস মহান পুরুবংশের মহান রাজা দুষ্যন্তের যোগ্য বা অনুরূপ কার্য বলে নির্দেশ করেছেন।
18) দুষ্যন্ত যখন কন্বাশ্রমে আসেন তখন মহর্ষি কন্ব কোথায়,কিসের জন্য গিয়েছেন?
উঃ- মৃগয়ায় বেরিয়ে দুষ্যন্ত যখন কন্বাশ্রমে আসেন তখন মহর্ষি কন্ব তার পালিত কন্যা শকুন্তলার দূরদৃষ্ট শান্তির জন্য সোমতীর্থে অর্থাৎ প্রভাসে গিয়েছিলেন। রাজা ঋষিকুমার বৈখানসের কাছ থেকে এই খবর জানতে পারেন।
19) রাজা দুষ্মন্তের আশ্রম পরিদর্শন কালে আশ্রম থেকে মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতি কোন নাটকীয় উদ্দেশ্য সাধন করেছে?
উঃ- রাজা যখন আশ্রমে আসেন তখন মহর্ষি কন্ব আশ্রমে উপস্থিত ছিলেন না। মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতিতে নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ দুষ্যন্ত শকুন্তলার প্রনয় নির্বিঘ্নে সংঘটিত হতে পেরেছে- যার পরিনতি ঘটেছে তৃতীয় অঙ্কে উভয়ের গান্ধর্ববিধানে বিবাহের দ্বারা।
20) বিনীতবেশেন প্রবেষ্টব্যানি তপোবনানি নাম- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার? কেন বিনীতবেশে আশ্রমে প্রবেশ করতে হয়?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকে রাজা দুষ্মন্ত সারথি কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
আশ্রম শান্তি, সংযম ও ত্যাগের স্থান। অলংকার মুকুট প্রভৃতি রাজার আভরণ সমূহ ভোগের রাজকীয় ক্ষমতার ও ঐশ্বর্যের চিহ্ন ও প্রতীক। তাই ভোগ চিহ্ন বর্জন করে বিনীতবেশে, সংযতভাবে, শান্তহৃদয়ে আশ্রমে প্রবেশ করতে হয়।
21) দূরীকৃতাঃ খলু গুনৈরুদ্যানলতা বনলতাভিঃ- উক্তিটি কার? উদ্যানলতা ও বনলতা শব্দের অর্থ কী?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে দুষ্যন্ত জলসেচনের জন্য আগত আশ্রমকন্যাদের দেখে একথা বলেছেন।
এখানে উদ্যানলতা বলতে রাজার অন্তঃপুরিকাদের এবং বনলতা শব্দের দ্বারা আশ্রম কন্যাদের বোঝানো হয়েছে। পিজ্ঞরাজ পক্ষী অপেক্ষা বনবিহারী বিহঙ্গিনীর আকর্ষন অধিকতর একথাই রাজা বোঝাতে চেয়েছেন।
22) অসাধুদর্শী খলু তত্রভবান্ কাশ্যপঃ – উক্তিটি কার? কেন মহর্ষি কাশ্যপ অসাধুদর্শী?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত একথা বলেছেন।
মহর্ষি কন্বের আদেশে শকুন্তলা আশ্রমবৃক্ষে জলসেচনে রত – সখীদের মুখে একথা শুনে রাজা ঋষিকে অসাধুদর্শী অর্থাৎ অবিবেচক -এরকম মন্তব্য করেছেন।
কারন,রাজা মনে করেন,শকুন্তলার মতো কোমলাঙ্গী কন্যাকে জলসেচনের মতো শ্রমসাধ্যকর্মে নিযুক্ত করা নীল পদ্মের পাতার ধার দিয়ে শমীগাছের শাখাছেদনের ন্যায় সমান অবিবেচনাপ্রসূত কর্ম।
23) কিমিবহি মধুরানাং মন্ডনং নাকৃতিনাম্- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথম অঙ্কে বল্কলপরিহিতা,অনিন্দ্যসুন্দর শকুন্তলাকে দেখে রাজা দুষ্যন্ত এই উক্তি করেছেন।
পদ্মশৈবালে পরিবৃত হলেও সুন্দর। চাঁদের কলঙ্ক মলিন হলেও তা চাঁদের শোভাবর্ধন করে। শকুন্তলা সামান্য বল্কল পরলেও সে অপরূপা “কী নহেভূষন তার যে জন সুন্দর।
24) অসংশয়ং ক্ষত্রপরিগ্রহক্ষমা- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। উক্তিটি কার? কে ক্ষত্র পরিগ্রহক্ষমা এবং কেন?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত একথা বলেছেন।
কন্বকন্যা শকুন্তলাই এখানে ক্ষত্রপরিগ্রহক্ষমা অর্থাৎ ক্ষত্রিয়ের পরিনয় যোগ্য।
শকুন্তলাকে দেখে রাজা আকৃষ্ট হলেও তিনি ক্ষত্রিয়ের পরিণয় যোগ্য কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ সংশয় মুক্ত হতে পারছিলেন না,দুষ্মন্ত সুপ্রসিদ্ধ পুরুবংশের রাজা আর সংশয়স্থলে সজ্জন ব্যক্তির মানসিক প্রবৃত্তি তার ইতি কর্তব্য নির্দিষ্ট করে দেয। অতএব শকুন্তলার প্রতি তার হৃদয়ের আকর্ষণেই এ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ যে শকুন্তলা ক্ষত্রিয়ের পরিণয়যোগ্যা।
25) বয়ং তত্ত্বান্বেষান্ মধুকর হতাস্ত্বং খলু কৃতী- উক্তিটি কার? তত্ত্ব কি? মধুকর কৃতী কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকে রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
শকুন্তলা ব্রাহ্মনকন্যা ন ক্ষত্রিয়কন্যা, শকুন্তলা রাজা কর্তৃক পরিনয়যোগ্য কিনা রাজার এসব ভাবনাই এখানে তত্ত্ব রূপে আখ্যাত।
মধুকর কৃতী অর্থাৎ ভাগ্যবান,কারন সে শকুন্তলার মুখের,কানের কাছেই আছে অধর সুধা পান করছে,কানে গোপনে যেন কি বলছে।
26) যঃ পৌরবেন রাজ্ঞা ধর্মাধিকারে নিযুক্তঃ- উক্তিটি কার? বক্তা যেভাবে তার পরিচয় দিয়েছেন,তার কি কি অর্থ হতে পারে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের প্রথম অংকে রাজা দুষ্মন্ত অনসূয়া প্রভৃতি আশ্রম কন্যাদের কাছে নিজের পরিচয় প্রদান প্রসঙ্গে একথা বলেছেন।
বক্তা দুষ্যন্ত যেভাবে তার পরিচয় বিবৃত করেছেন,তার দুরকম অর্থ হতে পারে – পুরুবংশের রাজা দুষ্যন্ত আমাকে ধর্মাধিকারে নিযুক্ত করেছেন এবং পুরু বংশের রাজা যাকে ধর্মধিকারে নিযুক্ত করেছেন।
27) ন প্রভাতরলং জ্যোতিরুদেতি বসুধাতলাত্ – কার সম্পর্কে এই উক্তি করেছেন? কার সঙ্গে প্রভাতরনংজ্যোতিঃ – এর সাদৃশ্য কথিত হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত আশ্রম কন্যা শকুন্তলার আলোক সামান্য রূপ প্রসঙ্গে একথা বলেছেন।
প্রভাতরলজ্যোতিঃ- অর্থাৎ আকাশ সম্ভূত বিদ্যুত। শকুন্তলা অপ্সরার গর্ভজাত সন্তান -একথা জেনে রাজা তাকে আকাশ সম্ভব বিদ্যুতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একথা বোঝাতে যে বিদ্যুতের দীপ্তি যেমন মৃত্তিকা থেকে উৎপন্ন হয় না তেমনি শকুন্তলার সৌন্দর্যও আলোক সম্ভব অর্থাৎ পৃথিবীতে উৎপন্ন হয় না।
28) আশঙ্কসে যদগ্নিং তদিদং স্পর্শক্ষমং রত্নং- গ্রন্থস্থান নির্দেশকর। উক্তিটি কার? স্পর্শক্ষমরত্ন’-কে? তাকে অগ্নি বলে কেন আশংকা করা হয়েছিল?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত আশ্রমকন্যা শকুন্তলার প্রসঙ্গে একথা বলেছেন।
কন্বকন্যা শকুন্তলাই এখানে রাজা দুষ্যন্ত তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হন। শকুন্তলাকে প্রথমত তিনি তপস্বিকন্যা বলে মনে করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ক্ষত্রিয় দুষ্যন্ত কর্তৃক তপস্বিকন্যা শকুন্তলা অলভ্যা অপরিনয়যোগ্যা হত। তাই রাজা শকুন্তলাকে স্পর্শের অযোগ্য অগ্নি বলে মনে করেছিলেন। পরে শকুন্তলাকে ক্ষত্রিয় কন্যা জেনে তিনি তাকে স্পর্শযোগ্য রত্ন বলে উল্লেখ করেছেন।
29) ধর্মারন্যং প্রবিশতি গজঃ স্যন্দনালোকভীতঃ- উক্তিটি কার? ধর্মারন্য কি? উল্লিখিত গজটি কি গজ,না অন্য কিছু?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে নেপথ্য থেকে এক ঋষিকুমার একথা বলেছেন।
ধর্মারন্য হল ধর্মের অরন্য বা ধর্মসাধনের নিমিও অরন্য অর্থাৎ তপোবন।
তপোবন।
অর্থাৎ গজটি একটি মত্ত গজ বা মত্তহস্তী হলেও শান্তরসপ্রধান ধর্মারন্যে প্রবিষ্ট মত্ত গজটি প্রনয়মত্ত রাজা দুষ্যন্ত। তাঁর কামনাগ্নির ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন তপোবন। সংযম-বন্ধনকে পদদলিত করে তিনি প্রনয় ক্ষুধানিবৃত্তির জন্য আশ্রমের দিকে ধাবমান।
30) অনেন আরন্যকবৃত্তান্তেন পর্যাকুলা স্মঃ- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। উক্তিটি কার? আরন্যকবৃত্তান্ত কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কে অনসূয়া রাজা দুষ্যন্তকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
তপোবনে একটিও মত্ত হস্তী প্রবেশ করে গাছপালা ভাঙছে। তীব্র আঘাতে তার একটি দাঁত গাছে গেঁথে আছে। তাকে দেখে হরিনগুলি চারিদিকে ছুটে পালাচ্ছে। তপোবনে হাতীর এই উপদ্রবই এখানে আরন্যকবৃত্তান্ত শব্দের দ্বারা উল্লেখিত।
31) তাবত্ প্রতিপালয়তং মাং যাবদ্ এতং মোচয়ামি- উক্তিটি কার? বক্তা কি মোচন করার কথা বলেছেন? মোচন লক্ষ্য,না উপলক্ষ্য?
