উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত – একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক আর্যাবর্তবর্ণনম্ নলচম্পূ কাব্য শর্ট প্রশ্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক Sanskrit LONG SHORT MCQ NOTES তৈরি করা হয়েছে । উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত নলচম্পূ কাব্য এর অন্তর্গত আর্যাবর্তবর্ণনম্ নলচম্পূ কাব্য শর্ট প্রশ্ন পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক তৈরি করা হয়েছে ।
আর্যাবর্তবর্ণনম্ শর্ট প্রশ্ন (Shorts Questions)
আর্যাবর্তবর্ণনম্ ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
১। চম্পূকাব্য কাকে বলে?
- (ক) আচার্য দণ্ডীর মতে “গদ্যপদ্যময়ী কাচিৎ চম্পূরিত্যভিধীয়তে।” (কাব্যাদর্শ-১/৩১)
- (খ) সাহিত্য দর্পণ কার বিশ্বনাথ কবিরাজ মতে- “গদ্য পদ্যময় সং কাব্যং চম্পূরিত্যভিধীয়তে।” (সাহিত্যদর্পণ ৬/৩১)
২। নলচস্পূর রচয়িতার নাম কী ?
নলচম্পুর রচয়িতা হলেন ত্রিবিক্রম ভট্ট।
৩। নলচস্পূর অপর নাম কী?
নলচম্পূর অপর নাম হল দময়ন্তী কথা। আবার অনেকে নলচম্পূ হরিচরণ সরােজাঙ্ক নামেও আখ্যায়িত করেন।
৪। নলচম্পু কাব্যের উৎস কী?
নলচম্পূ কাবাের উৎস হল মহাভারতের প্রসিদ্ধ নল-দময়ন্তী উপাখ্যান।
৫। নলচম্পু কাব্যে মােট কতগুলি উচ্ছ্বাস আছে?
নলচম্পূ কাব্যে মোট সাতটি উচ্ছ্বাস আছে।
৬। নলচম্পু কাব্যের কোন উচ্ছ্বাস পাঠ্য?
নলচম্পূ কাব্যের প্রথম উচ্ছ্বাস পাঠ্য।
৭। নলচম্পু কাব্যের প্রথম উচ্ছ্বাসের নাম কী ?
নলচম্পূ কাব্যের প্রথম উচ্ছ্বাসের নাম হল আর্যবর্তবর্ণনম্ ।
৮। নলচম্পু ছাড়া ত্রিবিক্রম ভট্টের লেখা অপরদুটি সাহিত্যকৃতির নাম লেখো ।
নলচম্পূ ছাড়া ক্রিবিক্রমভট্ট এর লেখা অপর দুটি সাহিত্যকৃতি হল মদালসা চম্পূ এবং নৌমারী শিলালেখ।
৯। ত্রিবিক্রম ভট্ট অন্য কী নামে পরিচিত ?
ত্রিবিক্রমভট্ট সিংহাদিত্য’ নামেও পরিচিত।
১০। ত্রিবিক্রম ভট্টের পিতা ও পিতামহের নাম কী?
ত্রিবিক্রম ভট্টের পিতার নাম নেমাদিত্য এবং ত্রিবিক্রমভট্টের পিতামহের নাম শ্রীধর।
১১। নল ও দময়ন্তীর পরিচয় দাও?
নল হলেন—নিষধরাজ বীরসেনের পুত্র। দময়ান্ত্রী হলেন বিদর্ভরাজ ভীমের কন্যা।
১২। আর্যাবর্তবর্ণনম- নামকরণের কারণ দেখাও।
প্ৰথমত, আর্যাবর্তস্য বর্ণনম্ – এইরূপ বিগ্রহে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে সিদ্ধ আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশটির অর্থ হল- আর্যাবর্তের বর্ণনা। দ্বিতীয়ত, আর্যুন আবর্তঃ = আর্যাবর্তঃ। অস্য বর্ণনম্ = আর্যবর্তবর্ণনম্ । অর্থ হল- আর্য বা শ্রেষ্ঠ পূরুষেরা যে স্থানে বারবার আবর্তিত হন, সেই স্থান হল আর্যাবর্ত। তার বর্ণনাই হল আর্যাবর্তের বর্ণনা।
১৩। ভারতের কোন অংশ আর্যাবর্ত নামে প্রসিদ্ধ ?
উত্তর পূর্ব ও পশ্চিম সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হিমালয় ও বিন্ধ্য নামে পরিচিত। এই দুই পর্বতের মধ্যবর্তীস্থান আর্যাবর্ত-
“আসমুদ্র তু বৈ পূর্বাদাসমুদ্রাৎ তু পশ্চিমাৎ।
তয়ােরেবাস্তরং গি্যোরার্যাবর্তং বিদুর্বুধাঃ।।”
(মনুসংহিতা ২/১২)
১৫। ললামঃ- পদটির সংস্কৃত প্রতিশব্দ দাও।
সুন্দর/শিরোভূষণ।
১৯। লীলায়মানঃ- পদটির ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করাে।
লীলায়মান = লীলা + ক্যঙ্+শানচ্(পুং) প্রথমা একবচন
১৭। সমানঃ সেব্যতয়া নালােকস্য কার সাথে কার তুলনা এখানে বর্ণিত?
