সাংখ্যকারিকা হতে গুরুত্বপূর্ণ কারিকা ব্যাখ্যা গুলি দেওয়া হল ।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-১
১) “মূলপ্রকৃতিরবিকৃতির্মহদাদ্যাঃ প্রকৃতিবিকৃতয়ঃ সপ্ত।
ষোড়শকস্তু বিকারো ন প্রকৃতি র্নবিকৃতিঃ পুরুষঃ।।”
উৎস:- সাংখ্যাচার্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য ‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থমধ্যে ইয়ম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গ:- সাংখ্যশাস্ত্রে পঞ্চবিংশতি তত্ত্বানি স্বীক্রিয়ন্তে। তানি চ অত্র পুনঃ চতসৃষু শ্রেনিষু প্রদর্শ্যন্তে।
ব্যাখ্যা:- মূলপ্রকৃতিরবিকৃতিঃ – প্রকরোতীতি প্রকৃতিঃ। প্রকৃতিঃ ন কস্যাপি বিকৃতিঃ। প্রকৃতিরেব সর্বং কার্যমুৎপাদয়তি। নাস্তি কিমপি পুনঃ প্রকৃতেঃ কারণম্, অনবস্থাদোষসম্ভবাৎ।
মহদাদ্যাঃ প্রকৃতিবিকৃতয়ঃ সপ্ত – মহৎ, অহংকারঃ, পঞ্চতন্মাত্রং চেতি সপ্ত তত্ত্বানি যথা প্রকৃতিঃ, তথৈব বিকৃতিঃ। কুতঃ? মহৎ প্রকৃতিসম্ভূতত্বাৎ বিকৃতিঃ, অহঙ্কারোৎপাদকত্বাৎ প্রকৃতিঃ। অহংকারঃ মহৎসম্ভূতত্বাৎ বিকৃতিঃ, পঞ্চতন্মাত্রোৎপাদকত্বাৎ প্রকৃতিঃ। পঞ্চতন্মাত্রং অহংকারসম্ভূতত্বাৎ বিকৃতিঃ, একাদশানামিন্দ্রিয়াণাৎ পঞ্চানাং মহাভূতানাং চ উৎপাদকত্বাৎ চ প্রকৃতিঃ।
ষোড়শকস্তু বিকারঃ – পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়াণি, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়াণি, মনশ্চেতি একাদশ ইন্দ্রিয়াণি, পঞ্চ মহাভূতানি চ সর্বদা বিকৃতিঃ কার্যম্। ইন্দ্রিয়াণি সাত্ত্বিকাৎ অহঙ্কারাৎ উৎপদ্যন্তে। পঞ্চ মহাভূতানি রাজসিকাৎ অহঙ্কারাৎ উৎপদ্যন্তে। এতানি ষোড়শ তত্ত্বানি ন কিমপি কার্যমুৎপাদয়ন্তি। অতঃ ন কস্যাপি কারণম্।
ন প্রকৃতির্ণবিকৃতি পুরুষঃ – পুরুষঃ ন কস্মাদপি উৎপদ্যন্তে, ন কিমপি উৎপাদয়তি। স সর্বদা নিত্যঃ নিষ্ক্রিয়ঃ নির্বিকারশ্চ। ন হি স কার্যং, ন পুনঃ কারণম্।
একঃ পুরুষ এব চেতনঃ আত্মা। চতুর্বিংশতি তত্ত্বানি অচেতনম্। এতেষাং ভেদসাক্ষাৎকার মুমুক্ষুণাং কৃতে অত্যাবশ্যকঃ, যতঃ অয়মেব ত্রিবিধাণাং দুঃখানাং উচ্ছেদকারণম্।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-২