উঃ-অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের প্রথমাঙ্কের শেষে সখীদের সঙ্গে কুটীরের দিকে যেতে যেতে শকুন্তলা একথা বলেছেন।
বক্তা শকুন্তলা তাঁর পা থেকে কুশের কাঁটা তোলা ও গাছের ডাল থেকে পরনের বল্কল ছাড়ানোর কথা বলেছেন।
কুশের কাঁটা তোলা ও গাছ থেকে বাকল ছাড়ানো -এই যে মোচন কর্ন তা লক্ষ্য নয়, উপলক্ষ্য। এই ছলে শকুন্তলা কন্টক মোচন ও বল্কল মোচন।
32) ততো গন্ডস্য উপরি পিন্ডকঃ – গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার? গন্ডক এর উপর পিন্ডক কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্তের নর্মসহচর বিদূষক একথা বলেছেন।
এমনিতেই বিদূষক আরামপ্রিয়,ভোজনপটুব্যাক্তি। রাজার সঙ্গে বাধ্য হয়ে মৃগয়া উপলক্ষে থেকে তাঁর চিরাচরিত অভ্যাস নষ্ট হয়েছে। অনিয়মিত অভোজনযোগ্য আহার,প্রয়োজনীয় নিদ্রাভাব প্রখর রৌদ্রে ছোটাছুটি তো ছিলই তার উপর আবার রাজাকে এক তপোবনকন্যার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। ফলে শীঘ্র রাজনীতিতৃ ফেরার সম্ভাবনাও নেই। একেই গন্ডক-এর উপর পিন্ডক অর্থাৎ গোদের উপর বিষফোঁড়া বলা হয়েছে।
33) সাশ্রতং নগরগমনস্য মনঃ কথমপি ন করোতি- বক্তা কে? কার সম্পর্কে কোন প্রসঙ্গে একথা উক্ত হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে বিদুষক মাধব্য রাজার সম্পর্কে একথা বলেছেন।
আশ্রমবালা শকুন্তলার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষনবশতঃ রাজা দুষ্যন্ত যখন রাজধানীতে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনো উদ্যোগেই নিচ্ছিলেন না, তখন মৃগয়াবিরক্ত বিদূষক রাজার সম্পর্কে এরকম উক্তি করেছেন।
34) কামী স্বতাং পশ্যতি- বক্তা কে? কি প্রসঙ্গে একথা বরা হয়েছে? কথাটির অর্থ ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুস্যন্ত তাঁর প্রতি শকুন্তলার আচরন বিশ্লেষন প্রসঙ্গে একথা বলেছেন।
আশ্রমবালা শকুন্তলার প্রতি কামনাপরায়ন রাজা তার অন্যত্র দৃষ্টিপাতকে তাঁর প্রতি স্নিগ্ধ দৃষ্টিপাত,নিতম্বের গুরুভারে তার পদবিক্ষেপকে বিলাসগমন এবং প্রিয়ংবদার গমন নিষেধক বাক্যের তার কৃত্রিম ক্রোধযুক্ত বক্তব্যকে নিজের অনুকূলে বা নিজের মতে করে ভেবে নিয়েছেন। বস্তুত কামনাপরায়ন ব্যাক্তিই সব কিছুই নিজের ইচ্ছার অনুকূলে ভেবে নেয়।
35) কুতঃ কিল স্বয়মিক্ষ আকুলীকৃত্য অশ্রুকারনং পৃচ্ছসি-গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। বক্তা কে? একথার তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে বিদূষক মাধব্য তাঁর দুর্গতির কারনই জিজ্ঞাসু রাজাকে একথা বলেছেন।
মৃগয়ার পরিশ্রমে বিদূষকের গায়ে ব্যথা জানতে চাইছেন। এহল নিজেই চোখে খোঁচা দিয়ে নিজেই চোখের জল পড়ার কারন জানতে চাওয়ার মতো।
36) অরন্যে ময়া রুদিতমাসীত- বক্তা কে? বক্তার অরন্যে রোদনের তাৎপর্য /কারন কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজবয়স্য মাধব্য একথা বলেছেন।
বিদ্যুষক রাজার কাছে অন্তত একদিনের জন্য মৃগয়া বিরতির অনুরোধ রেখেছেন। রাজা ও শকুন্তলার প্রতি প্রনয়বশত মৃগয়ার প্রতি বিরক্ত। হরিনের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে গেলে তাঁর হরিনীর সমদৃষ্টিযুক্ত প্রিয়া শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। রাজা যখন সে কথা ভাবছেন তখন চিন্তারত রাজাকে দেখে তাঁর অন্যমনস্কতার প্রতি ইঙ্গিত করে বিদূষক বলেছেন যে তিনি বোধ হয় অরন্যে রোদন করেছেন অর্থাৎ রাজা তাঁর কথা কিছুই শোনেননি।
37) দুষ্যন্তের সেনাপতিকে অনুসরন করে মৃগয়ার উপকারিতা বিবৃত কর।
উঃ- দুষ্যন্তের সেনাপতির মতে,মৃগয়ার পরিশ্রমে মেদহ্রাস ঘটে,ফলে উদরের পরিনাম ও হ্রাস পায়। শরীর মেদহীন থাকে বলে এবং অনবরত পরিশ্রম হয় বলে শরীর যে কোনো কাজের পক্ষে অনুকূল থাকে, স্ফূর্তিতে ভরা থাকে। তাছাড়া ভীত কিংবা ক্রুব্ধ হলে পশুদের আচরন কিরকম হয়- তা খুব কাছ থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা যায়। ধাবমান পশুশিকারের ক্ষেত্রে তীরন্দাজরূপে নিজের যোগ্যতার পরিচয়ও পাওয়া যায়।
38) অতিক্রমনীয়ং সুহৃদ্বাক্যমিতি স্থিতোঅস্মি -বক্তা কে? সুহৃদ কে? তাঁর বাক্যটির বিষয় উল্লেখ কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত এই কথা বলেছেন।
এখানে সুহৃদ অর্থাৎ বন্ধু হলেন বিদূষক মাধব্য। তাঁর বক্তব্য বিষয় হল এই যে অন্তত একদিনের জন্য মৃগয়া বন্ধ রাখা হোক,কারন তাঁর সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা।
39) স্পর্শানুকূলা ইব সূর্যকান্তাস্তদন্য তেজোঅভিভবাদ্ বমন্তি- বক্তা কে? সূর্যকান্তমনির সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুষন্ত্যই এই উক্তির বক্তা।
সূর্যকান্তমনি স্বভাবতঃ শীতল,কিন্তু তা কোনো উষ্ন পদার্থের সংস্পর্শে এলে দহনশীল তেজ উদগিরন করেন। অনুরূপভাবে ঋষিরা প্রকৃতিগতভাবে শান্তিপ্রিয়, কিন্তু অন্যের সঙ্গে সংঘাতে তাঁদের অন্তর্নিহিত দাহিকা শক্তিসম্পন্ন তেজের প্রকাশ ঘটে। অতএব ঋষিদের স্বভাব স্পর্শযোগ্য সূর্যকান্ত মনিতুল্য।
40) যেন ত্বয়া দর্শনীয়ং ন দৃষ্টম্ – উক্তিটি কার? দর্শনীয় কি? কে তা দেখেননি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত বিদূষককে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
অপরূপ রূপলাবন্যবতী আশ্রমবালা শকুন্তলাই এখানে দর্শনীয়। বিদূষকের দুর্ভাগ্য যে তিনি এই সর্বাধিক দর্শনীয়কে দেখেননি,অতএব রাজার মতে, বিদূষকের চোখ থেকেও নেই।
41) কৃতংতয়া উপবনং তপোবনমিতি পশ্যামি – গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার উদ্দেশ্যে কে একথা বলেছিলেন? তপোবনকে উপবন করার তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে বিদূষক মাধব্য রাজাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
তপোবন সংযম,শম ও পবিত্রতার ক্ষেত্র। শকুন্তলার প্রতি আসক্ত রাজা দুষ্যন্ত কিন্তু সেই আশ্রম কুসুমে কামনার কীটকে নিয়ে এসেছেন। তার সংযমকে অসংযমের ধারায় সিক্ত করেছেন। তিনি বস্তুত পক্ষে তপোবনকে প্রমোদবন বা উপবনে পরিনত করেছেন।
42) অর্কস্যোপরি শিথিলং চ্যুতমিব নবমালিকাকুসুমম্- বক্তা কে? গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। অর্ক’ ও নবমালিকা’- এর দ্বারা কাকে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ-অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত অনন্য সাধারনত্ব বিষয়ে বিদূষকের একথা বলেছেন। শকুন্তলা যেন আকন্দ ফুলের উপর খসে পড়া এক নবমল্লিকা ফুল।
এখানে অর্ক বলতে শকুন্তলার পালক পিতা কন্ব এবং নবমল্লিকা বলতে শকুন্তলাকে বোঝানো হয়েছে।
43) তত খলু রমনীয়ং ভবতোঅপি বিস্ময়মুতোপাদয়তি-বক্তা কে? রমনীয় কি? কেন তা বিস্ময় উৎপাদন করেছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে বিদূষক মাধব্য রাজা দুষ্যন্তকে একথা বলেছেন।
অপরূপ রূপলাবন্যবতী শকুন্তলাই এখানে রমনীয়।
বিদূষকের মন্তব্য এইযে তাদের মতো প্রাকৃত, শিল্প জ্ঞানহীন সাধারণ ব্যক্তিদের কাছে অনেক কিছুই রমণীয়, অনেক কিছুই সুন্দর। কিন্তু রাজা দুষ্মন্ত প্রকৃত জহুরী, প্রকৃত শিল্পী, সৌন্দর্যরসিক ও সমঝতার।তার চোখেও যে শকুন্তলা বিস্ময়ের কাজল পরিয়ে দিয়েছে,সে প্রকৃতপক্ষে সুন্দরই।
44) ধাতুর্বিভত্বমনুচিন্ত্য বপুশ্চ তস্যা’- গ্রন্থকার নির্দেশ করো। ধাতুর্বিভুত্বম্- কথাটির তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে রাজা দুষ্মন্তের উক্তি রুপে এটি পাওয়া যায।
শকুন্তলার সৃষ্টি সম্পর্কে রাজার বক্তব্য এই যে সৃষ্টিকর্তা বিধাতা আগে শকুন্তলাকে ছবিতে এঁকে তারপর তাতে প্রাণ দান করেছেন। ধাতুর্বিভুত্বম্ অর্থাৎ ধাতু বা সৃষ্টিকর্তা বিধাতার “বিভুত্ব’ অর্থাৎ সৃষ্টি নৈপুণ্য।
45) শকুন্তলাকে রাজা কোন কোন বস্তুর সঙ্গে তুলিত করেছেন?
উঃ- শকুন্তলার রূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অঙ্ক -এ রাজা শকুন্তলাকে অগৃহীত গন্ধফুলের সঙ্গে, অচ্ছিন্ন নবপল্লব এর সঙ্গে,অবিদ্ধ রত্নের সঙ্গে,অস্বাদিত নবীন পুষ্পরসের সঙ্গে ও পুণ্যরাশির অখন্ড ফলের সঙ্গে তুলিত করেছেন।
46) অহো দীপ্তি মতোঅপি বিশ্বসনীয়তাস্য বপুষঃ- কার উক্তি?উদ্দিষ্ট ব্যক্তি দীপ্তিমান হয়েও বিশ্বাসযোগ্য কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে প্রথম ঋষি কুমার রাজা দুষ্মন্ত কে দেখে এই মন্তব্য করেছেন।
রাজাকে দেখে প্রথম ঋষি কুমারের এরকম অনুভূতি হয়েছিল যে তিনি তেজোময় দেহধারী হলেও তাঁর কাছে যেতে তার দিকে স্বচ্ছন্দ দৃষ্টিপাত করতে কোনো ভয় হয় না।এমনেই রাজার ব্যক্তিত্ব।
47) দদত্যারন্যাবনহিনঃ- কার উক্তি অরণ্য বাসিরা রাজাদের কি দেন?সেই দান “অক্ষয্য ‘ কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে রাজা দুষ্মন্তের উক্তি রুপে এটি পাওয়া যায।
উঃ- সাধারণ প্রজাগণ ধান্য হিরণ্য, পশু প্রভৃতি রাজাকে কর হিসেবে দেন। কিন্তু অরণ্যবাসী তপস্বীগন রাজাকে কোন দ্রব্য দিতেননা। তবে রাজা যেহেতু তাদের রক্ষা করেন সেজন্য তপস্বীগন তাদের তপোজনিত পর্যন্ত সঞ্চিত পুণ্যের 6 ভাগ(ছয় ভাগের এক ভাগ) রাজা কে প্রদান করেন।
48) পুণ্যঃ শব্দো মুনিরিতি মুহুঃ কেবলং রাজপূর্বঃ- উক্তিটির বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে রাজমুণিঃ বা রাজর্ষিঃ বলার তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে প্রথম ঋষিকুমার রাজা দুষ্মন্তকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
ঋষি কুমারের দৃষ্টিতে রাজা দুষ্মন্ত ও ঋষির মধ্যে পার্থক্য নেই। কারণ ঋষিগণ যেমন সর্বজীবের আশ্রয় ও ভোগ্য আশ্রমে বাস করেন রাজারাও তেমনি সর্বভোগ্যে গৃহস্থাশ্রমে বাস করেন। ঋষিগণ যেমন প্রত্যহ তপশ্চরনের মাধ্যমে পূণ্য অর্জন করেন, রাজা দুষ্মন্ত তেমনি প্রজাপালনরূপ কষ্টকর কাজের দ্বারা পূণ্য সঞ্চয় করেন। ঋষিগন সংযমী, রাজাও জিতেন্দ্রিয়, তাই দুষ্মন্ত প্রকৃতিই রাজর্ষি।
49) অস্যাধিজ্যে ধনুষি বিজয়ং পৌরুহুতে চ বজ্রে- বক্তাকে? অস্য বলতে কার কথা বলা হয়েছে? পৌরুহুত কথাটির অর্থ কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে রাজা দুষ্মন্তের পর্বতচারী হস্তীতুল্য দেহ দেখে দ্বিতীয় ঋষিকুমার একথা বলেছেন।
অস্ বলতে এখানে রাজা দুষ্মন্ত কে বোঝানো হয়েছে।
পুরুহূত শব্দের অর্থ ইন্দ্র( পুরু অর্থাৎ প্রচুরভাবে বহুলভাবে যিনি হুত অর্থাৎ যজ্ঞে আহূত হন – যার উদ্দেশ্যে প্রচুর আহূতি বা হবিঃ প্রদত্ত হয়। ) পুরুহূত বা ইন্দ্রের,ইন্দ্র সম্বন্ধীয় এই অর্থে পৌরুহূত(পুরুহূত+অন্)। এখানে পৌরুহূত শব্দটি ইন্দ্রের বজ্রের বিশেষণ রূপে প্রযুক্ত হয়েছে। যুদ্ধে দেবতারা বিজয়ের জন্য দুষ্মন্তের জ্যা যুক্ত ধনু ও ইন্দ্রের বজ্রের উপর ভরসা করেন।
50) করভক কে? সে রাজার কাছে কার কি বার্তা নিয়ে এসেছিল?
