আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ: প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ

আর্যাবর্তবর্ণনম্ উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত নলচম্পূ কাব্যের আর্যাবর্তবর্ণনম্ প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ- পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক তৈরি করা হয়েছে ।

উচ্চমাধ্যমিক সংস্কৃত পরীক্ষা (দ্বাদশ শ্রেণী ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত নলচম্পূ কাব্যের আর্যাবর্তবর্ণনম্ আর্যাবর্তবর্ণনম্ প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ ) প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন দেওয়া হয়েছে ।

আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ

উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ রচনাধর্মী প্রশ্ন পূর্ণমান : ৫

  • সমস্তব্যাধিব্যতিকরা: পুরুষায়ুজীবিন্যঃ – প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ বর্ণনা কর?
  • ‘সকল সংসার সুখভাজঃ প্রজাঃ -কোন্ দেশটির সম্পর্কে কোন এরূপ বলা হয়েছে তা লেখ?
  • দৃশ্যতে ন প্রজাসু– প্রজাদের মধ্যে কী কী দেখা যেতনা তা উল্লেখ কর?
  • যে সমস্ত রোগব্যাধির কথা উল্লেখ রয়েছে তা আলোচনা কর এবং প্রজাদের মধ্যে কী কারণে তা দেখা যেত না উল্লেখ কর?
  • প্রজাদের মধ্যে কী কী না থাকার কারণে তারা সুখে বাস করত?

আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ হতে প্রজাদের দীর্ঘজীবনের কারণ বর্ণনা


উত্তর : দশম শতাব্দীর প্রসিদ্ধ কবি ত্রিবিক্রমভট্ট বিরচিত ‘ নলচম্পূ ’ কাব্যের প্রথম ‘আর্যাবর্তবর্ণম্’ অংশে আর্যাবর্তে বসবাসকারী প্রজাদের পুরুষ প্রমাণ পর্যন্ত বেঁচে থাকার কারণগুলি বিষয়ে বিভিন্ন রোগব্যাধির কথা উল্লেখ করেছেন।

তবে প্রজাদের মধ্যে এই সমস্ত বোগব্যাধিগুলি দেখা যেত না। যে সমস্ত রোগব্যাধিগুলি আর্যাবর্তের প্রজাদের মধ্যে দেখা যেত না তা আলোচনা করা হল :

১) স্ফোটপ্রবাদ :

যদিও এটি ব্যাকরণের একটি শব্দ। কিন্তু আর্যাবর্তের প্রজাদের ক্ষেত্রে স্ফোটপ্রবাদ অর্থাৎ ফোড়া জাতীয় রোগ দেখা যেত না।

২) গ্রহসংক্রান্তি :

জ্যোতি: শাস্ত্রের এটি আলোচ্য বিষয় হলেও আর্যাবর্তের মানুষের মধ্যে গ্রহদোষ (রাহু, শনি, কেতু ইত্যাদি গ্রহের উপদ্রব) দেখা যায় না।

৩) ভূতবিকারবাদ :

সাংখ্য দর্শনের মতে পঞ্চমহাভূত থেকেই জগতের সৃষ্টি হলেছে। তাই এই দর্শনে ভূতবিকারবাদ থাকলেও আর্যাবর্তের প্রজাদের মধ্যে ভূত, প্রেত ইত্যাদির উপদ্রব লক্ষ্য করা যায় না।

৪) গুল্মবৃদ্ধি :

অর্যাবর্তের বনভূমিতে গুল্মের বৃদ্ধি দেখা গেলেও প্রজাদের মধ্যে গুল্ম অর্থাৎ প্লীহা জাতীয় রোগ দেখা যেত না।

৫) গণ্ডকোত্থান :

পার্বত্য বনভূমিতে গন্ডারের উপদ্রব দেখা যায়। কিন্তু আর্যাবর্তের প্রজাদের মধ্যে গন্ডকে (গালে) হওয়া বোরণ জাতীয় চর্মরোগ দেখা যায় না।

৬) উপসংহার :

উপরিউক্ত রোগ ব্যাধিগুলি আর্যাবর্তের প্রজাদের মধ্যে দেখা যায় না। তার কারণ তারা অনবরত ধর্ম ও কর্মের উপদেশ পালন করে ফলে দীর্ঘজীবী হয় এবং সংসারে সুখী হয়।

দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত আর্যাবর্তবর্ণনম্ হতে অন্যান্য পোস্ট গুলি

Comments