শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্: গঙ্গার অপর নাম জাহ্নবী হল কেন?

নরকনিবারিণী জাহ্নবী গঙ্গে ”- গঙ্গার অপর নাম জাহ্নবী হল কেন?

গঙ্গার অপর নাম জাহ্নবী হল কেন?

নরকনিবারিণী জাহ্নবী গঙ্গে ”- গঙ্গার অপর নাম জাহ্নবী হল কেন?

উত্তর- দার্শনিক কবি শংকরাচার্য শ্রীগঙ্গাস্তোত্রম্ -এ গঙ্গাকে ‘জাহ্নবী’ বলে উল্লেখ করেছে। তিনি গঙ্গার স্তুতি করতে গিয়ে পতিতোবাতি জহ্নু মুনি বিশেষ + অ (অগ) তৎসম্বপার্থে+স্ট্রীলিশে ঈ (ভীপ)-জাহদী। জহ্নু মুনির কন্যা গঙ্গা নদী। রবীন্দ্রনাথের মতে “জাহর যমুনা বিদলিত করুণা”। শংকরাচার্য বলেছেন – ” জননি খলু মুনিবরকনো”।

জহ্নু :

ইনি একজন বিখ্যাত রাজর্ষি ছিলেন। তাঁর পিতার নাম সুহোর এবং মাতার নাম কেশিনী। তিনি যুবনাশ্বের কন্যা কাবেরীতেবিবাহ করেন। কাবেরীর গর্ভে জহুর সুনহ নামে এক পুত্র জন্মায়।

জতুন অতিশয়া প্যপরায়ণ রাজর্ষি ছিলেন। তিনি সবসময় যজ্ঞাদি কাজে ব্যস্ত থাকতেন। রাজা উদীয় পিতৃপুরুষনের উচ্চারার্থে গঙ্গ্যাকে পাতালে আনয়নকালে মর্ত্যে রাজর্ষি জতুন এক যজ্ঞের অনুষ্ঠানে রত ছিলেন। গঙ্গা জহুরা মাহিত করে যজ্ঞের সমস্ত বা ভাসিয়ে নিয়ে যান। জহু রেগে গিয়ে গঙ্গাকে তপস্যার প্রভাবে (বা তপোবলে) পান করে ফেলেন। তারপর দেব, গম্বর, জমি ও ভগীরথের স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে কান দিয়ে (মতান্তরে জানু বিদীর্ণ করে) গঙ্গাকে প্রবাহিত করে মুক্ত করে দেন। সেই থেকে গ্যা জাহ্নু কন্যা বা জাহ্নবী নামে অভিহিতা হন।

মূল্যায়ন

ও নতক নির্ধারিণী, কলুবনাশিনী, স্বমহিমায় অতি যশস্বিনী জাহাবী গঙ্গার কৃপায় কেউ যদি তাঁর স্রোতে স্নান করে তবে সে পুনরার মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে না বা জন্মগ্রহণ করে না, চিরমুক্তি পায়। এটাই শঙ্করাচার্যের অনুভূতি। সেই পবিত্র গঙ্গা আজ আমাদের কাছে উপেক্ষিতা, অবহেলিতা। তাঁর পবিত্রতা রক্ষায় আমাদের যত্নবান হতে হবে।

Comments