উঃ- করভক রাজমাতার অর্থাৎ দুষ্মন্তের মায়ের দুতরূপে অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে তার কর্ত্রীর কাছ থেকে দুষ্যন্তের কাছে বার্তা নিয়ে এসেছিল।
পুত্র দুষ্মন্তের প্রতি রাজমাতার বার্তা ছিল এই যে আগামী চতুর্থ দিনে তার উপবাস ভঙ্গের অনুষ্ঠান।সেই অনুষ্ঠানে পুত্র দুষ্যন্ত যেন অবশ্যই উপস্থিত থাকে।
51) আপন্নাভয়সত্রেষু দীক্ষিতাঃ খলু পৌরবাঃ- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটির বক্তা কে? আপন্নাভয়সত্র শব্দটির অর্থ তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের দ্বিতীয়াঙ্কে কন্বাশ্রমের দুই ঋষিকুমার রাজা দুষ্যন্তকে এই কথা বলেছেন।
আপন্ন অর্থাৎ বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত। অভয় অর্থাৎ ভয়হীনতার আশ্রয় দেওয়া বা রক্ষা করা। সত্র শব্দের মৌলিক অর্থ ত্রয়োদশদিন থেকে সৎবৎসর বা শত সহস্র সৎবৎসরসাধ্য যজ্ঞ। কিন্তু এখানে সাধারণভাবে তা যজ্ঞকে বোঝাচ্ছে। অতএব কথাটির অর্থ বিপন্ন রক্ষারূপ যজ্ঞ। পুরুবংশীয় রাজাদের এব্যাপারে খ্যাতি আছে।
52) দ্বয়মপ্যনতিক্রমনীয়ম্ – গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার উক্তি? কোন দুটির কথা বলা হয়েছে?সেই দুটি কেন অনতিক্রমণীয?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে করভক মারফত তার মায়ের বার্তা শোনার পর রাজা দুষ্মন্ত কথা বলেছেন।
একদিকে উপবাস ভঙ্গের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মায়ের আদেশ, অন্যদিকে মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতে অরক্ষিত আশ্রমের রক্ষনকার্য সম্পাদনের জন্য রাজাকে ঋষিকুমারদের অনুরোধ, একদিকে ব্যক্তিগত কার্য,অন্যদিকে রাজকার্য -এই দুটি কাজের কথা এখানে বলা হয়েছে।
মা গুরুজন তার আদেশ শিরোধার্য ও পালনীয়,অন্যথায় তাকে অসম্মানও অশ্রদ্ধ করা হয। আবার রাজার কাছে বড় হল প্রজাপালন ওরাজ কার্যসম্পাদন।ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রশ্ন সেখানে মূল্যহীন, তাই তাও লংঘন করা যায় না।
53) কৃত্যয়োর্ভিন্নদেশত্বাদ্ দ্বৈধীভবতি মে মনঃ – কার উক্তি? কৃত্য বলতে কাকে কাকে বা কোন বিষয়কে বোঝানো হয়েছে? ভিন্নদেশত্ব শব্দের তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে রাজা দুষ্মন্ত বিদূষককে একথা বলেছেন।
কৃত্য বলতে এখানে মায়ের আদেশ রূপ ব্যক্তিগত কার্য ও আশ্রম রক্ষণ রূপ রাজকার্যের কথা উল্লেখিত হয়েছে।
ভিন্নদেশত্ব কথার অর্থ ভিন্নস্থানে সম্পাদনের যোগ্য। ঋষিকার্য অর্থাৎ আশ্রমরক্ষা তপোবনে এবং ব্যক্তিগত কার্য মায়ের আদেশ পালন রাজধানীতে সম্পাদনের যোগ্য, দুটি স্থান ভিন্ন ভিন্ন।
54) তেন হি যুবরাজোঅস্মি ইদানীং সংবৃত্তঃ- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কার উক্তি? যুবরাজোঅস্মি-কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকের রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে বিদূষক মাধব্য একথা বলেছেন।
রাজা তাকে প্রতিনিধি করে রাজধানীতে পাঠাচ্ছেন মায়ের উৎসব পালনের জন্য যেহেতু রাজমাতা তাকে (বিদূষ্যক) পুত্রসম বলে মনে করেন। তাই বিদূষকের বক্তব্য তিনি তপবন থেকে রাজধানীতে প্রকৃত যুবরাজের মতো সৈন্যসামন্তসহ মহাআড়ম্বরে যাবেন।
55) পরিহাসবিজল্পিতং সখে পরমার্থেন ন গৃহ্যতাং বচঃ- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কার উক্তি? পরিহাসবিজল্পিতম্- কথাটির তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কে বিদূষক মাধব্যকে উদ্দেশ্য করে রাজা দুষ্মন্ত এ কথা বলেছেন।
রাজা বিদূষক কে তার শকুন্তলার প্রতি আসক্তি ও অনুরাগ এর কথা আবেগ বিরল হয়ে আগেই বলে ফেলেছেন। রাজা জানেন যে বিদূষক খুব পেট পাতলা লোক অর্থাৎ গোপন কথা গোপন রাখতে পারেন না। তাই রাজধানীতে গিয়ে বিদূষক যাতে শকুন্তলার কথা পাঁচ কান না করে সেজন্য রাজা তাকে বললেন যে শকুন্তলাগত বিষয়টি রাজা পরিহাস করে বলেছেন, বিদূষক যেন তা যথার্থ বলে মনে না করেন।
56) স হি বিষ্নানপোহতি- গ্রন্থস্থান উল্লেখ করো? কার উক্তি?কে কি বিঘ্ন দূর করেছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অঙ্ক বিষ্কম্ভক অংশে যজমান-শিষ্য রাজা দুষ্মন্ত প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।
ঋষিকুমারদের অনুরোধ অঙ্গীকার করে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতে অরক্ষিত আশ্রম রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কেবলমাত্র ধনুকের টংকারেই তপোবিঘ্নকারী অসুর,দৈত্য -দানব প্রভৃতিদের আশ্রম থেকে বিতাড়িত করেছেন।
57) ত্রিশঙ্কুরিবান্তরা তিষ্ট- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কে কাকে একথা বলেছেন? ত্রিশঙ্কুঃ -এর পরিচয় দাও।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকে বিদূষক কর্তব্যনির্নয়ে অসমর্থ রাজা দুষ্যন্তকে একথা বলেছেন।
ত্রিশঙ্কু ছিলেন হরিশ্চন্দ্রের পিতা। পরকন্যা হরনের দ্বারা পিতার অসন্তোষ উৎপাদন,গোহত্যা ও অসংস্কৃত মাংসভক্ষন -এই তিন দোষের কারনে তাঁর নাম ত্রিশঙ্কুঃ।
58) দ্বয়মিদমযথার্থং দৃশ্যতে মদ্বিধেষু- উক্তিটি কার? দ্বয়মিদম্ বলতে কোন দুটি বস্তুকে বোঝাচ্ছে? সে দুটি অযথার্থ কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকের বিদূষক কর্তব্য নির্ণযে অসমর্থ রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছিলেন।
দ্বয়মিদম্- অর্থাৎ এই দুটি বলতে যে দুটি বিষয়কে বোঝাচ্ছে তা হলো কামদেব মদনের পুষ্পবাণ ও চাঁদের শীতল রশ্মী।
প্রণয় আসক্ত বা কামার্ত ব্যক্তির কাছে পুষ্পবাণ বজ্রতুল্য কঠিন আর শীতল চন্দ্র কিরণ অগ্নিবর্ষী।
59) অয়ে- লব্ধং নেত্রনির্বানম্? গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার। নেত্রনির্বানম্- এর কারন কে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের দ্বিতীয় অংকের রাজা দুষ্মন্ত এ কথা বলেছেন।
নেত্রনির্বানম্ অর্থাৎ চোখের সার্থকতা বা তৃপ্তির কারণ স্বয়ং শকুন্তলা সখীদের দ্বারা সেবিত এবং কুসুমাস্তীর্ণ প্রস্তরবেদিতে শয়ান শকুন্তলাকে দেখে রাজা অত্যন্ত পরিতৃপ্ত।
60) বিকারং খলু পরমার্থত অজ্ঞাত্বা অনারম্ভঃ প্রতীকারস্য- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কোন প্রসঙ্গে কে একথা বলেছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অংকে এই উদ্ধৃত অংশটি বিদ্যমান।
শকুন্তলার অসুস্থতা প্রসঙ্গে অনসূয়া একথা বলেছেন যে রোগের কারণ যথার্থভাবে না জেনে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যায় না।
61) পত্রানামিব শোষনেন মরুতা স্পৃষ্টা লতা মাধবী- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অঙ্ক এ রাজা কামপীড়িতা শকুন্তলাকে দেখে কথা বলেছেন।
বক্তব্য এইযে কামপীড়িত শকুন্তলার দেহের অবস্থা শোচনীয় অর্থাৎ অনুকম্পাবশত যোগ্য হলেও সে প্রিয়দর্শন গ্রীষ্ম বায়ুর স্পর্শে মাধবীলতার যেমন অবস্থা হয় শকুন্তলার অবস্থাও সেরুপ।
62) স্নিগ্ধজন সংবিভক্তং হি দুঃখং সহ্যবেদনং ভবতি- উক্তিটি কার?উদ্ধৃত পংক্তিটির তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অংকে দুই সখী অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদা শকুন্তলা’ কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছে।
দুঃখ অসহনীয় ভারযুক্ত কিন্তু সেই দুঃখ যদি আত্মীয় প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয় অর্থাৎ আত্মীয় প্রিয়জন যদি সেই দুঃখের অংশীদার হয় ও সমব্যথী হয় তাহলে তা সহনীয় ও ভারবিযুক্ত হয়ে যায।
63) নিভৃতমিতি চিন্তনীয়ং ভবেৎ শীঘ্রমিতি সুকরম্ -কার উক্তি? কি ব্যবস্থা শীঘ্র কার সহজ,নিভৃতে করা চিন্তনীয়?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অঙ্কের প্রিয়ংবদা অনসূয়ার প্রতি এই উক্তি করেছেন।
শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তের প্রতি আসক্ত। শকুন্তলার যা অবস্থা তাতে অবিলম্বে দুষ্মন্তের সঙ্গে মিলিত না হলে তাকে বাঁচানো কষ্টকর। তাই প্রিয়ংবদার বক্তব্য শকুন্তলার সঙ্গে রাজার মিলনের ব্যবস্থা শীঘ্র করা সহজ। কারণ শকুন্তলার প্রতি স্নিগ্ধ দৃষ্টি নিক্ষেপ এর দ্বারা রাজা তার প্রতি নিজ অনুরাগ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু শকুন্তলার দুষ্যন্তগত অভিলাষ পূরনের ব্যবস্থা গোপন করতে হলে সম্যক্ চিন্তা ভাবনা করে তার উপায় বের করতে হবে।
64) সাগরমুজ্বিত্বা কুত্র বা মহানদী অবতরতি- উক্তিটি কার? বক্তব্যের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয় অংকে প্রিয়ংবদা শকুন্তলা’ কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
প্রিয়ংবদার বক্তব্য এই যে,শকুন্তলা যোগ্যজনেই তার হৃদয় সমর্পন করেছে, মহানদীরূপ শকুন্তলা মিলিত হয়েছে দুষ্যন্তরূপ সমুদ্রে।
65) কিমত্র চিত্রং যদি বিশাখে শশাঙ্কলেখামনুবর্ততে- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কে, কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? বিশাখে ও শশাঙ্কলেখা- বলতে প্রকৃতপক্ষে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের তৃতীয়াঙ্কে বৃক্ষান্তরালবর্তী রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদার কাছে শকুন্তলা রাজা দুষ্মন্তের প্রতি তার অনুরাগ এর কথা ব্যক্ত করলে দুই সখী এই অভিমত প্রকাশ করে যে শকুন্তলা যোগ্য পাত্রে তার হৃদয় সমর্থন করেছে। তখন রাজা এই মন্তব্য করেন।
এখানে বিশাখে অর্থাৎ বিশাখা নক্ষত্রদ্বয় বলতে শকুন্তলার দুই সখী প্রিয়ংবদা ও অনসূয়াকে এবং শশাঙ্ক লেখা বলতে শকুন্তলাকে বোঝানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে বিশাখা নক্ষত্রদ্বয় সব সময় একসঙ্গে থাকে এবং চন্দ্রকে অনুবর্তন করে।অনসূয়া প্রিয়ংবদাও সর্বদা শকুন্তলার সহচরী।
66) ক ইদানীং শরীরনির্বাপয়িত্রীং শারদীং জ্যোৎস্নাং পটান্তেন বারয়তি’- কার উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের তৃতীয়াঙ্কে দুই সখী শকুন্তলার সৌন্দর্য সম্পর্কে একথা বলেছেন।
দেহের সন্তাপহারিনী শরৎকালের জ্যোৎস্নাকে যেমন বস্ত্রাঞ্চলের দ্বারা লুকিয়ে রাখা যায় না তেমনি শরৎকালের জ্যোৎস্নার মতো স্নিগ্ধ মনোরম শকুন্তলার রূপলাবন্য স্ব-প্রকাশ। এখানে শরতের জ্যোৎস্না হলেন শকুন্তলা।
67) দুষ্যন্তের কাছে লিখিত শকুন্তলার পত্রটির বক্তব্য বিষয় উল্লেখ কর।
উঃ- শকুন্তলা যে পত্র দুষ্যন্তের কাছে লিখেছিলেন তার বক্তব্য এরকম- ওগো নিষ্ঠুর,তোমার হৃদয়ের কথা আমি জানিনা, কিন্তু তোমার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য উন্মুখ এই অঙ্গকে কামদেব রাতদিন সন্তপ্ত করেছেন।
68) শকুন্তলার লেখা প্রেমপত্রটি কিভাবে রাজার কাছে পাঠানো হবে বলে স্থির হয়েছিল? সে পত্র কিসে লেখা হয়েছিল?
