সিদ্ধান্তকৌমুদী: ইকো গুণবৃদ্ধী

সিদ্ধান্তকৌমুদী: ইকো গুণবৃদ্ধী

সিদ্ধান্তকৌমুদী – ইকো গুণবৃদ্ধী


উৎস:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের পূর্বার্ধে এই পাণিনীয় সূত্রটির আলোচনা করেছেন।

বৃত্তি:- গুণবৃদ্ধিশব্দাভ‍্যাং যত্র গুণবৃদ্ধী বিধীয়েতে তত্র ইক ইতি ষষ্ঠ‍্যন্ত‍ং পদম্ উপতিষ্ঠতে।

সূত্রার্থ:- যে স্থলে গুন অথবা বৃদ্ধি শব্দের দ্বারা গুন অথবা বৃদ্ধির বিধান করা হয়, সেস্থলে ইকঃ এই ষষ্ঠ‍্যন্ত পদের উপস্থিতি হয়ে থাকে।

সিদ্ধান্তকৌমুদী: ইকো গুণবৃদ্ধী ব‍্যাখ‍্যা:-

বৃদ্ধিরাদৈচ্ ও অদেঙ্ গুণঃ – এই পূর্ববর্তী দুটি সূত্র থেকে বৃদ্ধি ও গুণ পদের অনুবৃত্তি করা হয়েছে। সূত্রস্থ সংজ্ঞী অকার, একার, ওকার এবং বৃদ্ধি পদের সংজ্ঞী হল আকার, ঐকার ও ওকার। গুন অথবা বৃদ্ধি শব্দ উচ্চারণ করে যেখানে গুন ও বৃদ্ধি বিধান করা হয়, সেসব ক্ষেত্রে সম্বন্ধেই পরিভাষাটি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।

      যেস্থলে সাক্ষাৎভাবে স্থানী নির্দেশ করা হয়নি, সেই স্থলেই এই পরিভাষাটির প্রবৃত্তি হয়ে থাকে। ‘সার্বধাতুকার্ধধাতুকয়োঃ’, ‘সিদ্ধিবৃদ্ধিঃ পরস্মৈপদেষু’ ইত‍্যাদি গুন ও বৃদ্ধি বিধায়ক সূত্রে সাক্ষাৎরূপে কোনো স্থানীর উল্লেখ করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এই পরিভাষা অনুসারে ইকঃ এই ষষ্ঠ‍্যন্ত পদ উপস্থিত হয়ে থাকে। কিন্তু অচো ঞিণতি, ওর্গুনঃ ইত‍্যাদিস্থলে বৃদ্ধি ও গুনের স্থানীর উল্লেখ আছে। অচো ঞিণতি – সূত্রে অচঃ এবং ওর্গুণঃ  সূত্রে ওঃ যথাক্রমে বৃদ্ধি ও গুনের স্থানী। বৃদ্ধি ও গুন কার হবে? এরূপ স্থানীর আকাক্ষা হলে উপাত্ত যে ষষ্ঠ‍্যন্তপদ অচঃ এবং ওঃ ইত‍্যাদি তারাই স্থানীরূপে আদেশের সঙ্গে অন্বিত হয়ে থাকে। সেজন‍্য এসব ক্ষেত্রে ইকঃ এই ষষ্ঠ‍্যন্ত পদের স্থানীরূপে অন্বিত হওয়ায় কোনো প্রয়োজনই থাকেনা।

Comments