মাঘের শিশুপালবধ মহাকাব্যের পরিচয় সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হল ।
মাঘের শিশুপালবধ
- শিশুপালবধম্: শ্লোক সংস্কৃত ব্যাখ্যা
- শিশুপালবধম্: বঙ্গানুবাদ
- মাঘে সন্তি ত্রয়ো গুনাঃ – ব্যাখ্যা কর
- শিশুপালবধম্ মহাকাব্য: উদ্ধবের চরিত্র বিশ্লেষণ
- শিশুপালবধম্ মহাকাব্য: উদ্ধবের উক্তি সংক্ষেপে বর্ণনা
- মাঘে সন্তি ত্রয়োগুণাঃ- এই উক্তিটি আলোচনা কর
- মাঘে সন্তি ত্রয়ো গুণাঃ – উক্তিটির যথার্থতা
“মেঘে মাঘে গতং বয়ঃ।-মল্লিনাথ।
সময় ও কবিপরিচিতিঃ-
বর্মোলাটের পৌত্র দত্তকের পুত্র মাঘ সপ্তম শতকের কবি ছিলেন। কিংবদন্তী অনুসারে প্রথম জীবনে অতি দরিদ্র ছিলেন মাঘ। জীবোৎকালে তিনি শিশুপালবধের জনপ্রিয়তা দেখে যেতে পারেননি।
সর্গঃ-
কুড়িটি সর্গে, ১৬২৫ টি শ্লোকে শিশুপালবধের কাহিনী এই উৎস। তবে অসংখ্য উপকাহিনী মাঘের কল্পিত।
সর্গঃ-
- ১. কৃষ্ণ নারদকে শিশুপালবধে সম্মতি জানালেন।
- ২. কৃষ্ণ,বলরাম ও উদ্ধবের আলোচনা।
- ৩. কৃষ্ণের হরিপ্রস্থ যাত্রা।
- ৯. সন্ধ্যা বর্ণনা।
- ১৪. রাজসূয় যজ্ঞ বর্ণনা।
- ১৫. শিশুপালের ক্ষোভ।
- ১৬. শিশুপাল কৃষ্ণকে যুদ্ধের আহ্বান জানালেন।
- ১৮) যুদ্ধ
- ২০) কৃষ্ণের সুদর্শন চক্রে শিশুপালবধ।
উৎস ও বিষয়বস্তুঃ-
মহাভারতের সভাপর্বের অন্তর্গত কৃষ্ণ কর্তৃক শিশুপালবধের কাহিনী এই উৎস। তবে অসংখ্য উপকাহিনী মাঘের কল্পিত।
উৎকর্ষঃ-
কালিদাসের উপমা, ভারবির অর্থগৌরব এবং দণ্ডীর পদলালিত্য মাঘের লেখনীতে সমবেত ছিল। বহুশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য মাঘের অসামান্য বৈশিষ্ট্য।
“উপমা কালিদাসস্য ভারবেরর্থগৌরবম্।
নৈষধে পদলালিত্যং মাঘে সন্তি ত্রয়ো গুনাঃ।।’
ঊনবিংশ সর্গে শব্দের মাদুকর মাঘ কখনো একটি বর্ণে, কখনো দুটি বর্ণে শ্লোক রচনা করেছেন।
তবে ভাষার এই ইন্দ্রজাল কখনো কাব্য রসাস্বাদের অন্তরায় হয়েছে।
keith লিখেছেন-
“The worst of his sins is his deplorable exhibition in XIX of his power of twisting language.”