উঃ- দুষ্যন্তের উদ্দেশ্যে লেখা শকুন্তলার প্রেমপত্রটি দেবতার প্রসাদের ছলে ফুলের মধ্যে লুকিয়ে রাজার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে স্থির হয়েছিল।
শকুন্তলা অত্যন্ত কোমল পদ্মপাতায় নখের আঁচড়ে দুষ্যন্তের উদ্দেশ্যে প্রেমপত্রটি রচনা করেছিলেন।
69) বিবক্ষিতং হ্যনুক্তমনুতাপং জনয়তি- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার প্রসঙ্গে কে এই কথা বলেছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের তৃতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্তের উক্তিতে উদ্ধৃতিটি পাওয়া যায়।
রাজার প্রতি শকুন্তলার আসক্তি বিবৃত করার সময় প্রিয়ংবদা দুষ্যন্তকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
70) পরিগৃহবহুত্বেঅপি দ্বে প্রতিষ্ঠে কুলস্য মে- গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। উক্তিটি কার? দ্বে প্রতিষ্টে- বাক্যাংশের দ্বারা কি বোঝাচ্ছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের তৃতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত দুই সখী অনসূয়া ও প্রিয়ংবদার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন।
দ্বে প্রতিষ্ঠে বাক্যাংশের দ্বারা আসমুদ্রব্যাপী, রাজত্ব ও শকুন্তলাকে বোঝানো হয়েছে। এদুটিই তাঁর বংশগৌরবের কারন বলে জানিয়েছেন রাজা।
71) দুষ্যন্ত – শকুন্তলার বিবাহ কোন বিধিতে সম্পন্ন হয়েছিল? সেই বিবাহে সম্মত করাতে রাজা দুষ্যন্ত কি যুক্তির অবতারনা করেছিলেন?
উঃ- দুষ্যন্ত শকুন্তলার বিবাহ শাস্ত্রসিদ্ধ আটপ্রকার বিবাহ – পদ্ধতির অন্যতম গান্ধর্ব বিধানের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল। রাজা শকুন্তলাকে সেই বিবাহে সম্মত করাতে বলেছিলেন যে, গান্ধর্ব শাস্ত্রসিদ্ধ এবং এই মতে বিবাহিত অনেক রাজর্ষিকন্যা তাঁদের গুরুজনদের দ্বারা অভিনন্দিত হয়েছেন।
72) চক্রবাকবধূঃ আমন্ত্রয়স্ব সহচরম্, উপস্থিতা রজনী- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুনতলম্ নাটকের তৃতীয়াঙ্কের শেষের দিকে শকুন্তলার সখীদ্বয় নেপথ্য থেকে চক্রবাকবধূকে সচেতন করার ছলে শকুন্তলাকে সাবধান করার জন্য একথা বলেছেন।
নায়ক-নায়িকা দুষ্যন্ত শকুন্তলা লতাকুঞ্জে নিবৃত আলাপে রত। এদিকে শকুন্তলার অসুস্থতার কথা শুনে আশ্রমমাতা গৌতমী তার খোঁজ নিতে আসছেন। তাই চক্রবাকী কর্তৃক চক্রবাককে বিদায় জানানোর পরামর্শের দ্বারা প্রকৃতপক্ষে শকুন্তলাকে বলা হচ্ছে যেন সে দুষ্যন্তকে বিদায় জানায়।
73) অহো বিঘ্নবত্যঃ প্রার্থিতার্থসিদ্ধয়ঃ – উক্তিটি কার? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের তৃতীয়াঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত একথা বলেছেন।
উক্তিটির আক্ষরিক অর্থ -হায়,মনোরথ পূরনের পথে কত বাধা। কিন্তু নিহিতার্থ হল- শকুন্তলাকে লতাকুঞ্জে একান্তে পেয়েও তার সঙ্গে অধিক্ষন কাটাতে পারলেন না।
74) শকুন্তলার প্রতি ঋষি দুর্বাসার অভিশাপ বচন অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটের কোন অংশে পাওয়া যায়? অভিশাপ বচনটি বিবৃত কর।
উঃ- শকুন্তলার প্রতি ঋষি দুর্বাসার অভিশাপ বচনটি অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কের বিষ্কম্ভক অংশে পাওয়া যায়। মূল অঙ্কে অভিশাপ,মৃত্যু,যুদ্ধ,ভোজন প্রভৃতির প্রদর্শন নিষিদ্ধ।
অভিশাপবচনটি ছিল যে, যাকে অনন্যমনে চিন্তা করে তুমি আমার মতো তপস্বীকে অনাদর করলি,স্মরন করিয়ে দিলেও সে তোমাকে আর স্মরন করতে পারবেনা। প্রমত্ত ব্যাক্তি যেমন নিজের পূর্বোচ্চারিত কথা আর স্মরন করতে পারেনা।
75) তেজোদ্বয়স্য যুগপদ্ব্যসনোদয়াভ্যাম্- উক্তিটি কার? তেজোদ্বয় কি? ব্যসনোদয়াভ্যাম্ বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কে কন্বশিষ্য একথা বলেছেন।
তেজোদ্বয় অর্থাৎ দুই জ্যোতির্ময় পদার্থ সূর্য ও চন্দ্র। ব্যসনোদয়াভ্যাম্ অর্থাৎ সুখ ৎ দুঃখকে এখানে বোঝানো হয়েছে।
76) কো নাম উষ্ণোদকেন নবমালিকাং সিঞ্চতি- উক্তিটি কার? উষ্ণোদক ও নবমালিকা – এর দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকের বিষ্কম্ভক অংশের শেষে প্রিয়ংবদা একথা বলেছেন।
এখানে উষ্ণোদক বলতে ঋষি দুর্বাসার অগ্নিময়ী অভিশাপবাণী এবং নবমালিকা বলতে নিষ্পাপ, কুসুম কোমলা শকুন্তলাকে বোঝানো হয়েছে।অভিশাপের কথা শকুন্তলাকে জানানো হবে না।কারণ কেউ গরম জল দিয়ে নবমল্লিকাকে সিঞ্চন করে না।
77) দুষ্মন্ত শকুন্তলার বিবাহ বৃত্তান্ত মহর্ষি কন্ব কিভাবে জানতে পারেন?সে সম্পর্কে তাকে কি বলা হয়েছিল?
উঃ- সোমতীর্থ থেকে ফিরে অগ্নি শালায় প্রবেশ করলে পর এক অশরীরী ছন্দময়ী বাণীর মাধ্যমে মহর্ষি কন্ব দুষ্মন্ত শকুন্তলা বিবাহ বৃত্তান্ত জানতে পারেন।
মহর্ষি কন্বকে বলা হয়েছিল হে ব্রহ্মণ জগতের কল্যাণের নিমিত্তে এই কন্যা রাজা দুষ্মন্তের তেজ ধারণ করেছে। এই কন্যাকে আপনি অগ্নিগর্ভ শমীবৃক্ষের মতো জানবেন।
78) দিষ্ট্যা ধূমাকুলিতদৃষ্টেরপি যজমানস্য পাবক এব আহূতিঃ পতিতা’- উক্তিটি কার? যজমান কে আহূতি -ই বা কি? ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের চতুর্থ অঙ্কে দুষ্যন্ত শকুন্তলার বৈবাহিক মিলন সম্পর্কে প্রিয়ংবদা একথা বলেছেন।
এখানে যজমান বলতে শকুন্তলার পালক পিতা মহর্ষি কন্ব এবং আহূতি বলতে শকুন্তলাকেই বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ শকুন্তলা যোগ্যপাত্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।
79) শকুন্তলার পতিগৃহে গমনের প্রাক্কালে তাকে সাজানোর জন্য বনস্পতি গণ কি কি বস্তু প্রদান করেছিল?