২) অতিদূরাৎ সামীপ্যাদিন্দ্রিয়ঘাতান্মনোঅনবস্থানাৎ।
সৌক্ষ্যাদ্ব্যবধানাদভিভবাৎ সমানাভিহারাচ্চ।।”
অনুবাদ:- অতিদূরত্ব, অতিসামীপ্য, ইন্দ্রিয়ঘাতত্ব, মনের অন্যমনস্কতা, সৌক্ষ্মত্ব, ব্যবধানত্ব, অভিভবত্ব ও সমানাভিজারত্ব (সমান জাতিতে মিশ্রণত্ব)- এই আটটি কারনের যে কোনো একটি বর্তমান থাকলে বস্তুর যথাযথ জ্ঞান উপলব্ধ হয় না।
উৎস:- সাংখ্যাচার্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য ‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থমধ্যে ইয়ম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গ:- বস্তুনঃ অনুপলব্ধিকারণবর্ণনাপ্রসঙ্গে আচার্য্যঃ ইমাম্ কারিকাম্ উক্তবান।
ব্যাখ্যা:- সতঃ অপি বস্তুনঃ অনুপলব্ধিঃ সম্ভবতি এব, যতঃ-
i) অতিদূরাৎ- যথা বিয়তি উৎপতম্ পতত্রী অতি দূরতয়া সন্ অপি প্রত্যক্ষেন ন উপলভ্যতে। এবম্ এব গ্রহোপগ্রহণাম্ অপ্রত্যক্ষত্বম্ অপি বোধ্যম্।
ii) সামীপাৎ- অতিসামীপ্যাৎ অপি ইন্দ্রিয়াণাম্ আগ্রাহ্যত্বম্ ভবতি এব, যথা লোচনস্থম্ অঞ্জনম্ অতিসামিপ্যাৎ ন দৃশ্যতে।
iiii) ইন্দ্রিয়ঘাতাৎ- ইন্দ্রিয়বৈকল্যাৎ অপি সতঃ বস্তুনঃ গ্রহণম্ ন সম্ভবতি। যথা অন্ধত্বাৎ কক্ষস্থস্য ঘটস্য অভাবঃ বধিরত্বাৎ নিকটোচ্চার্যমানস্য শব্দস্য অপ্রত্যক্ষম্ ভবতি এব।
iv) মনোঅনবস্থানাৎ – মনসঃ অন্যত্রব্যাপৃতত্বাৎ অপি সতঃ বস্তুতঃ গ্রহণম্ ন সম্ভবতি। যথোক্তম্ বাচস্পতিমিশ্রেন- যথা কামাদ্যুপহতমনাঃ স্ফীতালোকমধ্যবর্তিনম্ ইন্দ্রিয়সন্নিকৃষ্টম্ অর্থম্ অপি ন পশ্যতি।
v) সৌক্ষ্যাৎ- যথা ইন্দ্রিয়সন্নিকৃষ্ণম্ পরমান্বাদয়ঃ ন দৃশ্যন্তে। বায়ুমণ্ডলস্থজীবানুবিষয়ে অপি তৎএব ন্যায়ম্ গৃহ্যতে।
vi) ব্যবধানাৎ – ইন্দ্রিয়ার্থয়োঃ মধ্যে ভিত্ত্যাদীনাম্ ব্যবধানাৎ জাতে সতঃ অপি বস্তুনঃ অলক্ষ্যত্বম্ মন্যতে। যথা- ভিত্তিব্যবধানাৎ কক্ষস্থিতঃ অপি জনঃ দৃষ্টিগোচরঃ ন ভবতি।
vii) অভিভবাৎ- যথা দিবসে সূর্যপ্রভাভিভূতম্ নক্ষত্রমণ্ডলম্ ন লক্ষ্যতে। ন তু অভাবাৎ।
viii) সমানাভিহারাৎ – সমানাকারে বস্তুনি সম্মেলনত্বাৎ। যথা- জলাশয়ে মেঘমুক্তজলবিন্দবঃ ন দৃশ্যন্তে।
