সিদ্ধান্তকৌমুদী: উপদেশেঅজনুনাসিক
সিদ্ধান্তকৌমুদী – উপদেশেঅজনুনাসিক
উৎস:-
আচার্য ভট্টোটিদীক্ষিত সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের পূর্বার্ধে এই পাণিনীয় সূত্রটি আলোচনা করেছেন।
বৃত্তি:-
‘উপদেশেঅনুনাসিকোঅজিৎ সংজ্ঞঃ স্যাৎ। প্রতিজ্ঞানুনাসিক্যাঃ পাণিনীয়াঃ।
সূত্রার্থ:-
উপদেশের অন্তর্গত অনুনাসিক যে অচ্ অর্থাৎ স্বরবর্ণ তার ইৎসংজ্ঞা হয়। বর্ণের অনুনাসিক্য পাণিনিশিষ্যদের প্রতিজ্ঞাত।
উপদেশেঅজনুনাসিক সূত্রব্যাখ্যা:-
মাহেশ্বর সূত্রসমূহের পাঠের শেষে বলা হয়েছিল যে, লণ্ সূত্রস্থ অ-কারেরও ইৎসংজ্ঞা হয়। কিন্তু এই অকারের ইৎসংজ্ঞা হলন্তম্ সূত্রানুসারে হতে পারে না। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন হয় যে, কোন্ সূত্রানুসারে অ- কারের ইৎসংজ্ঞা হবে? যে সূত্রের দ্বারা অচ্ অর্থাৎ স্বর বর্ণের ইৎসংজ্ঞা বিহিত হয়, সেই সূত্রটিই হল ‘উপদেশেঅজনুনাসিক ইৎ’।
‘উপদেশ আদ্যোচ্চারণম্ ‘ দীক্ষিত মতে উপ শব্দের অর্থ আদি এবং দিশ্ ধাতুর অর্থ উচ্চারণক্রিয়া। উপপূর্বক দিশ্ ধাতুর উত্তর ভাববাচ্যে ঘঙ্ প্রত্যয় করে শব্দটি নিষ্পন্ন। কিন্তু আদ্দোচ্চারণ বলত কার আদ্যোচ্চারণ বুঝব? প্রত্যাসত্তিন্যায় অনুসারে অর্থাৎ প্রসঙ্গক্রমে এই শাস্ত্রের প্রবক্তা মুনিত্রয় ও মহেশ্বরের আদ্যোচ্চারণই গৃহীত হয়ে থাকে। উপদেশ বলতে বুঝতে হবে এমন কিছু বস্তু যাদের স্বরূপ এঁরা উচ্চারণ না করা পর্যন্ত জ্ঞানের বিষয় হয়নি, এদের দ্বারা উচ্চারিত হবার পরই বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান হয়ে থাকে। সে কারণেই বলা হয় ‘অজ্ঞাত স্বস্বরূপজ্ঞাপকোচ্চারণমুপদেশঃ’। যেমন ধাতু অইউণ্, ঋ_ক্ প্রভৃতির স্বরূপজ্ঞাপক উচ্চারণ উপদেশরূপে গৃহীত হয়ে থাকে।
অজ্ঞাত স্বরূপ জ্ঞাপক যে উচ্চারণ, তাই উপদেশ পদের অর্থ। সুতরাং সম্পূর্ণ সূত্রের অর্থ হয় যে স্বরবর্ণ উপদেশের অন্তর্গত এবং যে অচ্ অনুনাসিক হবে তার ইৎসংজ্ঞা হয়। যেমন এধ-বৃদ্ধৌ ইত্যাদি স্থলে অকারটি অনুনাসিক এবং ধাতুর অন্তর্গত হওয়ায় তা উপদেশসংজ্ঞক হয়, ফলে ঐ অকারের ইৎসংজ্ঞা হবে এবং সেজন্য লোপ হওয়ায় পাওয়া যাবে এধ্ ধাতু।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে সূত্রে অনুনাসিক অচ্ এর ইৎসংজ্ঞার বিধান করা হয়েছে। কিন্তু কোন অচ্ অনুনাসিক তা জানা যাবে কি করে? কারণ সর্বত্রই নিরনুনাসিক পাঠই দৃষ্ট হয়। যেমন এধ্ এই পাঠই পাওয়া যায়, এঁধ এই পাঠ দৃষ্ট হয় না। বা প্রথমা বিভক্তির একবচনে সুবিভক্তির উ-কারটি অনুনাসিক অচ্ হওয়ায় তার ইৎসংজ্ঞা হয়। কিন্তু কোথাও সুঁ এরূপে পাঠ পাওয়া যায় না। এর উত্তরে দীক্ষিত বলেছেন, ‘প্রতিজ্ঞানুনাসিক্যাঃ পাণিনীয়াঃ ‘ অর্থাৎ পাণিনি, কাত্যায়ন, পতঞ্জলি ও মহেশ্বর প্রোক্ত বর্ণগুলি, তাঁদেরই প্রতিজ্ঞার বিষয়ীভূত আনুনাসিক্য বিশিষ্ট।
বর্তমানে ইৎসজ্ঞক অচ্ সমূহ সানুনাসিকরূপে পঠিত না হলেও আচার্যের প্রতিজ্ঞার দ্বারা ওই সানুনাসিক অচের যে অনুমান করা হয়, তার উদাহরণ প্রদর্শনার্থে দীক্ষিত বলেছেন, ‘লণ্ সূত্রাস্থাবর্ণের সহোচ্চার্যমাণো রেফো রলয়োঃ সংজ্ঞা।’ দীক্ষি র-প্রত্যাহার স্বীকার করেছেন, র-প্রত্যাহার সিদ্ধ হয় উপদেশে….সূত্রসহায়ে। লণ্ সূত্রে ল এর পরিবর্তী অ কারটি অনুনাসিকরূপে প্রতিজ্ঞাত। এই অকারের ‘উপদেশে…..’ সূত্রদ্বারা ইৎসংজ্ঞা হলে হযবরট্ সূত্রের বর্ণ রূপে ধরলে গঠিত হয় র-প্রত্যাহার(র+অ) আদিরন্ত্যেনসহেতা সূত্রানুসারে। এই র প্রত্যাহার দ্বারা রকার ও লকারের বোধ হবে। যদি ল-এর অকার সানুনাসিক না হয়, তবে তার ইৎসংজ্ঞা হতে পারত না। সুতরাং পাণিনীর উরণরপরঃ সূত্রে এই র প্রত্যাহারের প্রয়োগ দেখে অনুমান করা হয় যে এই, লণ এই সূত্রর ল এর অ-কার নিশ্চয়ই সানুনাসিক।
- দীক্ষিত ব্যাখ্যা: বিবৃতমনূদ্য সংবৃতো অনেন বিধীয়তে
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: স্থানেঅন্তরতম্
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: অনেকাল্ শিৎ সর্বস্য
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: তস্মিন্নিতি নির্দিষ্টে পূর্বস্য
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: সুপ্তিঙন্তং পদম্
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: ইকো গুণবৃদ্ধী
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: ন বেতি বিভাষা
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: ভূবাদয়ো ধাতবঃ
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: উপদেশেঅজনুনাসিক
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: নাজঝলৌ
- সিদ্ধান্তকৌমুদী: তুল্যাস্যপ্রযত্নং সবর্ণম্
- Wonderful painting Maheshwar Sutra in Sanskrit – माहेश्वर सूत्राणि