উঃ- শকুন্তলাকে সাজানোর জন্য কোনো বনস্পতি চন্দ্রের মতো শ্বেত, মঙ্গল কর্মের উপযুক্ত ক্ষৌম বস্ত্র প্রদান করল, কোনো বনস্পতি থেকে নিঃসৃত হল চরণ রঞ্জন এর যোগ্য অলক্তক রস, অন্যান্য গাছ থেকে বনদেবতাগণ নতুন পাতা প্রকাশিত হওয়ার মতো মণিবন্ধ পর্যন্ত হাত বের করে অলংকার সমূহ প্রদান করল।
80) অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকে থেকে কালিদাসের পরিবেশ চেতনা বিষয়ক একটি শ্লোক উদ্ধৃত করো।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকে পরিবেশের সঙ্গে শকুন্তলাদের নিবিড় সম্পর্কের কথা আছে। চতুর্থ অংকের সেরকম একটি শ্লোক হল- “পাতুংন প্রথমম্’- যার অর্থ- হে সন্নিহিত তপবন তরুগণ তোমরা জল পান না করা পর্যন্ত প্রথমে যে জল পান করত না, যে অলংকার প্রিয় হয়েও স্নেহ বশত তোমাদের পাতা ছিঁড়ত না, তোমাদের প্রথম ফুল ফোটার সময় হলে যে উৎসবের আনন্দ অনুভব করতো সেই শকুন্তলা পতিগৃহে যাত্রা করছে,তোমরা সবাই অনুমতি দাও।
81) শকুন্তলার বিচ্ছেদে তপোবনের অবস্থা বর্ণনা করো।
উঃ- শকুন্তলার বিরহে তপবনের বিরহ কাতরতার কথা প্রিয়ংবদা মুখে এভাবে উক্ত হয়েছে যে -হরিণের মুখ থেকে খসে পড়ছে তৃণের গ্রাস, ময়ূর নৃত্য করছে না, লতাসমূহ থেকে হলুদ পাতা পড়ে যাচ্ছে যেন তোমার (শকুন্তলার )বিচ্ছেদের ক্রন্দন করছে।
82) অস্যামহং ত্বয়ি চ সম্প্রতি বীতচিন্তঃ- গন্ধ স্থান নির্দেশ করো? উক্তিটি কার? অস্যাম্ এবং ত্বয়ি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংশে মহর্ষি কন্ব একথা বলেছেন ।
শকুন্তলা যেমন কন্বের সংকলিত পতি লাভ করেছে, তেমনি নবমল্লিকা লতা ও যোগ্য সহকার বৃক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। তাই মহর্ষি কন্বের চিন্তা নেই। অস্যাম্ বলতে নবমালিকা লতা ও ত্বয়ি শকুন্তলাকে বোঝানো হয়েছে।
83) কো ণু খলু এষঃ নিবসনে মে সজ্জতে- উক্তিটি কার? কে কেন কার বসনপ্রান্ত আকর্ষণ করেছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকে তপবন থেকে বিদায় গ্রহণের সময় শকুন্তলা একথা বলেছেন।
যে মাতৃহারা মৃগশিশুটিকে শকুন্তলা সযত্নে বড় করে তুলেছিল, সেই যখন বিদায় কালে তার মাতৃকল্প শকুন্তলার বস্ত্রাঞ্চল আকর্ষণ করেছে তখন শকুন্তলা একথা বলেছেন। মাতৃহারা মৃগটি দ্বিতীয়বার মাতৃহারা হতে চায় না বলেই শকুন্তলার বসন্তপ্রান্ত আকর্ষণ করেছে।
84) রাজা দুষ্মন্তের প্রতি মহর্ষি কন্বের বার্তার বিষয়টি কী ছিল?
উঃ- আমরা বনবাসী সংযম আমাদের সম্পদ। তুমি নিজে উচ্চবংশজাত। শকুন্তলা পরিজনদের অজ্ঞাতসারে স্বেচ্ছায় তোমাকে নিবেদন করেছে প্রণয়।এসমস্ত কথা বিবেচনা করে অন্যান্য পত্নীদের সঙ্গে শকুন্তলার প্রতিও স্নেহদৃষ্টি রাখবে।এর অধিক প্রাপ্তি ভাগ্য নির্ভর।বধুর আত্মীয়দের সে সম্বন্ধে কিছু বলা উচিত নয়।
85) ত্বমিদানীমনুশাসনীয়াসি- উক্তিটি কার? কে অনুশাসনীয়া?তাকে কি অনুশাসন দেওয়া হয়েছিল?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকে মহর্ষি কন্ব একথা বলেছেন। শকুন্তলায় এখানে অনুশাসনীয়া বা অনুশাসনের যোগ্য।
মহর্ষি কন্ব তাকে বলেছিলেন পতিগৃহে তুমি গুরুজনদের সেবা করবে, সব পত্নীদের সঙ্গে প্রিয় সখীর মতো ব্যবহার করবে,স্বামী কর্কশ ব্যবহার করলেও ক্রোধে তার বিরূপ আচরণ করবে না। পরিজনদের প্রতি দাক্ষিন্য প্রকাশ করে,সম্পদে অহংকৃত হবে না।
86) শান্তে করিষ্যসি পদং পুনরাশ্রমেঅস্মিন্ – গ্রন্থস্থান উল্লেখ করো উক্তিটি কার?পুনঃ বলতে কোন সময়ের কথা বলতে চাওয়া হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকে তপবন থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে শকুন্তলাকে উদ্দেশ্য করে মহর্ষি কন্ব একথা বলেছেন।
পুনঃ বলতে এখানে দুষ্মন্ত শকুন্তলার পৌঢ় বয়সের কথা বা বাণপ্রস্থ অবলম্বনে সময়ের কথা বলতে চাওয়া হয়েছে।যখন পুত্রের হাতে রাজ্যের ভার দর্পণ করে তার আশ্রম বাসের জন্য আসবেন।
87) প্রত্যার্পিতন্যাস ইবান্তরাত্মা- উক্তিটি কার? ন্যাস কি? বক্তার চিন্তা মুক্ত হওয়ার কারন কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের চতুর্থ অংকে মহর্ষি কন্ব একথা বলেছেন।
ন্যাস হল গচ্ছিত দ্রব্য বা ধন। কন্যা পিতার কাছে ন্যাসের মতো, কেননা তার প্রাপক বা স্বামীকে সেই ন্যাস প্রত্যর্পণ করতে হয। আজ শকুন্তলাকে পতিগৃহে প্রেরণ করে মহর্ষি কন্ব সেই ন্যস্ত বস্তু সমর্পনের জন্য চিন্তামুক্ত হলেন। কষ্ট হলেও কর্তব্যের অনুরোধে শকুন্তলার পতিগৃহে যাত্রা মেনে নিলেন।
88) হংসপদিকা কে?তার গানটি নাটকের কোন অংশে পাওয়া যায?
উঃ- হংসপদিকা রাজা দুষ্মন্তের অন্যতম পত্নী ।তার গানটি অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের পঞ্চম অংকে পাওয়া যায।
89) হংসপদিকার গানের বাণী উল্লেখ করো।
উঃ- হংসপদিকার গানের কথা ছিল এরকমঃ হে মধুকর তুমি নিত্য নব মধুলোভী,আম্রমঞ্জরীকে সেইভাবে চুম্বন করে পরে অল্পক্ষণ উপবেশন করেই তাকে বিস্মৃত হলে কেন?
90) হংসপদিকার গান শোনার পর রাজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করো।
উঃ- হংসপদিকার গান শুনে রাজা দুষ্মন্ত প্রিয়জন বিচ্ছেদে সেইসময় কাতর না হলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে উৎকণ্ঠিত হয়েছিলেন।রাজার ধারণা মনোরম দৃশ্য দেখে ও সুমধুর সংগীত শ্রবন করলে সুখী, পরিতৃপ্ত মানুষও অনেক সময় তার হৃদয়ের অবচেতন স্তরে জন্মান্তরের কোনো বন্ধুত্ব বা প্রীতিকে স্মরণ করে এবং মনোব্যথা অনুভব করে।
91) ষষ্ঠাংশবৃত্তেরপি ধর্ম এষঃ- উক্তিটি কার? ষষ্ঠাংশবৃত্তেঃ বলতে কাকে বোঝায?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে রাজার কর্তব্যের গুরুত্ব বোঝাবার জন্য কুঞ্চকী একথা বলেছেন।
ষষ্ঠাংশবৃত্তেঃ বলতে রাজা কে বোঝায। যারা ভূমির উৎপাদনের ষষ্ঠাংশ কররূপে উপভোগ করে থাকেন অর্থাৎ রাজা।
92) তপোবন থেকে আগত ঋষিকুমারদ্বয় শকুন্তলা ও গৌতমীর সঙ্গে রাজা তাঁর রাজপ্রাসাদের কোথায় দেখা করেছিলেন? কে তাঁদের অভ্যর্থনা জানিয়ে রাজার কাছে নিয়ে এসেছিলেন?
উঃ- রাজা দুষ্যন্ত অগ্নিশরন অর্থাৎ অগ্নিগৃহে শার্ঙ্গরব, শকুন্তলা ও গৌতমীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
রাজার নির্দেশমতো উপাধ্যায় সোমরাত আশ্রমবাসীদের অর্ভ্যর্থনা জানিয়ে রাজার কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
92) ত্বয়ি তু পরিসমাপ্তং বন্ধুকৃত্যং প্রজানাম্ – উক্তিটি কার? প্রজাদের বন্ধুকৃত্য বলতে এখানে কি বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের পঞ্চম অঙ্কে দ্বিতীয় বৈতালিক রাজাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
প্রজাদের মধ্যে কেউ অর্থবান হলে তার অনেক আত্মীয় স্বজন জুটে যায়। কিন্তু তারা সত্যিকারের আত্মীয়ের কর্তব্য পালন করে না। রাজাই তাদের বন্ধুকৃত্য অর্থাৎ বন্ধুর মতো কাজ বা আত্মীয়ের মতো প্রকৃত উপকার করেন।
93) জনাকীর্নং মন্যে হুতবহপরীতং গৃহমিব- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। উক্তিটি কার? বক্তার এরকম অনুভূতির কারন কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের পঞ্চম অঙ্কে ঋষিকুমার শার্ঙ্গরব রাজা দুষ্যন্তের প্রাসাদে প্রবেশ করার পর এই কথা বলেছিলেন।
আশ্রমে ঋষিকুমারগন নির্জনে থাকতে অভ্যস্ত,কিন্তু জনাকীর্ন, কোলাহল মুখর রাজবাড়ীতে এসে শার্ঙ্গরবের মনে হয়েছে যে তিনি যেন অগ্নিবেষ্টিত গৃহে অর্থাৎ অস্বস্তিকর পরিবেশে এসে পড়েছেন।
95) দুষ্যন্তের প্রাসাদে প্রবেশের পর ঋষিকুমার শারদ্বতের কিরকম অনুভূতি হয়েছিল?