আর্যাবর্তের সাথে স্বর্গলােকের তুলনা এখানে বর্ণিত।
১৮। সেব্যতয়া- পদটির ব্যুৎপত্তি কী?
সেব্ + ণ্যৎ + তা। তৃতীয়া একবচন।
২০। গ্রাম্যকবিকথাবন্ধ ইব নীরসস্য মনোহর নীরসস্য পদটির অর্থ পরিস্ফুট করে।
নীরসস্য পদটি কবি দুটি অর্থে ব্যবহার করেছেন প্রথমত, নিঃ (নাস্তি) রসঃ যস্য সঃ = নীরসঃ, তস্য এরূপ বিগ্রহে বহুবীহি সমাসে পদটি সিদ্ধ। অর্থ- নীরস ব্যক্তির বা অরসিকের।
দ্বিতীয়ত, নীরং চ সস্যং চ = নীরসম্, তস্য এইপ বিগ্রহে দ্বন্দ্ব সমাসে পদটি সিপ্ধ। অর্থ জল ও শস্যে পরিপূর্ণ।
২১। গ্রাম্যকবিদের রচনা কাদের কাছে মনোজ্ঞ ?
গ্রাম কবিদের রচনা ‘নীরস বা অরসিক ব্যক্তিদের কাছে মনোজ্ঞ।
২২। মনোহর’ পদটির ব্যাকরণগত দিক পরিস্ফুট করে।
মনোহর’ = মন- হৃ+ অপ্, প্রথমা একবচন। = মনঃ হরতি যঃ সঃ (উপপদ-তৎপুরুষ-সমাস)।
২৩। ভীম ইব ভারতালংকার ভূতঃ- অর্থ পরিস্ফুট করাে।
ভীম যেমন মহাভারতের তালকার তেমনি ভারতবর্ষের অলংকারস্বরূপ হল আর্যাবর্ত নামক দেশ।।
২৪। ভারত শব্দটির অর্থ কী?
ভারত শব্দটি কবি এখানে দ্বার্থক হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রথমত, ভারত = ভারতবর্ষ (দেশ বিশেষ)। দ্বিতীয়ত, ভারত = মহাভারত (মহাকাব্য বিশেষ)।
২৫। ভারতবর্ষের অলংকার কে?
ভারতবর্ষের অলংকার হল আর্যাবর্ত
২৬। মহাভারতের অলংকার কি?
মহাভারতের অলংকার হলেন মধ্যম পাণ্ডব ভীম।
২৭। অগ্রণীঃ সর্বাবিষয়ণাম্ দ্বয়ের অর্থ পরিস্ফুট করাে।
আর্যাবর্ত নামক দেশ, সমস্ত বিষয় তথা সমস্ত দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য।
২৮. সমস্ত বিশ্বের প্রকাশযোগ্য স্থানটির নাম কী?
সমস্ত বিশ্বের প্রকাশযোেগ সথানটির নাম হল- আর্যাবর্ত |
দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্
- আর্যাবর্তবর্ণনম্ হতে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
- আর্যাবর্তবর্ণনম্ (ভাবসম্প্রসারণ): দেশঃ পুণ্যতমোদ্দেশঃ কস্যাসৌ ন প্রিয়ো ভবেৎ
- আর্যাবর্তবর্ণনম্ (ভাবসম্প্রসারণ): ভবন্তি ফাল্গুনে মাসি বৃক্ষশাখা বিপল্লবাঃ
- দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ – আর্যাবর্তের বর্ণনা
- আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ: প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ
- আর্যাবর্তবর্ণনম্: স্বর্গ ও আর্যাবর্তের তুলনা করে আর্যাবর্তের বিশিষ্টতা প্রতিপাদন
- MCQ TEST: আর্যাবর্তবর্ণনম্ – দ্বাদশ শ্রেণী
- দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত: আর্যাবর্তবর্ণনম্ (Shorts Questions)
দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ পর্ব ১
মনুসংহিতায় উল্লেখ আছে – আসমুদ্র তু বৈ পূর্বাদাসমুদ্রাৎ তু পশ্চিমাৎ। তয়ােরেবাস্তরং গি্যোরার্যাবর্তং বিদুর্বুধাঃ। অর্থাৎ পূর্ব সমুদ্র হতে পশ্চিম সমুদ্র , দক্ষিণে বিন্ধ্য পর্বত , উত্তরে হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত ভূ-ভাগকে আর্যাবর্ত বলা হয় ।
কাব্যাদর্শ গ্রন্থে উল্লেখ আছে – গদ্যপদ্যময়ী কাচিৎ চম্পূরিত্যভিধীয়তে।অর্থাৎ গদ্য ও পাদ্যময়ী কাব্যকে চম্পূকাব্য কাকে বলে।
নলচম্পুর রচয়িতা হলেন ত্রিবিক্রম ভট্ট।