অতঃ এভিঃ অষ্টাভিঃ কারণৈঃ সতঃ অপি বস্তুনঃ উপলব্ধিঃ ন ভবতি ইতি শিবম্।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-৩
৩) দুঃখত্রয়াভিঘাতাজ্জিজ্ঞাসা তদপঘাতকে হেতৌ।
দৃষ্টে সাহপার্থা চেন্নৈকান্তাত্যন্ততোঅভাবাৎ।।”
অনুবাদ:- দুঃখত্রয়ের অভিঘাতবশতঃ (আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক – এই ত্রিবিধদুঃখ) দুঃখের নিবৃত্তির উপায় জানবার ইচ্ছা হয়, যদিও দৃষ্ট উপায়ে দুঃখত্রয় নিবৃত্তিতে এই জিজ্ঞাসার প্রয়োজন নেই বলা যায় না, কারণ, দৃষ্ট উপায় দ্বারা অবশ্যম্ভাবী ও আত্যন্তিক দুঃখ নিবৃতি হয় না।
উৎস:- সাংখ্যাচার্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য ‘সাংখ্যকারিকা’ গ্রন্থমধ্যে ইয়ম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গ:- দুঃখত্রয়েভ্যঃ মুক্তিলাভোপায়ঃ বর্ণনাপ্রসঙ্গে আচার্য্যঃ ইমাম্ কারিকাম্ উক্তবান্।
ব্যাখ্যা:- জগতি দুঃখম্ চরম্ সত্যম্ এব ইতি মন্যতে, তদেব প্রাণীনাম্ দুঃখম্ সংখ্যাতীতম্। দুঃখম্ ত্রিবিধম্ -আধ্যাত্মিকম্, আধিদৈবিকম্, আধিভৌতিকম্ চ ইতি। দুঃখাৎ নিবৃত্তিলাভার্থম্ যে খলু লৌকিকাঃ উপায়াঃ পরিদৃশ্যন্তে তে তু ন অবশ্যম্ভাবিনঃ ঐকান্তিকী আত্যন্তিকী চ। দুঃখম্ যদি ন স্যাৎ নিত্যং বা, তর্হি তস্য নিবৃত্তেঃ উপায়াঃ ন ভবতি। কিন্তু দুঃখম্ ভবতি আনিত্যম্ চ সত্যম্ তস্য বিনাশস্য উপায়ম্ সন্তি ইতি মন্যতে। আধ্যাত্মিক দুঃখানি শরীরমনঃ জাতানি। ব্যাধিজনিতানি কষ্ঠানি শারীরকদুঃখরূপেন তথা অপমানতিরস্কারাদীনি মানসিকদুঃখরূপেন পরিগণ্যন্তে। সর্পাদিভ্যঃ দস্যুতস্করাদিভ্যঃ চ সমুভূতানি দুঃখানি আধিভৌতিকদুঃখরূপেন গণ্যন্তে। দেবানাম্ অভিসম্পাদবশাৎ প্রাকৃতিকবিপর্যয়বশাৎ চ যানি দুঃখানি জায়ন্তে তানি সর্বানি আধিদৈবিকদুঃখতয়া গণ্যন্তে। জীবানাম্ সর্বাণি এব দুঃখানি তেষু ত্রিবিধেষু এব অন্তর্ভুক্তানি ভবন্তি। ব্যক্তাব্যক্তয়োঃ জ্ঞস্য চ সম্যক্ জ্ঞানেন আত্যন্তিকী দুঃখনিবৃত্তিঃ সম্ভবতি- ইতি শাস্ত্রস্য সিদ্ধান্তঃ।
সুতরাং, শাস্ত্রোক্তদুঃখস্য সমুষ্দেদস্য জিজ্ঞাসা যথোপযুক্তা ইতি সত্যম্।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-৪