উঃ- দুষ্যন্তের প্রাসাদে প্রবেশের পর শারদ্বত বলেছিলেন যে, সমাপ্তস্নান ব্যাক্তির তৈলাক্ত ব্যাক্তিকে,অতি পবিত্র ব্যাক্তিকে,জাগ্রত ব্যাক্তির নিদ্রিত ব্যাক্তিকে এবং স্বেচ্ছাবিহারী স্বাধীন ব্যাক্তির শৃঙ্খলিত ব্যাক্তিকে যেমন মনে হয়,রাজ প্রাসাদের সুখামক্ত ব্যাক্তিদেয দেখে তার সেরকম মনে হচ্ছে।
96) মধ্যে তপোধনানাং কিসলয়মিব পান্ডুপত্রানাম্- উক্তিটি কার? কিশলয় এবং পান্ডুপত্র বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে তপস্বীদের মধ্যবর্তিনী শকুন্তলাকে দেখে একথা বলেছেন রাজা দুষ্মন্ত।
কিশলয় বলতে এখানে শকুন্তলাকে এবং পান্ডু পত্র বলতে তপঃ পরায়ন ঋষি কুমাদের বোঝানো হয়েছে। সদ্যোযৌবনা অপরূপ লাবন্যময়ী শকুন্তলার উপমা বা তুলনা করা হয়েছে। জীর্নপত্রের মাঝে বিদ্যমান কিশলয়ের সঙ্গে কারণ তপস্যার কৃচ্ছ্রসাধনে ঋষিরা ক্লিষ্ট।
97) তপস্তপতি ঘর্মাংশৌ কথমবির্ভষ্যতি- উক্তিটি কার? ঘর্মাংশ কে? তমঃ কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে শার্ঙ্গরব ও শারদ্বত নামক ঋষিকুমারদ্বয় রাজা দুষ্মন্তের উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন।
ঘর্মাংশ অর্থাৎ সূর্য বলতে এখানে রাজা দুষ্মন্ত কে এবং তমঃ অর্থাৎ অন্ধকার বলতে এখানে যাগ-যজ্ঞ প্রভৃতি কার্যের বিঘ্নকে বোঝানো হয়েছে। বক্তব্য এইযে দুষ্যন্তরূপ সূর্য থাকতে যাগযজ্ঞাদির বিঘ্নরূপ তমঃ- এর আবির্ভাব বা প্রকাশ সম্ভব নয।
98) চিরস্য বাচ্যং ন গতঃ প্রজাপতিঃ – উক্তিটি কার? প্রজাপতি কেন চিরকালের নিন্দা থেকে মুক্ত?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে শার্ঙ্গরব কথা বলেছেন।
জগতে বিপরীত ধর্ম বিশিষ্ট পতি পত্নী সুলভ। কিন্তু দুষ্মন্ত শকুন্তলার ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। এক্ষেত্রে ভগবান প্রজাপতি সমান গুণসম্পন্ন বধু ও বরকে মিলিত করে বহুকালের নিন্দা থেকে মুক্ত হলেন।
99) ন চ খলু পরিভোক্তুনং নৈব শক্নোমি হাতুম্- উক্তিটি কার? বক্তার দ্বিধার কারণ কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে রাজা দুষ্মন্ত সৌন্দর্যবতী ঋষিতনাকে দেখে একথা বলেছেন।
স্ত্রীর পরিচয় উপনিতা অপরূপ লাবণ্যবতী শকুন্তলাকে ছেড়ে দিতে রাজার মন চাইছে না,আবার পরস্ত্রী গ্রহণের অপবাদে নিন্দিত হতেও তাঁর মন সরছে না।এই হল রাজার দ্বিধার কারণ।
100) দ্বারপি অত্র আরন্যকৌ- গ্রন্থস্থান নির্দেশ করো। উক্তিটি কার?কারা দুজন আরণ্যক?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে বারান্তরে তার প্রতি কথিত দুষ্মন্তের এই বাক্যটিকে শকুন্তলা পুনরাবৃত্তি করেছেন।
এখানে শকুন্তলা ও তার পুত্রসম মৃগশিশুটিকে দুই আরণ্যক বা বনের বাসিন্দা বলা হয়েছে। দুজনেই আরণ্যক বলে মৃগশিশুটি শকুন্তলার কাছ থেকে পদ্মপাতায় জল খেয়েছে, রাজার কাছ থেকে খাইনি।
101) স্বমপত্যজাতমন্যৈর্দ্বির্জৈঃ পরভৃতাঃ খলু পোষয়ন্তি- গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। উক্তিটি কার? বাক্যটির প্রকৃত বক্তব্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে শকুন্তলার উদ্দেশ্যের রাজা দুষ্মন্ত কথা বলেছেন।
কোকিল নিজের সন্তানদের আকাশে উড়তে শেখার আগে অন্য পাখি দিয়ে পালন করিয়ে নেয। গর্ভবতী শকুন্তলাও তার ভাবী সন্তানকে রাজাকে দিয়ে, রাজাকে স্বামীত্বকে নিশ্চিত করে পালন করে নিতে চান।
102) অজ্ঞাতহৃদয়েষ্বেবং বৈরীভবতি সৌহৃদম্ – কার উক্তি? কার “সৌহৃদ ‘ কেন বৈরিতায় পর্যবসিত হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকের রাজার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে শার্ঙ্গরব শকুন্তলা’কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
শকুন্তলা ভালো করে না বুঝে সরল বিশ্বাসে দুষ্যন্তকে হৃদয় সমর্পন করেছিলেন। তাই সেই বন্ধুত্ব আজ শত্রুতায় পর্যবসিত,রাজা অস্বীকার করেছেন শকুন্তলাকে।
103) যূয়মপি মাং পরিত্যজথ- কার উক্তি? যূয়ম্ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? এর মধ্য দিয়ে বক্তার কিরূপ মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকের রাজার প্রত্যাখ্যানে ব্যথিত শকুন্তলা তার সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেছেন।
যূয়ম্ বলতে এখানে শার্ঙ্গরব,শারদ্বত এবং আশ্রম দাতা গৌতমীকে বোঝানো হয়েছে।
রাজা শকুন্তলাকে আশ্রয় দেননি। এখন পিত্রালয়ের সঙ্গীগনও যদি তাকে ছেড়ে চলে যায় তাহলে শকুন্তলার কি গতি হবে। এর মধ্য দিয়ে তাই শকুন্তলার অসহায়তা প্রকাশিত হয়েছে।
104) শ্রুতং ভবদ্ভিরধরোত্তরম্ – কার উক্তি? অধরোত্তরম্ কথাটির অর্থ কি? কি সেই অধরোত্তরম্?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অঙ্কের ঋষিকুমার শার্ঙ্গরব রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন।
অধরোত্তরম্ কথাটির অর্থ বিপরীত বাক্য বা কথা । শার্ঙ্গরবের বক্তব্য এই যে, যে ব্যক্তি (শকুন্তলা) জীবনে শঠতা কাকে বলে জানেনা, তার কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়, আর যারা লোক ঠকানোর চাতুরী বিদ্যারূপে অভ্যাস করে তারা হল সত্যপরায়ন। এরকম বিপরীত ভাবনাকে অধরোত্তরম্ বলা হয়েছে।
105) দুষ্যন্ত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাতা শকুন্তলাকে রাজপ্রাসাদে রেখে আসার সময় শার্ঙ্গরব কি বলেছিলেন?
উঃ- প্রত্যাখ্যাতা শকুন্তলার প্রতি শার্ঙ্গরবের নির্দেশ ছিল এরকম – তোমার সম্পর্কে দুষ্যন্তের কথা যদি সত্য হয় অর্থাৎ তুমি যদি ব্যভিচারিণী হও তাহলে তুমি মহর্ষি কন্বের কোনো কাজেই লাগবে না। আবার তুমি যদি তোমার কৃতকর্মকে প্রবৃত্ত ও সত্য বলে জানো তাহলে স্বামীগৃহে দাসী হয়ে থাকাও তোমার পক্ষে মঙ্গলকর।
106) গৌতমীর পরিচয় দাও।
উঃ- গৌতমি কন্যাশ্রমের বয়ীয়সী, সংযতচরিত্রা প্রধানা তাপসী। ইনি মহর্ষি কন্বের ধর্মভগিনী,আশ্রমের মাতৃস্বরূপা।
107) বলবত্তুদূয়মানং প্রত্যায়য়তীব মে হৃদয়ম্- কার উক্তি? কি বক্তার হৃদয়ে বিশ্বাস উৎপাদন করেছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের পঞ্চম অংকে রাজা দুষ্মন্ত এ কথা বলেছেন।
রাজা শকুন্তলাকে বিবাহ করেছেন বলে মনে করতে পারছেন না। কিন্তু তিনি এক অজ্ঞাত বেদনায় বিদ্ধ। এই বেদনা একথা বুঝিয়ে দিচ্ছে যে শকুন্তলার কথা সত্য।
108) অনুকম্পামৃদুরপি শ্রোত্রিয়ঃ -কার উক্তি? শ্রোত্রিয় শব্দের অর্থ কি? কে কেন অনুকম্পাপরায়ন হয়েও নির্দয়?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে আক্ষরীদের দ্বারা আবদ্ধ পুরুষটি একথা বলেছে।
শ্রোত্রিয় শব্দের অর্থ বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ। বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ দয়াপরায়ন হলেও যজ্ঞের পশুবধকালে নির্দয়। অতএব যার যা জন্মগত বৃত্ত তা কোনোভাবেই পরিত্যাজ্য নয।
109)কালিদাসের যুগে চৌর্যাপরাধের শাস্তি কিরূপ ছিল?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকের প্রবেশক অংশে রক্ষী নগর রক্ষার কাজে নিযুক্ত রাজশ্যালকের কথোপকথন থেকে জানা যায় যে, সে কালে চুরির অপরাধে মৃত্যুদন্ড হত। অপরাধীকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হতো অথবা কুকুরের মুখে ফেলা হতো। কিংবা শূলে চড়ানো হত।
110) সানুপতি কে? তার আবির্ভাব নাটকের কোন অঙ্কে আছে? তিনি কিভাবে নিজেকে অদৃশ্য রেখেছিলেন?
উঃ- সানুমতি হলেন শকুন্তলার অপ্সরা মাতা মেনকার সখি তিনি নিজেও অপ্সরা।
শকুন্তলার মা মেনকার দ্বারা অনুরুদ্ধ হয়ে সানুমতি শকুন্তলার অভাবে রাজার মানসিক অবস্থা জানার জন্য এসেছিলেন। তিনি তিরস্কারিনী বিদ্যার প্রভাবে নিজেকে অদৃশ্য রেখেছিলেন।
111) রাজা দুষ্যন্ত বসন্তোৎসব নিষিদ্ধ করার ফলে বৃক্ষের কি অবস্থা হয়েছে?
উঃ- রাজা বসন্ত উৎসব নিষিদ্ধ করার ফলে আমের মুকুল বিকশিত হলেও তাতে পরাগ জমে ওঠেনি,কুরুবক কিছুটা প্রস্ফুটিত হয়েও কুড়ি অবস্থাতেই রয়ে গেছে,শীতগত হলেও পুরুষ কোকিলের কুলুধ্বনী তাদের কণ্ঠে রুদ্ধ হয়ে রয়েছে, মনে হয় স্বয়ং কামদেব রাজার আদেশে শংকিত হয়ে তূন থেকে তীর বের করেও আবার তা তূনেই রেখে দিয়েছেন।
112) অহো,সর্বাস্ববস্থাসু রমনীয়ত্বমাকৃতিবিশেষানাম্ কে কার সম্পর্কে একথা বলেছেন? উক্তিটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে কঞ্চুকি শকুন্তলার বিরহে ক্লিষ্ট রাজা দুষ্মন্ত সম্পর্কে এ কথা বলেছেন।
দুষ্মন্তের শারীরিক আকৃতি মনোরম। সম্প্রতি শকুন্তলার চিন্তায়ক্লিষ্ট এবং রাত্রি জাগরনে কৃশকায় হলেও তার দৈহিক সৌন্দর্যের কোনো হানি হয়নি।
113) কৃতং ভবতা নির্বিক্ষকম্ – উক্তিটি গ্রন্থস্থান উল্লেখ কর। কার সম্পর্কে একথা বলেছেন? নির্মিক্ষকম্ শব্দটির তাৎপর্য কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে বিদুষক রাজা দুষ্মন্ত সম্পর্কে একথা বলেছেন।
শকুন্তলার স্মৃতি রাজাকে বিষন্ন করেছে। তিনি শকুন্তলা গত বিদুষককে বলতে চান। সে জন্য প্রতিহারী বেত্রবতী,কাঞ্চুকি বাতায়ন প্রভৃতি সকলকে কাজের নির্দেশ দিয়ে সেখান থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিলেন। ফলে স্থানটি বিজন হল। নির্মক্ষকম্ অর্থাৎ মাছিহীন -মাছিটি পর্যন্ত ঢুকতে পারে না এমন।
114) ময়া অপি মৃৎপিন্ডবুদ্ধি না তথা এব গৃহীতম্ – কার উক্তি? বক্তা কি সেভাবে গ্রহন করেছেন? তিনি নিজেকে মৃৎপিন্ডবুদ্ধি বলেছেন কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকের বিদূষক রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
মহর্ষি কন্বের আশ্রম এ রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলার প্রতি তার অনুরাগের কথা বিদূষককে জানানোর পর তা প্রকাশিত হওয়ার আশঙ্কায় সমস্ত বিষয় পরিহাসচ্ছলে উক্ত, সত্য নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন। বিদুষকও রাজার সে কথা অভ্রান্ত ভাবে গ্রহণ করেছিলেন। তাই বিদুষক নিজেকে মৃৎপিন্ডবুদ্ধি অর্থাৎ মাটির ঢেলার মতো বা জড়বুদ্ধিবিশিষ্ট বলে উল্লেখ করেছেন।
15) ননু প্রবাতেঅপি নিষ্কম্পা গিরয়ঃ- কার উক্তি? উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে বিদূষক শকুন্তলার শোকে মুহ্যমান রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন।
প্রবল ঝড়ে ও পর্বত কম্পিত হয় না অর্থাৎ সৎপুরুষ,রাজার মতো দৃঢ়চিত্ত ব্যাক্তির, শোকে আকুল হওয়া বা ভেঙে পড়া ঠিক নয।
116) স্বপ্নো নু মায়া নু মতিভ্রমো নু – কার উক্তি? কি স্বপ্ন, মায়া কিংবা মতিভ্রম নয়?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্কে শকুন্তলার শোকে মুহ্যমান রাজা দুষ্যন্ত একথা বলেছেন।
শকুন্তলার সঙ্গে এককালে তার মিলনকে রাজার স্বপ্ন,ইন্দ্রজালিকের প্রভাব,মনের ভ্রান্ত ধারনা প্রভৃতি বলে মনে হয়েছে।
117) গৃহীতঃ অনেন পন্থা উন্মাত্তানাম্ – কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি কেন উন্মত্তের পথ ধরেছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে বিদূষক রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
শকুন্তলার বিচ্ছেদে রাজা এতই কাতর যে তিনি শকুন্তলাকে প্রদত্ত তার আংটিটি তিরস্কার করতে প্রবৃত্ত হয়েছেন।তাই বিদূষক বলেছেন তিনি যে পাগলের পথ ধরেছেন।
118) জাতঃ সখে প্রনয়বান্ মৃগতৃষ্ণিকায়াম্ – কার উক্তি? কে কাকে পরিত্যাগ করে মৃগতৃষ্ণিকায় (মরীচিকা) প্রণয়বান(আসক্ত) হয়েছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
প্রিয়তম শকুন্তলা যখন স্বয়ং তার কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন তখন তিনি তাকে গ্রহণ করেননি আর এখন তিনি নেই রাজা তার প্রতিকৃতিকে সমাদর করেছেন।এ যেন জলপূর্ণ নদীকে অবজ্ঞা করে মরীচিকায় আসক্ত হওয়া।
119) রাজা বিদুষক কোথায়, কার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অঙ্কে বিদূষককে মেরে ফেলার মিথ্যে অভিনয় বার্তা শুনিয়ে অদৃশ্যজীবের হাত থেকে দুষ্যন্ত তার প্রিয় বয়স্যকে মেঘপ্রতিছন্দ প্রাসাদে উদ্ধার করেছিলেন।
120) অহমপি এতস্য সঙ্গেন ঈদৃশবর্ন ইব সংবৃত্তঃ- কার উক্তি? বক্তা কার সংসর্গে কিরূপ হয়েছেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে বিদূষক একথা বলেছেন।
রাজা দুষ্মন্ত তার নিজের আঁকা প্রিয়তমা শকুন্তলার ছবিটিকে দেখে তার সঙ্গে প্রত্যক্ষবৎ আচরণ করেছেন দেখে বিদূষক বলেছেন যে তিনি পাগলপ্রায় রাজার সঙ্গে থেকে পাগল হতে বসেছেন।
121) ধনমিত্র কে? রাজা তার উত্তরাধিকারিত্ব বিষয়ে কি বিধান দিয়েছিলেন?
