উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ (Class XII Text Aryabartabarnanam) হতে বাংলা অনুবাদ ও শব্দার্থ এবং প্রশ্ন উত্তরে লিংক গুলি দেওয়া হল । আর্যাবর্তবর্ণনম্ বাংলা অনুবাদ সহজ ভাবে দেওয়া হয়েছে ।
পাঠ্যাংশ | আর্যাবর্তবর্ণনম্ |
রচয়িতা | ত্রিবিক্রম ভট্ট |
মুলকাব্য | নলচম্পূ (প্রথম উচ্ছ্বস) |
শ্রেণী | চম্পূকাব্য |
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ (বাংলা অনুবাদ ও শব্দার্থ )/ Class XII Text Aryabartabarnanam
॥ নলচম্পূঃ॥ ত্রিবিক্রমভট্ট আর্যাবর্তবর্ণনম্
ভূমিকা
দশম শতাব্দীর কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট। তাঁর পিতা শাণ্ডিল্যগোত্রীয় ব্রাহ্মণ নেমাদিত্য। ত্রিবিক্রম ভট্ট ‘যমুনাত্রিবিক্রম’ নামেও পরিচিত ছিলেন। ‘নলচম্পূ ’ ও ‘মদালসাচম্পূ’ তাঁর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি।
‘চম্পু’ কথাটির অর্থ হল গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত রচনা-‘চম্পয়তি যোজয়তি গদ্যপদ্যে ইতি চম্পূঃ‘। সাহিত্যদর্পণে বলা আছে ‘গদ্যপদ্যময়ং কাব্যং চম্পূরিত্যভিধীয়তে’। গুপ্তযুগে প্রাপ্ত শিলালেখ থেকে জানা যায় যে চতুর্থ শতাব্দীতেও চম্পুকাব্যের প্রচলন ছিল। তবে যথার্থভাবে এই কাব্য লেখা শুরু হয় দশম শতাব্দীতে-ই, এবং ‘নলচম্পূ’ সেই অর্থে প্রথম রচিত চম্পূকাব্য। সংস্কৃত সাহিত্যে ‘নলচম্পু ও ‘মদালসাচম্পু’ ছাড়া আরো আঠারোটি চম্পুকাব্যের । সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ‘রামায়ণচম্পু’, ‘ভাগবতচম্পূ’, ‘যশস্তিলকচম্পু’, ও ‘জীবন্ধরচচম্পূর্ণ।
বর্তমান পাঠ্যাংশটি ‘নলচম্পূ’ কাব্যের প্রথম উচ্ছাস বা প্রথম অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে। এই অংশে দশম শতাব্দীর ভারতবর্ষে আর্যাবর্ত নামে যে অঞ্চলটি বিখ্যাত ছিল তার একটি সুন্দর, সুললিত বর্ণনা আমরা পাই। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট সাতটি অধ্যায় আছে এবং মূল আলোচ্য বিষয় হল নল ও দময়ন্তীর প্রেমগাথা।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে বাংলা অনুবাদ ও শব্দার্থ
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-১
👉 অস্তি সমস্ত বিশ্বম্ভরা ভোগ ভাস্বৎ ললাম্ লীলায়মানঃ সমানঃ সেব্যতয়া নাকলোকস্য।
বঙ্গানুবাদঃ– সমগ্র পৃথিবীর ভোগ্য বস্তুর উপস্থিতিতে এবং উজ্জ্বল সৌন্দর্যে বিরাজমান এই দেশ স্বর্গের মতো উপভোগ্য।
👉 গ্রাম্যকবি কথাবন্ধ ইব নীরসস্য মনোহরঃ ভীম ইব ভারত অলংকারভূতঃ,অগ্রণীঃ সর্ববিষয়ানাম্।
বঙ্গানুবাদঃ– নিরস মানুষের কাছে গ্রাম কবির রচনা যেমন মনোহর, তেমনই দেশও নীর ও শষ্যে মনোহর অর্থাৎ জল ও শষ্যে পরিপূর্ণ। ভীম যেমন মহাভারতের অলংকার। এই দেশও ভারতবর্ষের অলংকার। এই দেশ সমস্ত দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য।
