সাহিত্যদর্পণ গ্রন্থের দশম পরিচ্ছেদ অনুসারে রূপক অলংকার কাকে বলে? সে সম্পর্কে সহজভাবে আলোচনা করা হল । রূপক অলংকারের লক্ষণ তাৎপর্য উদাহরণ সহ বাখ্যা করা হল।
রূপক অলংকার
- অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
রূপক অলংকার কাকে বলে বা লক্ষণ
আচার্য বিশ্বনাথ কবিরাজ তার সাহিত্যদর্পণ গ্রন্থের দশম পরিচ্ছেদে এর লক্ষণ প্রসঙ্গে বলেছেন-
“রূপকং রূপিতরোপ: বিষয়ে নিরপহ্নবে”
– অর্থাৎ অপহ্নব বর্জিত অর্থাৎ উপমেয়কে নিষেধ না করে যদি উপমানের উপর উপমেয়ের অভেদ আরোপ করা হয়, তার ফলে যে অলংকার হয়,তাকে রূপক অলংকার বলে।
রূপক অলংকারের বাখ্যা
কারিকায় “রূপিত” পদের দ্বারা “পরিণাম” অলংকার থেকে রূপককে পৃথক করা হয়েছে এবং “নিরপহ্নবে” শব্দের দ্বারা “অপহ্নতি” অলংকার থেকে পৃথক করা হয়েছে।
রূপক অলংকারের উদাহরণ
“আহবে জগদুদ্দন্ড! রাজমন্ডলরাহবে।
রূপক অলংকারের উদাহরণ
শ্রীনৃসিংহমহীপাল! স্বস্ত্যস্তু তব বাহবে।।”
শ্লোকার্থ:-
হে দুষ্টদের দন্ডদানকারী শ্রীনৃসিংহ মহীপাল ! যুদ্ধে বিপক্ষ রাজাদের চন্দ্রস্বরূপ ধ্বংসের কারন হেতু রাহুর ন্যায় আপনার দুই বাহুর জয় হোক।
রূপক অলংকারের তাৎপর্য
অর্থাৎ, এখানে চন্দ্রের সঙ্গে বিপক্ষ রাজাদের এবং রাহুর সঙ্গে রাজা শ্রীনৃসিংহ মহীপালের দুই বাহুর তুলনা করা হয়েছে।সেই হেতু উপমানের উপর উপমেয়ের অভেদ আরোপ করা হয়েছে। তাই রূপক অলংকারের সংজ্ঞাকে যথাযথভাবে মেনে চলাই উক্ত উদাহরণটি এই অলংকারের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়েছে।
রূপক অলংকার সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য (FAQ)
উপমেয়কে নিষেধ না করে যদি উপমানের উপর উপমেয়ের অভেদ আরোপ করা হয়, তার ফলে যে অলংকার হয়,তাকে রূপক অলংকার বলে।
রূপকং রূপিতরোপ: বিষয়ে নিরপহ্নবে
কতকগুলি অলংকার সম্পর্কে আলোচনা করা হল –
- উপমা ও প্রতিবস্তুপমা অলংকারের পার্থক্য
- বিভাবনা ও বিশেষোক্তি আলঙ্কারের পার্থক্য
- দৃষ্টান্ত ও প্রতিবস্তুপমা অলঙ্কারের পার্থক্য
- উৎপ্রেক্ষা ও অতিশয়োক্তি অলংকারের মধ্যে পার্থক্য
- দীপক অলংকার সম্পর্কে সহজভাবে আলোচনা
- অর্থান্তরন্যাস অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- সমাসোক্তি অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- উৎপ্রেক্ষা অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- পরিণাম অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- দৃষ্টান্ত অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- শ্লেষ অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- উপমা অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- রূপক অলংকার কাকে বলে
- তুল্যযোগিতা অলংকার সম্পর্কে আলোচনা
- নিদর্শনা অলংকার সম্পর্কে আলোচনা কর
- অলংকার কাকে বলে ? অলংকার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা