উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE ) কর্তৃক প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত (Higher Secondary Sanskrit) আর্যাবর্তবর্ণনম্ ( Higher Secondary Sanskrit Aryabartabarnanam ) এর বড় প্রশ্ন আর্যাবর্তের বর্ণনা ।
Table of Contents
দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্
আর্যাবর্তের বর্ণনা দাও।
উঃ কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট নলচম্পু কাব্যের প্রথমোচ্ছ্বাসে আর্যাবর্ত নামে আর্যদের শ্রেষ্ঠ জনপদের বর্ণনা অপূর্ব শ্লেষাত্মক, বুদ্ধিদীপ্ত ভাষায় বর্ণনা করেছেন।
মনুসংহিতায় এই দেশের ভৌগালিক অবস্থান এই ভাবে বলা হয়েছে—
“আসমুদ্ৰাৎ তু বৈ পূর্বাদাসমুদ্ৰাৎ তু পশ্চিমাৎ।
তয়োরেবান্তরং গির্যোরার্যাবর্তং বিদুর্বুধাঃ।।
মনুসংহিতা
অর্থাৎ হিমালয় থেকে দক্ষিণে এবং বিন্ধ্যাচল থেকে উত্তরে এবং যে অঞ্চলের পূর্বে ও পশ্চিমে সমুদ্র আছে সেই অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হয়।
কবির বর্ণনার মধ্য দিয়ে এই আর্যাবর্তের অসাধারণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ধরা পড়েছে। সংক্ষেপে সেগুলি এই ভাবে উপস্থাপিত করা যায়—
‘আর্যাবর্ত, একটি আশ্চর্য ভারত ভূমন্ডল, যা সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ট, স্বর্গের তুল্য অত্যন্ত মনোহর ও সমৃদ্ধ।
ধনমান শৌর্যে সে সর্বাপেক্ষা অগ্রণী, সেখানে বর্ণাশ্রমধর্মের বিকার ঘটে না, বংশলোপ হয় না, অনর্থক উৎপাত নেই, ভাগীরথী গঙ্গার সুশীতল স্পর্শে পবিত্র ও সুন্দর আর্যবাস ভূমি। পুণ্যবান জনেদের বাসভূমি সম্পদের আশ্রয়, সাধুলোকেদের শোভন ব্যবহারে, শিক্ষিত জনেদের প্রাচুর্যে স্বর্গতুল্য এই বাসভূমি।
এখানে সদা ধর্মকর্মের অনুষ্ঠান চলে, রোগব্যাধি এখানে প্রাণক্ষয় করে না, মানুষ শতবর্ষ পরিমাণ পূর্ণ আয় নিয়ে বেঁচে থাকে। এখানে বৈয়াকরণরা স্ফোটবাদতত্ত্বে নিমগ্ন, কিন্তু প্রজারা ফোঁড়াব্যাধিতে যন্ত্রনা পায় না, এখানে সংগীতবাদ্যে মুখরিত হয়, জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোচনা হয় কিন্তু গ্রহদোষ নেই। বৃক্ষ লতাগুল্ম শস্য বেড়ে চলে। পর্বতে পশুদের উল্লম্ফন, কিন্তু গন্ডরোগের কোনো চিহ্ন নেই।
নানা সুউচ্চ বৃক্ষশোভিত জন্মস্থান, উদ্যান, বাটিকা, বিটপি—সবই আছে কিন্তু বিট, চেট ইত্যাদি দুশ্চরিত্র নেই। এখানে নারীরা সতীব্রত করে—তারা নিষ্কলঙ্ক কুলবধূ। এখানে স্বর্গাপেক্ষাও বেশি সম্পদ, ইন্দ্রতুল্য রাজার শাসন—অথচ সেই সুরশ্রেষ্ঠ রাজা সুরাপান করেন না ইন্দ্রের মতে।
তাই তা স্বর্গপেক্ষাও বিশিষ্ট কবি বলেন—
“কথংচাসৌ স্বর্গান্ন বিশিষ্যতে?”
তাই বলা চলে কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট আর্যাবর্তের বর্ণনায় যে কল্পনার জাল বিস্তার করে আর্যাবর্তের অপূর্ব ছবি, সমৃদ্ধ আর্যাবর্তের বর্ণনা করেছেন তাতে আছে কল্পনা, আে আর্যাবর্তের প্রতি গভীর দেশাত্মবোধের ভাবনা।
গদ্য এবং পদ্যে রচিত কাব্যকে চম্পুকাব্য বলে।
কবি ত্রিবিক্রম ভট্ট নলচম্পু কাব্যের প্রথমোচ্ছ্বাসে আর্যাবর্তের বর্ণনা করেছেন।
হিমালয় থেকে দক্ষিণে এবং বিন্ধ্যাচল থেকে উত্তরে এবং যে অঞ্চলের পূর্বে ও পশ্চিমে সমুদ্র আছে সেই অঞ্চলকে আর্যাবর্ত বলা হয়।
কর্তৃক প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত (Higher Secondary Sanskrit) আর্যাবর্তবর্ণনম্ ( Higher Secondary Sanskrit Aryabartabarnanam ) এর বড় প্রশ্ন আর্যাবর্তের বর্ণনা ।
দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত (Higher Secondary Sanskrit) –
আর্যাবর্তবর্ণনম্
Question Paper HS Exam
উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব
দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত ভাবসম্প্রসারণ
আরো পড়ুন – আর্যাবর্তবর্ণনম্’ অনুসারে স্বর্গ ও আর্যাবর্তের তুলনা