তৃতীয়া তৎ কৃতার্থেন গুণবচনেন:- তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বিধায়ক সূত্র
তৃতীয়া তৎ কৃতার্থেন গুণবচনেন-তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বিধায়ক সূত্র
আলোচ্য পাণিনীয় সূত্রটি আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের সমাস প্রকরণে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বিধায়ক সূত্র এটি।
তৃতীয়ান্ত পদের সহিত গুণবাচক শব্দের সমাস হয়। যদি সেই গুণটি তৃতীয়া বিভক্তি দ্বারা সূচিত পদার্থ হতে জাত হয়। অর্থাৎ গুণবিশিষ্ট শব্দের গুণের উৎপাদক হেতু যেখানে তৃতীয়ান্ত পদ, সেখানেই গুণবাচক শব্দের সহিত তৃতীয়ান্ত পদের সমাস হয়।
যথা- শংকুলয়া খণ্ডঃ – শংকুলাখণ্ডঃ।
এখানে খণ্ডত্বগুণ, তৃতীয়া বিভক্তির দ্বারা সূচিত শংকুলা নামক পদার্থ হইতে জাত। তৃতীয়ান্ত পদের সহিত অর্থ শব্দেরও সমাস হয়।
যথা- ধাণ্যেন অর্থঃ = ধ্যাণার্থঃ।
গুণবাচক দ্রব্যের গুণ তৎকৃত না হইলে সমাস হয় না।
যথা- অক্ষ্ণা কানঃ।
এখানে কানত্ব অক্ষি জনিত নয়। অতএব, সমাস হয় না। সমাসে গুণবচনের গুণের সহিত তৃতীয়ান্ত পদের কার্যকারণ সম্পর্ক হওয়া চাই। অর্থ শব্দের সহিত তৎকৃত শব্দের কোনো সম্পর্ক নাই। অতএব, অর্থ শব্দের সহিত সমাসে কার্যকারণ সম্পর্ক বিবেচ্য নয়।
সূত্রের গুণবচনেন পদের দ্বারা গুণবাচক শব্দের সহিতই সমাস হয়। গোভিঃ বপাবান্ – এই উদাহরণে গো সংবন্ধি জাতি প্রভৃতির ভোজনের দ্বারা দেবদত্ত্বের বপাবত্ত্ব আছে। ইহা তৎকৃতত্ব, কিন্তু গুণবচন নয়। অতএব, সমাস হয় না।