👉 অনধীতব্যকরন ইব অদৃষ্ট প্রকৃতি-নিপাত-উপসর্গ-লোপ- বর্ণবিকার।
বঙ্গানুবাদঃ- ব্যাকরণে মূর্খ ব্যক্তি যেমন প্রকৃতি -নিপাত – উপসর্গ- বর্ণবিকার জানে না, তেমনই এই দেশের প্রজাদের মধ্যে বংশচ্যুতি, চুরি প্রভৃতি উপদ্রব, নিয়মের অবলুপ্তি, বর্ণ ব্যবস্থার বিচ্যুতি দেখা যায় না।
👉 পশুপতি জটাবন্ধ ইব বিকশিত কনককমলকুবলয় উচ্ছলিত রজঃ পুঞ্জ পিঞ্জরিত হংস অবতংসয়া প্রচুর চলৎ চকোর চক্রবাক কারন্ডব মন্ডলি মন্ডিত তীরয়া।
বঙ্গানুবাদঃ– মহাদেবের মস্তকের জটাজালের মতো প্রস্ফুটিত স্বর্ণ পদ্ম ও নীল পদ্ম থেকে ঝরে পড়া পরাগরাশিতে পীতবর্ণে রঞ্জিত হংসরূপ অলংকার দ্বারা শোভিত অনেক চঞ্চল -চকোর-চক্রবাক- সারসের দলে যার তীর শোভিত ছিল।
👉 ভগীরথভূপালকীর্তিপতাকয়া স্বর্গগমনসোপানবীথীয়মানরিঙ্গত্তরঙ্গয়া গঙ্গয়া পুণ্যসলিলঃ প্লাবিত চন্দ্রভাগা অলংকৃতে এক দেশশ্চ।
বঙ্গানুবাদঃ– রাজা ভগিরথের কীর্তি পতাকা স্বরূপ। স্বর্গ গমনের সিঁড়ির ধাপের মতো আন্দোলিত তরঙ্গে ভরা পবিত্র গঙ্গার জলে যে দেশ পূর্ণ ছিল। যার একটি অংশ প্রবাহমান চন্দ্রভাগা নদীর ধারা অলংকৃত ছিল।
👉 শরণ্যঃ পুণ্যকারিণাম্ আরামো রমণীয় কদলীবনস্য,ধাম ধর্মস্য আস্পাদং সম্পদাম্ আশ্রয়াঃ শ্রেয়সাম, আকর, সাধ্যুবহাররত্নাণাম্ আচার্যভবণম্ আর্যমর্যাদা উপদেশাণাম্ আর্যাবর্তো নাম দেশঃ।
বঙ্গানুবাদঃ– যে দেশ ছিল পূর্ণ মানুষদের আশ্রয় স্বরূপ, যে দেশ সুন্দর কলার বাগান দিয়ে ঘেরা,ধর্ম-কর্মের পুণ্য ক্ষেত্র, সম্পদের আধার,সকল মঙ্গলের আশ্রয়, সৎ আচরনরূপ রত্নসমূহের ভাণ্ডার, আচার্যদের বাসভূমি এবং সৎ উপদেশের পীঠস্থান – দেশটির নাম আর্যাবর্ত
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-২
👉 যস্মিন্ অনবরত ধর্ম কর্ম উপদেশ শান্ত সমস্ত ব্যাধি ব্যাতিকরাঃ। পুরুষ আয়ুষ জীবিন্যঃ। সকল সংসার সুখভাজঃ প্রজাঃ।
বঙ্গানুবাদঃ– এই আর্যাবর্ত দেশে সব সময় ধর্ম-কর্মের উপদেশের ফলে প্রজাদের সমস্ত রোগ দূর হয়েছে। এখানে প্রজারা মানুষের সর্বোচ্চ আয়ু পর্যন্ত জীবন ধারন করে। প্রজারা সংসারের সমস্ত প্রকার সুখ ভোগ করে।
👉 তথা হি স্ফোটপ্রবাদো বৈয়াকরণেষু,গ্রহসংক্রান্তি জ্যোতির্শাস্ত্রেষু,ভূতবিকারবাদঃ সাংখ্যেষু,গুল্মবৃদ্ধিবনভূমিষু,
গন্ডকোত্থানং পর্বতবনভূমিষু,দৃশ্যতে ন প্রজাসু।
বঙ্গানুবাদঃ–
- স্ফোটতত্ত্ব ব্যাকরণ শাস্ত্রে আলোচিত হতে দেখা যায়, কিন্তু প্রজাদের মধ্যে ফোঁড়া,ঘা ইত্যাদি দেখা যায়না।
- জ্যোতিষ শাস্ত্রে গ্রহ সংক্রান্ত আলোচনা দেখা যায়, কিন্তু প্রজাদের গ্রহের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয়না।
- পঞ্চভূতের বিকার সংক্রান্ত তত্ত্ব সাংখ্য দর্শনে দেখা যায় কিন্তু তাদের মধ্যে ভূত প্রেতের উপদ্রব দেখা দেয় না।