৪) দৃষ্টবদানুশ্রবিকঃ স হাবিশুদ্ধি ক্ষয়াতিশয়যুক্তঃ।
তদ্বিপরীতঃ শ্রেয়ান্ ব্যক্তাব্যক্তজ্ঞবিজ্ঞানাৎ।।”
অনুবাদ:- বৈদিক যাগযজ্ঞাদি, দুষ্ট উপায়ে সদৃশ দুঃখের অবশ্যম্ভাবী ও আত্যন্তিক নিবৃত্তি করিতে পারে না। যেহেতু ইহা পাপাদিদোষযুক্ত, পুণ্যক্ষয় ও তারতম্যাদি দোষযুক্ত। ইহার বিপরীত উৎকৃষ্টতর ব্যক্ত, অব্যক্ত ও জ্ঞ অর্থাৎ যিনি জানেন, সেই পুরুষের জ্ঞান হইতে একান্ত ও অত্যন্ত দুঃখনিবৃত্তি হয়।
উৎসঃ:- সাংখ্যাচার্য্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য সাংখ্যকারিকা ইতি গ্রন্থমধ্যে ইমম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গঃ :- দুঃখত্রয়েভ্যঃ মুক্তিলাভোপায়ঃ বর্ণনাপ্রসঙ্গে আচার্য্যঃ ইমাম্ কারিকাম্ উক্তবান্।
ব্যাখ্যা:- দুঃখাৎ মুক্তিলাভায় দ্বৌ উপায়ৌ সন্তি ইতি ঐকান্তিকঃ আত্যন্তিকঃ চ। দুঃখস্য অবশ্যতয়া বিনাশঃ ঐকান্তিকঃ ইতি কথ্যতে। পরন্তু বিনাশাৎ পরম্ দুঃখস্য পুনঃ আগমনস্য অভাবঃ আত্যন্তিকঃ ইতি অভিধায়তে। দৃষ্টোপায়ৈঃ দুঃখস্য বিনাশঃ কথম্ অপি ন সম্ভবঃ। অপি চ দৃষ্টস্য অদৃষ্টোপায়েন আনুধশ্রবিকেন বা কথম্ দুঃখস্য বিনাশঃ ন সম্ভবঃ ইতি সর্বজনস্য সিদ্ধান্তঃ। যাসাদিরূপম্ উপায়ঃ আনুশ্রবিকঃ শ্রুতিঃ বা। শ্রুত্যাম্ উক্তম্- স্বর্গকামো যজেত। পরন্তু কিম্ অপি যজ্ঞকর্ম মুহুর্তসাধ্যম্ কিম্ অপি অহোরাত্রসাধ্যম্ কিম্ অপি বা সংবৎসরসাধ্যম্। এতস্মাৎ কারনাৎ ঈদৃশম্ যজ্ঞকর্ম আত্মজ্ঞানম্ উৎপাদয়িতুম্ ন শক্নোতি। পরন্তু কেবলম্ আত্মজ্ঞানম্ ইতি দুঃখস্য চিরবিনাশম্ কর্তুম্ শক্নোতি ইতি ন অস্তি সংশয়ঃ। কিঞ্চ ক্ষীণে পুণ্যে মর্ত্যলোকং ইতি শাস্ত্রবচনেন মুক্তিলাভরূপস্য পুণ্যস্য বিনাশঃ অবশ্যম্ভাবী ইতি সত্যম্ এব। অতএব, দৃষ্টবদানুশ্রবিকোপায়ৈঃ দুঃখস্য অবশ্যম্ভাবী বিনাশঃ ন সম্ভবঃ। অতএব, ব্যক্তাব্যক্তজ্ঞানাম্ বিবেকজ্ঞানেন দুঃখাৎ মুক্তিলাভঃ অর্হতি কেবলম্ ইতি শিবম্।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-৫
৫) প্রতিবিষয়াধ্যবসায়ো দৃষ্টং ত্রিবিধমনুমানমাখ্যাতম্।
তল্লিঙ্গলিঙ্গিপূর্বকম্ আপ্তশ্রুতিরাপ্তবচনন্তু।।”