উঃ- দুষ্মন্তের রাজ্যের এক সমুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন ধনমিত্র। তিনি অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে রাজা দুষ্মন্ত এরকম ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন যে, তার (ধনমিত্র) পত্নীদের মধ্যে যিনি গর্ভবতী,তার সন্তানই পিতৃসাপদের অধিকারী হবে।
122) হংসো হি ক্ষীর মাদত্তে তন্মিশ্রা বর্জয়ত্যপঃ- কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? উক্তিটির প্রাসঙ্গিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে প্রিয় বয়স্য বিদুষকের অদৃশ্য পীড়নকারীকে উদ্দেশ্য করে রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
রাজা অদৃশ্য পীড়নকারী প্রতি ধনবান সংযোজন করে একথা বলতে চেয়েছেন যে, যেমন হাঁস জল মিশ্রিত দুগ্ধ মধ্য থেকে দুগ্ধ টুকু গ্রহণ করে জল বর্জন করে। তেমনি তাঁর( দুষ্যন্ত) বান বধযোগ্য পীড়নকারীকে বধ করবে ওরক্ষনীয় ব্রাহ্মণ বিদূষককে রক্ষা করবে।
123) রাজা দুষ্মন্ত দেবরাজ ইন্দ্রের পক্ষ হয়ে কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে দেখা যায় যে, দানবদলনের জন্য দূষন্তকে দেবরাজ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কালনেমির বংশধর দুর্জয় নামে কতগুলি দানবের বিরুদ্ধে (যাদের ইন্দ্র পরাজিত করতে সক্ষম হননি ) দুষ্যন্ত দেবরাজের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন।
124) উচ্ছে তুং প্রভবতি যন্ন সপ্তসপ্তি স্তন্নৈশং তিমিরমপাকরোতি চন্দ্রঃ- কার উক্তি? সপ্তসপ্তিঃ শব্দের দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে? বক্তব্যটির প্রকৃত তাৎপর্য উল্লেখ করো।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ষষ্ঠ অংকে বিদূষক ইন্দ্রের সারথি মাতলি রাজা দুষ্মন্ত কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
সপ্তসপ্তিঃ অর্থাৎ সপ্ত সপ্তয়ঃ অশ্বা সন্তি যস্য সঃ- যার সাতটি ঘোড়া আছে। সূর্যকে এখানে সপ্তসপ্তিঃ শব্দের দ্বারা বোঝানো হয়েছে।
দেবরাজ ইন্দ্র বলবত্তর হলেও কতগুলি দানবকে পরাজিত করতে পারছেন না। তাই তিনি প্রার্থীব নৃপতি দুষ্যন্তকে স্মরন করেছেন- যিনি বলবীর্যে ইন্দ্রের সমকক্ষ নন। তাই বলা হয়েছে, রাতের যে অন্ধকার সূর্য দূর করতে অক্ষম, চন্দ্র তা দূর করতে পারে।
125) রাজা দুষ্মন্তকে ক্রুদ্ধ করার জন্য মাতলি কোন যুক্তির অবতারণা করেছিলেন?
উঃ- রাজাকে ক্রুদ্ধ করার জন্য বিদুষক হত্যার মিথ্যা অভিনয় ঘটানো হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মাতলির যুক্তি নির্বানোন্মুখ অগ্নিকে আন্দোলিত করলে তা পুনরায় প্রদীপ্ত হয়, সর্পকে আঘাত করলে যে ফণা তুলে আক্রমণ করে। মানুষও ক্রুদ্ধ হলে আপন তেজ প্রকাশ করে থাকে।
126) উভয়মপ্যপরিতোষং সমর্থয়ে- গন্দ্র স্থান নির্দেশ করো কার উক্তি? উভয়ম্ শব্দের দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে? উভয়ের অপরিতোষের কারণ কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে ইন্দ্রের সারথি মাতলি একথা বলেছেন।
উভয়ম্ পদের দ্বারা এখানে রাজা দুষ্মন্ত ও দেবরাজ ইন্দ্রকে বোঝানো হয়েছে।
দেবরাজের আদর অভ্যর্থনা দেখে দুষ্যন্ত দানবিজয়ের দ্বারা পূর্বকৃত উপকারকে তুচ্ছ ভাবছেন। আবার ইন্দ্রও দুষ্যন্তের বীরত্বের বিস্মিত হয়ে ভাবছেন যে রাজার যোগ্য সমাদর করা হয়নি তাই দুজনেই অতৃপ্ত।
127) ত্রিদিবমূগ্ধদ্ধৃতদানকন্ঠকম্- কার উক্তি? বক্তার মতে কিভাবে ত্রিদিব অর্থাৎ স্বর্গ দানবকন্টক থেকে মুক্ত?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে ইন্দ্রের সারথি মাতলি এই উক্তি করেছেন।
মাতলির মতে স্বর্গ দানব উৎপীড়ন থেকে মুক্ত হওয়ার কারণ দু’টি প্রথমতঃ নৃসিংহমূত্তিধারনকারী ভগবান বিষ্ণুর নখ এবং দুষ্যন্তের মসৃণ গ্রন্থিযুক্ত বান।
128) কতরস্মিন্ মরুতং পথি বর্তামহে – কার উক্তি? মরুতাং পথি- বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের সপ্তম অঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত ইন্দ্রের সারথি মাতলিকে এই প্রশ্ন করেছেন।
মরুতাং পথি ‘ অর্থাৎ বায়ুর পথ বা স্তর। প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিবির্দ্যাবিষয়ক গ্রন্থে পৃথিবী থেকে দূরত্বের ভিত্তিতে বায়ুর সাতটি স্তর কথিত হয়েছে – আবহ, প্রবহ,উদ্বেহ, সংবহ, সুবহ,পরিবহ ও পরাবহ। রাজা প্রবহ’ বায়ুর পথে বিদ্যমান ছিলেন।
129) পূর্বাবধীরিতং শ্রেয়ো দুঃখংহি পরিবর্ততে- কার উক্তি? পূর্বাবধীরিতং শ্রেয়ঃ অর্থাৎ প্রত্যাখ্যাত কল্যান বলতে কি বিষয়কে বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের সপ্তম অঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত মহর্ষি মারীচের আশ্রমে উপস্থিত হয়ে একথা বলেছেন।
এখানে পূর্বাবধীরিতং শ্রেয়ঃ বলতে কল্যানস্বরূপিনী শকুন্তলাকে প্রত্যাখ্যাত জনিত দুঃখকে বোঝানো হয়েছে।
130) বেগাবতরনাদাশ্চার্যদক্ষনঃ সংলক্ষ্যতে মনুষ্যলোকঃ – গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। বক্তাকে অনুসরন করে মনুষ্যলোকের বর্ণনা দাও।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে দানব বিজয়ের শেষে ফেরার সময় একথা বলেছেন রাজা দুষ্মন্ত।
বক্তার বর্ণনানুসারে পৃথিবী যেন পর্বতের শিখর দেশ থেকে অবতরণ করেছে। বৃক্ষের প্রান্তভাগ ক্রমশ দৃষ্টির বিষয়ীভূত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, পাতার মধ্য থেকে তা যেন উড়ে দাঁড়াচ্ছে। যে নদী গুলিকে আগে জলহীন ও ক্ষীন বলে মনে হচ্ছিল, সেগুলিকে বিস্তার লাভ করে প্রকাশিত হচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন পৃথিবীতে ঊর্ধ্বে নিক্ষেপ করে কাছে নিয়ে আসছে।
131) দুষ্মন্তের পুত্রের নাম কি?মহর্ষি মারীচের আশ্রমে রাজা সেই বালক কে কি অবস্থায় দেখেছিলেন?
উঃ- দুষ্যন্তের পুত্রের নাম সর্বদমন। আশ্রমের তপস্বিনী বলেছে স্থানে খলু ঋষিজনেন সর্বদমন ইতি কৃতনামধেয়ঃ অসি- ঋষিরা যথার্থই এর নাম সর্বদমন রেখেছেন।
মহর্ষি মারীচের আশ্রমে রাজা দুষ্যন্ত দেখেছিলেন যে, সেই বালক একটি সিংহ শিশুর দাঁত গুনছিল।
132) স্ফুলিঙ্গাবস্থয়া বহ্নিরেধাপেক্ষা ইব স্তিতঃ – কার উক্তি?কাকে স্ফুলিঙ্গাবস্থয়া বহ্নি’ আগুনের স্ফুলিঙ্গের মতো বক্তার মনে হয়েছে এবং কেন?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের সপ্তমঅঙ্কে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষি মারীচের আশ্রমের দুরন্ত বালক কে দেখে কথা বলেছিলেন।
মারিচ আশ্রমের দুরন্ত বালক সর্বদমন কে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বলে মনে হয়েছে রাজা দুষ্মন্তের। কারণ যে বালক সিংহ শিশুকে ধরে তার দাঁত গুনতে পারে সে স্ফুলিঙ্গই।
133) ধন্যাস্তদঙ্গ রজসা মলিনী ভবস্তি- গ্রন্থস্থান নির্দেশ করো?কার অঙ্গরজসা(গায়ের ধূলোয়) কারা ধন্য?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষি মারীচের আশ্রমের দুরন্ত বালক কে দেখে তার প্রতি স্নেহশীল হয়ে একথা বলেছেন।
সন্তানের গায়ের ধুলায় যাদের অঙ্গ ধূসরিত না হয, তারা ভাগ্যহীন,যাদের হয় তারা ধন্য ভাগ্যবান।
134) সর্বদমন,শকুন্তলাবন্যং প্রেক্ষস্ব- উক্তিটি কার? শকুন্তলাবন্য কথাটির অর্থ কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মহর্ষি মারীচের আশ্রমের জৈনকা তাপসী একথা বলেছেন।
শকুন্তলাবন্যং অর্থাৎ পাখির সৌন্দর্য এই হল শকুন্তলাবন্য কথাটি অর্থ। তাপসী কর্তৃক আনীত মাটির ময়ূরটি প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে।
135) অপিনাম মৃগতৃষ্ণিকেব নামমাত্র প্রস্তাবো যে বিষাদায় কল্পতে- উক্তিটির গ্রন্থস্থান নির্দেশ কর। কার নাম প্রস্তাব কার কাছে”মৃগতৃষ্ণিকা’ তুল্য এবং কেন?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে এই পঙক্তিটি পাওয়া যায।
লুপ্ত স্মৃতি প্রাপ্ত রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলার বিরহে অত্যন্ত কাতার। মারীচাশ্রমে ঘটনাচক্রে বালকের মায়ের নাম শকুন্তলা শুনে তাঁর বীরহক্লিষ্ট হৃদয় নবীন আশায় সজ্ঞীবিত হয়ে উঠতে চাইছে। কিন্তু দুষ্যন্তের মনে হচ্ছে নামের সাদৃশ্য মরীচিকারূপ হতাশার দিকে টেনে নিয়ে যাবে।
136) সর্বদমনের হাতে মহর্ষি মারীচ যে কবচ বেঁধে দিয়েছিলেন,তার নাম এবং ক্রিয়াকারিতা বা কার্যশক্তি উল্লেখ কর।
উঃ- সর্বদমনের হাতে ভগবান মারীচ যে কবচ বেঁধে দিয়েছিলেন,তার নাম ছিল অপরাজিতা। এই কবচ মাটিতে পড়ে গেলে মা বাবা ছাড়া অন্য কেউ তা তুলতে বা স্পর্শ করতে গেলে তা সাপ হয়ে তাকে (স্পর্শকারীকে) দংশন করে।
137) উপরাগান্তে শশিনঃ সমুপগতা রোহিনী যোগম্- উক্তিটি কার?এখানে শশী কে?রোহিনী বা কে?গ্রহণই বা কি?