- লতাগুল্মের বৃদ্ধি বনভূমিতে দেখা যায়, কিন্তু এখানকার মানুষদের মধ্যে প্লীহা রোগের প্রকোপ দেখা যায় না।
- পাহাড়ি বনাঞ্চলে গন্ডারের লাফালাফি দেখা যায়। কিন্তু প্রজাদের মধ্যে কোনো চর্মরোগ দেখা যায় না।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-৩
👉 যত্র চতুরগোপশোভিতাঃ সংগ্রামা ইব গ্রামাঃ তুঙ্গসকলভবণাঃ সর্বত্র নগা ইব নগর প্রদেশাঃ সদাচরণমন্ডনানি নুপুরানীব পুরাণি সদানভোগাঃ প্রভঞ্জনা ইব জনাঃ।
বঙ্গানুবাদঃ- যে দেশ যুদ্ধক্ষেত্র বহু অশ্ব দ্বারা শোভিত ছিল। যে দেশের নগরগুলি সর্বত্র পর্বততুণ্য উঁচু প্রাসাদে পরিপূর্ণ ছিল। যেখানে বর্ণগুলি হস্তশাবকে পূর্ণ ছিল। যে দেশে রমণীগণ সৎ আচরণ রূপ শোভিত ছিল। যেখানে রমনীগন নুপুর নামক অলংকারের দ্বারা সর্বদা অলংকৃত ছিল। জনগণও দান ও ভোগের দ্বারা সুখে জীবন কাটাত। কখনোই ঝড়ঝঞ্জার প্রকব ছিল না।
👉 প্রিয়ালপলসারানি যৌবনানীব বনানি, বিটপিহিতাশ্চেটিকা ইব বাটিকাঃ, নির্বৃতিস্থানানি সুকলত্রাণীবেক্ষুক্ষেত্রসত্রানী।
বঙ্গানুবাদঃ- এখানে পুরুষেরা প্রিয়তমাদের সঙ্গে হাস্য পরিহাস যৌবনকালে অতিবাহিত করত, আর বনগুলি প্রিয়াল ও কাঁঠাল বৃক্ষ দ্বারা সমন্বিত ছিল।গৃহে দাসীগন লম্পট ব্যক্তিদের দ্বারা বেষ্টিত ছিল। আবার গাছের দ্বারা উপকারী অনেক বাগান ছিল। এখানে সুখের আশ্রয় স্বরূপ মনময় রমনীর মতো পরম আনন্দকারী আঁখের ক্ষেতের অনেক বন ছিল।
👉 কুপিতকপিকুলাকুলিতা লঙ্গেশ্বরকিংকরা ইব ভগ্নকুম্ভকর্ণধনস্বাপাঃ কূপাঃ সতীব্রতাপদোষাঃ সূর্যদ্যুতয় ইব কুলস্ত্রিয়ঃ।
বঙ্গানুবাদঃ- ক্রুদ্ধ বানরদের অত্যাচারে পিড়ীত হয়ে কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভঙ্গকারী রাবণের অনুচরদের মতো যেখানে কূপগুলি কাণা ভাঙ্গা কলসিতে পূর্ণ ছিল এবং নিজ জলে পূর্ণ ছিল। বংশের রমনিগন পতিপ্রেম প্রভৃতি গুনের দ্বারা কলঙ্ক মুক্ত ছিল। কিন্তু সূর্য তীব্র দহন দোষে দুষ্ট ছিল।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-৪
👉অপি চ – ভবন্তি ফাল্গুনে মাসি বৃক্ষশাখা বিপল্লবাঃ।
জায়ন্তে ন তু লোকস্য কদাপি চ বিপল্লবাঃ।।
বঙ্গানুবাদঃ- এছাড়াও ফাগুন মাসে বৃক্ষগুলির পাতা ঝরে পড়ে, কিন্তু এই দেশে মানুষের কখনো বিপদ ছিল না।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ- ৫
👉 যত্র সৌরাজ্যরঞ্জিতমনসঃ সকলসমৃদ্ধিবর্ধিতমহোৎসব পরম্পরানির্ভরাঃ, সততমকুলীনং কুলীনাঃ, প্রাপ্তবিমানমপ্রাপ্তবিমানভঙ্গাঃ, কতিপয়বসুবিরাজিতমনেকবসবঃ, সমুপঅন্তি স্বর্গবাসিনং জনং জনাঃ।
