উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত দ্বাদশ শ্রেণীর কর্মযোগ ব্যাখ্যা

দ্বাদশ শ্রেণীর কর্মযোগ গীতা ব্যাখ্যা ( sanskrit long notes ) উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃতসংস্কৃত প্রশ্ন উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত প্রশ্ন ( sanskrit long notes ) ন হি কশ্চিৎ……….-প্ৰকৃতজৈগুনৈঃ তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। দ্বাদশ শ্রেণীর কর্মযোগ গীতা তৃতীয় অধ্যায় থেকে প্রস্তুতিমূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হয়েছে ।

উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত

 উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর কর্মযোগঃ শ্লোক ব্যাখ্যা 

কর্মযোগঃ শ্লোক

১) ন হি কশ্চিৎ……….-প্ৰকৃতজৈগুনৈঃ”

কর্মযোগ গীতা ব্যাখ্যা


কর্মযোগঃ শ্লোক ব্যাখ্যা উত্তর:-

ভূমিকা –

মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের ২৫-৪২ অধ্যায় গীতা নামে পরিচিত ।গীতাতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুণকে উজ্জিবীত করার জন্য কর্মযােগের ব্যাখ্যা করেন।এই প্রসঙ্গে অবতারনা -মানুষ ক্ষনকাল ও কর্মহীন থাকতে পারে না, প্রকৃতিজাত গুনের প্রভাবে কর্ম করতে বাধ্য হয়।


কর্মযোগ ব্যাখ্যা

সাংখ্য দার্শনিক গণ বলেছেন কর্মত্যাগই হল মােক্ষ লাভের পথ, কিন্তু গীতায় বলা হয়েছে কর্মত্যাগ করা সম্ভব নয় ।দেহধারী মানুষ এক মুহুর্তের জন্য কর্ম না করে থাকতে পারবে না। প্রকৃতি তাকে কর্ম করতে বাধ্য করবে । বেঁচে থাকার জন্য জীবকে কর্ম করতেই হবে , নতুবা শরীরযাত্রা নির্বাহ হবে না। সুতরাং কর্মের হাত থেকে পরিত্রান নেই, কারণ দেহকে স্থির বা কর্মহীন করলেও মনের ক্রিয়া চলবেই । গীতার মতে বিশ্বজুড়ে বিরাট কর্মলীলা চলছে, কর্মের বিরাম নেই । তাই কর্ম থেকে বিরত হলে মুক্তি লাভ হতে পারে না। আবার আসক্তির বশে কর্ম করলেও মুক্তি লাভ হতে পারে না। সুতরাং আসক্তিহীন কর্ম দ্বারাই মুক্তি লাভ সম্ভব।


উপসংহার :-

মানুষ যেহেতু ক্ষনকাল ও কর্মহীন থাকতে পারে না, প্রকৃতিজাত গুনের প্রভাবে কর্ম করতে বাধ্য হয় ,তাই কর্ম করা ভালাে


ঈশােপনিষদে বলা হয়েছে-“কুর্বন্নেবেহ কর্মানি জিজীবিষেচ্ছেতং সমাঃ অর্থাৎ এই সংসারে কর্ম করে শত বৎসর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করবে।

আরো অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর গুলি —

উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণী সংস্কৃত কর্মযোগ প্রশ্নগুলি

Comments