উঃ- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের সপ্তম অঙ্কে রাজা দুষ্যন্ত ভগবান মারীচের আশ্রমে শকুন্তলার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন- গ্রহনের শেষে রোহিনী আবার চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হল।
এখানে শশী বলতে রাজা দুষ্যন্ত, রোহিনী বলতে শকুন্তলা ও গ্রহন বলতে বিরহদুঃখ ভোগ, অভিশাপ প্রসঙ্গকে বোঝানো হয়েছে।
138) স্রজমপি শিরস্যন্ধঃ ক্ষিপ্তাং ধুনোত্যহিশঙ্কয়া- গ্রন্থ স্থান নির্দেশ করো?কে কার উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন? উক্তিটির নিহিতার্থ ব্যাখ্যা কর।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে রাজা দুষ্মন্ত ভগবান মারীচের আশ্রমে শকুন্তলার প্রতি একথা বলেছেন।
অন্ধ ব্যক্তি গলায় পরিয়ে দেওয়া ফুলের মালাকেও ভুল করে সাপ মনে করে দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়। অর্থাৎ দুষ্মন্ত বিস্মৃত হয়ে অন্ধের মতো স্বয়মাগত পুষ্প মালাসদৃশ পবিত্র ও নিরপরাধ শকুন্তলাকে সাপের মতো পরস্ত্রীজ্ঞানে পরিত্যাজ্য মনে করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
139) ন অস্য বিশ্বসিমি- উক্তিটি কার? কে কাকে বিশ্বাস করেনা?এই উক্তির দ্বারা বক্তার কোন চরিত্র বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মারীচের আশ্রমে রাজা দুষ্মন্তের সঙ্গে পুনর্মিলিত হওয়ার পর শকুন্তলা তাকে পূর্বে প্রদত্ত রাজার আংটি সম্পর্কে একথা বলেছেন।
শকুন্তলা দুষ্মন্ত প্রদত্ত সেই অভিজ্ঞান অঙ্গুরীয়ককে আর বিশ্বাস করেন না, কারণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রাজার বিশ্বাস উৎপাদনের সময় তা শকুন্তলাকে প্রবঞ্চনা করেছে।
শকুন্তলা কর্তৃক অঙ্গুরীয়কের প্রতি অবিশ্বাস স্থাপন দয়িত দুষ্মন্তের প্রতি তার অগাধ আস্থা,বিশ্বাস ও সরলতার পরিচয় বহন করে।
140) স স্বামিপুত্র শকুন্তলার প্রতি মহর্ষি মারীচের আশীর্বাদ বচন বিবৃত করো।
উঃ- স্বামী ও পুত্র পরিবৃত্ত শকুন্তলাকে মহর্ষি মারীচ এই বলে আশীর্বাদ করেছিলেন। যে তোমার স্বামী ইন্দ্রের মতো বীর্যবান, তোমার পুত্র জয়ন্তের (ইন্দ্রপুত্র) মতো তোমাকে অন্য আশীর্বাদ কি আর করি শুধু একটু বলি তুমি ইন্দ্রানীর মতো হও।
141) শ্রদ্ধা বিত্তং বিধিশ্চেতি ত্রিতয়ং তত্ সমাগতম্- উক্তিটি কার?শ্রদ্ধা,বিত্ত ও বিধি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মহর্ষি মারীচ পত্নী-পুত্রসহ দুষ্যন্তকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
এখানে শ্রদ্ধা বলতে সাধ্বী শকুন্তলা,বিত্ত বলতে পবিত্র সন্তান সর্বদমন এবং বিধি বলতে অপত্যযুক্ত দুষ্যন্তকে বোঝানো হয়েছে।
142) অতোঅপূর্বঃ খলু বোঅনুগ্রহঃ- উক্তিটি কার? কার অনুগ্রহ কেন অপূর্ব?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মহর্ষি মারীচের উদ্দেশ্যে রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
সপত্নী পুত্র দুষ্মন্তের প্রতি মারীচের অনুগ্রহের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
সংসারে কারণ ও কার্যের ক্রম হলো এই যে আগে কারণ তারপর কার্য ঘটে, আগে ফটে ফুল, পরে হয় ফল। আগে মেঘের সঞ্চার, তারপর বৃষ্টি। কিন্তু এক্ষেত্রে তা বিপরীত। মহর্ষি মারীচের দর্শন ও অনুগ্রহ লাভের পূর্বে রাজার অভিপ্রেত পত্নী ও পুত্র মিলন ঘটেছে।
143) তব প্রসাদস্য পুরন্ত সম্পদ- উক্তিটি কার? প্রসাদ কি? সম্পদ বা কি?
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মহর্ষি মারীচকে উদ্দেশ্য করে রাজা দুষ্মন্ত একথা বলেছেন।
প্রসাদ অর্থাৎ অনুগ্রহ মহর্ষি মারীচের দুষ্যন্তের প্রতি অনুগ্রহ। সম্পদ হল দুষ্যন্ত কর্তৃক পত্নী ও পুত্রের প্রাপ্তি।
144) এষ বচনীয়ান্মুক্তোঅস্মি?- কার উক্তি? কে কি থেকে মুক্ত হলেন?
অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে রাজা দুষ্মন্ত মহর্ষি মারীচকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
রাজা দুষ্মন্ত কি কারনে শকুন্তলাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।তিনি নিজেও তা জানতেন না। তার মনে হয়েছিল মোহবশত তিনি এই কাজ করেছেন। কিন্তু ঋষি দুর্বাসার শাপে তার স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার কারণে যে এই প্রত্যাখ্যান একথা মহর্ষি মারীচের কাছ থেকে শুনে আশ্বস্ত হয়ে বলেছেন যে তিনি লোকনিন্দা থেকে মুক্ত হলেন। অন্যথা শকুন্তলার প্রতি অকারণ দুর্ব্যবহারের জন্য তাকে নিন্দিত হতে হত। অকারণ প্রত্যাখ্যানের বেদনা থেকেও তিনি আজ মুক্ত।
145) শুদ্ধে তু দর্পনতলে সুলভাবকাশা- কার উক্তি? উক্তিটির নিহিতার্থ ব্যাখ্যা করো।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের সপ্তম অংকে মহর্ষি মারীচ শকুন্তলা’কে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
উক্তিটির অর্থ দর্পণে মালিন্য থাকলে তাতে প্রতিবিম্ব পড়েনা, নির্মল দর্পণে কিন্তু তা সহজেই পড়ে। বক্তব্য এই যে অভিশাপের কারণে স্মৃতিভ্রষ্ট রাজার ওপর শকুন্তলার কর্তৃত্ব ছিল না, কিন্তু এখন স্মৃতি প্রাপ্ত রাজার উপর শকুন্তলার কর্তৃত্ব নিঃসংশয়।
146) মহর্ষি মারীচ সন্ন্যাসী হলেও লোকযাত্রাতিজ্ঞ- শকুন্তলা নাটক থেকে একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে একথা প্রতিপাদন করো।
উঃ- মহর্ষি কন্ব নৈষ্ঠিক বম্ভচারী হলেও লৌকিকযোগ্য, বিবাহিতা শকুন্তলাকে অবিলম্বে পতিগৃহে পাঠানোর ঘটনায় এবং অন্য দুয়েকটি ঘটনায় তার পরিচয় আমরা পেয়েছি। মহর্ষি মারীচ উপকুর্বান অর্থাৎ আজীবন ব্রহ্মচারী নন, তবু তিনি সাংসারিক বিষয়ে অভিজ্ঞ। মহর্ষি কন্ব তপঃ প্রভাবে দুষ্মন্ত শকুন্তলার পুনর্মিলনের কথা জানলেও মহর্ষি মারীচ লোক পাঠিয়ে যে সংবাদ তাকে জানিয়েছেন,কারণ সেটাই লোকাচার।
147) শকুন্তলার পুত্র সর্বদমন নামান্তর কি? তার এরূপ নামকরণ কে করেছিলেন? কী কারণে তার এরূপ নামকরণ?
উঃ- শকুন্তলার পুত্র সর্বদমন এর নামান্তর ভরত। মারীচাশ্রমের সমস্ত প্রাণী কে দমন করে রাখত বলে তার নাম সর্বদমন।
তার “ভরত’ এই নাম দিয়ে ছিলেন স্বয়ং মহর্ষি মারীচ। পৃথিবীকে ভবিষ্যতে ভরণপোষণ করবে বলে তার নাম ভরত- “ভরত ইতি লোকস্য ভরনাত্’।
148) অভিজ্ঞানশকুন্তলম নাটকের ভরতবাক্যের বক্তব্য বিবৃত করো।
উঃ- অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের ভরতবাক্যের বক্তব্য এরকম রাজা প্রজাসাধারণের মঙ্গল করুন, শাস্ত্রজ্ঞানগরিষ্ঠ মহজ্জনের বানী সমাদর লাভ করুক, অনন্ত শক্তির আধার স্বয়ম্ভু নীললোহিত অর্থাৎ শংকর আমার পুনর্জন্ম নিবারন করুন।
149) দুষ্মন্ত শকুন্তলার পুনর্মিলনের সংবাদ মহর্ষি কন্বকে জানানোর জন্য কে কাকে পাঠিয়েছিলেন?
উঃ- দুষ্মন্ত শকুন্তলা পুনর্মিলনের সংবাদ মহর্ষি কন্বকে জানানোর জন্য ভগবান মারীচ তার গালব নামক এক শিষ্যকে আকাশপথে পাঠিয়েছিলেন।
150) সংস্কৃত নাটকের প্রথমে ও শেষে কি থাকে?
উঃ- সংস্কৃত অলংকার শাস্ত্রের বিধান অনুসারে সংস্কৃত নাটকের প্রথমে থাকে আশীর্বাদ সূচক বা মঙ্গলসূচক শ্লোক, আর শেষে থাকে ভরতবাক্য।
151) ভারত বাক্য কি?এর এরূপ নামকরণের কারণ কি?
উঃ- সংস্কৃত নাটকের অন্তিম আশীর্বাদসূচক শ্লোক বা শান্তিবাক্যকে ভরতবাক্য বলে। এটি একধরনের প্রশস্তিমূলক শ্লোক।
নাটকের ভরত অর্থাৎ পাত্র পাত্রীগন এই শ্লোক বা বাক্য পাঠ করেন বলে এর নাম ভরতবাক্য।
কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলম pdf
অভিজ্ঞান শকুন্তলম নাটকের বিষয়বস্তু
অভিজ্ঞান শকুন্তলম এর কাহিনী ভিডিও (Youtube video)।
আরো পড়ুন –
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের ভাবসম্প্রসারণগুলি
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে সংস্কৃত ভাষায় ভাবসম্প্রসারণ (1-2-3)
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে সংস্কৃত ভাষায় ভাবসম্প্রসারণ (4,5,6)
আরো পড়ুন-
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক-এর অন্যান্য বিষয়গুলি –
- MCQ TEST অভিজ্ঞানশকুন্তলম্।
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক অনুসারে শকুন্তলার চরিত্র বিশ্লেষণ
- অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের বিষয়বস্তু
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটকের শ্লোকগুলির সংস্কৃত বাখ্যা
- 1. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (1-2)
- 2. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (3-4)
- 3. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা-(5-6)
- 4. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত বাখ্যা-(7-8)
- 5. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত বাখ্যা-(9-10)
- 6. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ নাটক হতে সংস্কৃত শ্লোক বাখ্যা (11-12)
আরো পড়ুন – মহাকবি কালিদাস