বঙ্গানুবাদঃ– যেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ফলে আনন্দিত মনে সমস্ত সমৃদ্ধিতে মহোৎসবের প্রথা মেনে কাজকর্ম অনুষ্ঠিত হত। ধনশালী জনগণ পৃথিবীতে কখনোই বিলীন হয় না। যেখানে আটজন বসু বিরাজ করেন। যাদের দেবযান নামক রথ রয়েছে, এইরূপ স্বর্গবাসী দেবতাদের আর্যাবর্তের জনগণ উপহাস করেন।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-৬
👉 কথং চাসৌ স্বর্গান্ন বিশিষ্যতে? যত্র গৃহে গৃহে গৌর্যঃ স্ত্রিয়ঃ মহেশ্বরো লোকঃ,সশ্রীকা হরয়ঃ,পদে পদে ধনদাঃ সন্তি লোকপালাঃ। কেবলং ন সুরাধিপো রাজা। ন চ বিনায়কঃ কশ্চিৎ।
বঙ্গানুবাদঃ– এই আর্যাবর্ত কেন স্বর্গের থেকে শ্রেষ্ঠ হবে না।
- স্বর্গে যেখানে একমাত্র গৌরী, আর্যাবর্তের গৃহে গৃহে গৌরী অর্থাৎ শূভ্র বর্ণের রমণীগণ রয়েছে।
- স্বর্গে যেখানে একমাত্র মহেশ্বর অর্থাৎ শিব, আর্যাবর্তের ঘরে ঘরে মহেশ্বর অর্থাৎ সমৃদ্ধ লোকজন।
- স্বর্গে সেখানে লক্ষীর সাথে হরি বর্তমান, আর্যাবর্তের ঘরে ঘরে সশ্রীকা হরি অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর ঘোড়া রয়েছে।
- স্বর্গে একমাত্র ধনপতি অর্থাৎ কুবের, কিন্তু আর্যাবর্তের ঘরে ঘরে ধন দাতা লোকজন রয়েছে।
- স্বর্গের রাজা দেবরাজ ইন্দ্র সুরা পান করে, কিন্তু এখানকার রাজা কখনোই মদ্যপান করেন না।
- স্বর্গে বিনায়ক গণেশ রয়েছে কিন্তু আর্যাবর্তে রাজার কোনো বিনিয়ক অর্থাৎ বিরুদ্ধ নায়ক নেই।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ-অনুচ্ছেদ-৭
👉 কিং বহুনা-
দেশঃ পুণ্যতমোদ্দেশঃ কস্যাসৌ ন প্রিয়ো ভবেৎ।
যুক্তোঅনুক্রাশসম্পন্নৈর্যো জনৈরিব যোজনৈঃ।
বঙ্গানুবাদঃ- দয়া-মায়া প্রভৃতি গুনের দ্বারা ভূষিত, একাত্ম জনের দ্বারা পুণ্য যে দেশ, যার উত্তরে পবিত্র হিমালয় -সেই পুণ্যাত্মা দেশ আর্যাবর্ত কার না প্রিয়।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে ভাবসম্প্রসারণ গুলি
আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে প্রশ্ন ও উত্তর গুলি
- দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ – আর্যাবর্তের বর্ণনা
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ
- উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ – অনুসারে স্বর্গ ও আর্যাবর্তের তুলনা করে আর্যাবর্তের বিশিষ্টতা প্রতিপাদন
- (MCQ TEST) উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত -আর্যাবর্তবর্ণনম্
একাদশ শ্রেণী | দ্বাদশ শ্রেণী |
---|---|
Class XI Syllabus | HS Syllabus |
Class XI Question 2015 | HS Question 2015 |
Class XI Question 2016 | HS Question 2016 |
Class XI Question 2017 | HS Question 2017 |
Class XI Question 2018 | HS Question 2018 |
Class XI Question 2019 | HS Question 2019 |
2020 (NO EXAM) | 2020 (NO EXAM) |
2021 (NO EXAM) | 2021 (NO EXAM) |
Class XI Question 2022 | HS Question 2022 |