অনুবাদ :- প্রতিবিষয়ে যে অধ্যবসায় তা দৃষ্ট প্রমাণ। অনুমান ত্রিবিধ কথিত, তা লিঙ্গলিঙ্গীপূর্বক (যেমন- ধূম দ্বারা অগ্নি জানা যায় বা ধূম অগ্নিকে জানিয়ে দেয় – তাই ধূম হল লিঙ্গ বা ব্যাপ্য এবং যা জানা যায় তা লিঙ্গী বা ব্যাপক যেমন অগ্নি লিঙ্গী বা ব্যাপক। তাই বলা হয়েছে অনুমান লিঙ্গলিঙ্গীপূর্বক। কিন্তু আপ্তশ্রুতি আপ্তবচন নামক প্রমাণ।
উৎসঃ:- সাংখ্যাচার্য্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য সাংখ্যকারিকা ইতি গ্রন্থমধ্যে ইয়ম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গঃ:- প্রমাণানাম্ সংজ্ঞানির্নয়প্রসঙ্গে আচার্য্যঃ ইমাম্ কারিকাম্ উক্তবান্।
ব্যাখ্যা:- প্রতিবিষয়াধ্যবসায়ো দৃষ্টম্- ইতি অনুসারেন বিষয়ম্ প্রতি ইন্দ্রিয়াণাম্ যদধ্যবসায়ঃ সন্নিকর্ষঃ তদাত্মকম্ চ জ্ঞানম্ অথবা তজ্জম্যম্ প্রমাণম্ দৃষ্টম্ ইতি অভিপ্রায়ঃ। সাংখ্যতত্ত্বকৌমুদীকারঃ বাচস্পতিমিশ্রঃ লিখতি। বিষয়ম্ বিষয়ম্ প্রতি বর্ত্ততে, ইতি প্রতিবিষয়ম্ ইন্দ্রিয়ম্। বৃত্তিঃ চ সন্নিকর্ষঃ। অর্থসন্নিকৃষ্টম্ ইন্দ্রিয়ম্ ইতি অর্থঃ। তস্মিন্ অধ্যবসায়ঃ প্রতিবিষয়াধ্যবসায়ঃ ইতি অর্থঃ।
ত্রিবিধমনুমানমাখ্যাতম্ তল্লিঙ্গলিঙ্গিপূর্বকম্ – লিঙ্গলিঙ্গিপূর্বকম্ জ্ঞানম্ অনুমানম্। অর্থাৎ যৎ তু ধূমরূপেন লিঙ্গেন বহ্নিরূপলিঙ্গিগ্রহণম্ তৎ অনুমানম্। অনুমানম্ তু পূর্ববৎ, শেষবৎ, সামান্যতোদৃষ্টভেদাৎ ত্রিবিধ।
আপ্তশ্রুতিরাপ্তবচনন্তু – আপ্তজনপ্রোক্তম্ সচ্ছাস্ত্রবচনম্ বা শব্দপ্রমাণম্ আপ্তবচনপ্রমাণম্ ইতি উচ্যতে। অত্র শ্রুতিঃ বেদঃ ইতি শব্দাৎ বেদমূলকানি পুরাণাদিবাক্যানি তথা চ বেদতত্ত্বজ্ঞানাম্ আচার্যানাম্ বচাংসি অপি গৃহীতব্যানি। বেদানাম্ স্বতোপ্রমাণ্যাৎ ন অত্র কিঞ্চিৎ শংকা কর্তব্যা ইতি শিবম্।
সাংখ্যকারিকা হতে কারিকা ব্যাখ্যা-৬
৬) অসদকরণাদুপাদানগ্রহণাৎ সর্বসম্ভবাভাৎ।
শক্তস্য শক্যকরণাৎ কারণভাবাচ্চ সৎকার্য্যম্।।
অনুবাদ:- যা নেই তাকে উৎপন্ন করা যায়না, যেহেতু কোনো কিছু করতে হলে তার উপাদান গ্রহন করতে হয়। একই উপাদান থেকে সর্ববিধ বস্তুর উৎপত্তি সম্ভবপর হয় না। শক্তিযুক্ত বা সামর্থ্যযুক্ত কারন থেকেই শক্য করণ উৎপন্ন হয় এবং কারণ ও কার্য স্বরূপতঃ অভিন্ন।
উৎসঃ :- সাংখ্যাচার্য্যস্য ঈশ্বরকৃষ্ণস্য বিরচিতস্য সাংখ্যকারিকা ইতি গ্রন্থমধ্যে ইয়ম্ কারিকা বিদ্যতে।
প্রসঙ্গঃ :- সৎকার্যবাদম্ প্রতিপাদনার্থম্ আচার্য্যঃ ঈশ্বরকৃষ্ণঃ ইমাম্ কারিকাম্ উক্তবান্।
ব্যাখ্যা:- দর্শনশাস্ত্রে মুখ্যবিচার্যবিষয়েসু কার্যকারণভাবঃ খলু অন্যতমঃ। সাংখ্যমতে, তু সতঃ সজ্জায়তে ইতি সিদ্ধান্তঃ। উৎপত্তেঃ প্রাগপি কার্যম্ সূক্ষ্মরূপেন কারনে বিদ্যতে এব। শ্রীমদীশ্বরকৃষ্ণস্য অনয়া কারিকয়া তথ্যম্। ইদম্ সুস্পষ্টম্ অস্তি। অসৎকরণাৎ -ইতি অসৎ চেৎ কারনব্যাপারাৎ পূর্বম্ তর্হি তস্মাৎ কারণাৎ কেন অপি কিম্ অপি ন উৎপন্নম্ ভবতি। উপাদানগ্রহণাৎ -ইতি সিদ্ধম্ যৎ উপাদানৈঃ কারনবিশেষৈঃ এবম্ বিশিষ্টানাম্ কার্যানাম্ আবির্ভাবঃ। উপাদানকারনাভাবে কার্যোৎপত্তিঃ ন সম্ভবতি। সর্বসম্ভবাভাবাৎ অর্থাৎ ন হি সর্বেভ্যঃ কারণেভ্যঃ সর্বম্ কার্যম্ উৎপদ্যতে প্রত্যক্ষবিরোধাৎ। মৃৎপিণ্ডঃ ঘটস্য এব কারণম্ ন তু পঠস্য। কারণভাবাচ্চ অর্থাৎ কার্যম্ কারণরূপম্ এব ভবতি। কার্যকারণাৎ একম্ ভবতি ইতি অভিপ্রায়ঃ। ন হি কারণাৎ ভিন্নম্ কার্যম্। শক্তস্য শক্যকরণাৎ অর্থাৎ যৎ কারণম্ যৎ কার্যস্য উৎপত্তৌ সমর্থঃ ভবেৎ, তৎ কারণম্ তস্য এব জনকঃ ইতি স্বীকার্যম্। যথা- মৃত্তিকায়াঃ সুবর্ণম্ কদাপি ন জায়তে ইতি। অতঃ অনেন সাংখ্যসম্মতম্ সৎকার্যবাদঃ সুদৃঢ়ম্ প্রতিষ্ঠিতঃ ভবতি ইতি শিবম্।
সাংখ্যকারিকা হতে অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর
- তার্কিক সম্মত অসৎকার্যবাদ খন্ডন করে সৎকার্যবাদ সাংখ্যকারিকা অনুসারে ব্যাখ্যা
- গুণের লক্ষণ স্বরূপ, প্রয়োজন ও কার্যসমূহ
- সাংখ্য দর্শন অনুসারে প্রমাণসমূহ সবিস্তারে আলোচনা
- সাংখ্য দর্শনের স্রষ্ঠা কে? সাংখ্য শাস্ত্রীয় পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব সমূহের প্রকারভেদ
- ব্যক্ত ও অব্যক্তের সাধর্ম্য ও বৈধর্ম্য সাংখ্য রীতিতে ব্যাখ্যা
- প্রত্যক্ষ প্রমাণ কি? প্রত্যক্ষের বাধক গুলি কি কি?
- পুরুষের বহুত্বসাধক প্রমাণসমূহ ঈশ্বর কৃষ্ণের মতানুসারে আলোচনা