ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টীর পরিচয় -সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব

উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব হতে ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টীর পরিচয়, ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টীর দুটি প্রধান ভাষা গােষ্ঠী কি কি? তাদের উদাহরন সহ পরিচয় দাও?

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টীর পরিচয়

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী র দুটি প্রধান ভাষা গােষ্ঠী কি কি? তাদের উদাহরন সহ পরিচয় দাও? দশটি উপশ্রেণীর নাম লিখ? কেন্তুম্ ও শতম্ শ্রেণী বলতে কি বােঝ? উদাহরন সহ পরিচয় দাও।২০১৫

উত্তর:-

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী :

এটি একটি কাল্পনিক এবং অনুমিত ভাষা। বিভিন্ন ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও রূপতত্ত্ব বিশ্লেষণ করে পন্ডিতগণ এই ভাষার অস্তিত্ব কল্পনা করেছেন।

শ্রেণি/বিভাগ:

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী কে ভাষাতত্ত্বের বিচারে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা হয়।

যথা ১) কেন্তুম্ ২) শতম্।

উপশ্রেণী:

মূল ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্ঠী কে ১০ টি উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়।

এর মধ্যে কেন্তুম্ গুচ্ছের ৬ টি উপশ্রেণী

যথা – ক) গ্রিক খ) ইতালিক গ) কেলটিক ঘ) জার্মানিক বা টিউনিক ঙ) হিট্টাহিট ও চ) তুখারীয়। ‘

শতম্ ভাষাগােষ্ঠীকে ৪ টি উপশ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়।

যথা- ক) ইন্দো-ইরানীয় খ)বালটোশ্লাভিক গ) আলবেনীয় ঘ)আর্মেনীয় ।

এক সময় মনে করা হত কেন্তুম্, শ্রেণীর ভাষা ইউরােপ অঞ্চলে প্রচলিত ছিল এবং শতম্ শ্রেণীর ভাষা এশিয়া অঞ্চলে প্রচলিত ছিল।

কিন্তু এশিয়াতে কেন্তুম্ গুচ্ছের তুখারীয় ও হিট্টায়িট ভাষার আবিষ্কারের পর এই মতের পরিবর্তন হয়।

মূল ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী র কন্ঠ-তালব্য ধনির ওপর ভিত্তির করে ১৮৭০ খ্রী এসকলি কেন্তুম্ ও শতম্ নামে ২টি বিভাগ করেন।

যে ভাষাগােষ্ঠীতে কণ্ঠতালব্য ধ্বনিগুলি পশ্চাৎ কণ্ঠ ধুনিগুলির সাথে একীভূত হয়ে গেছে তারা কেন্তুম্ শাখায় আগত। এই কেন্তুম্ নামকরণটি লাতিন ভাষা অনুসারে করা হয়েছে।

এই ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী র উপশ্রেণী ৬টি ।যেমন-কেলটিক,গ্রিক প্রভৃতি।

I.Eগ্রীককেলটিকজার্মানিকইটালিক
kmtomHe-katomcetkhundCentum

যে ভাষা গােষ্ঠীতে কণ্ঠ-‘তাবা বর্ণ শিস ধ্বনিতে (শিস) অথবা উষ্ণ বর্ণে পরিণত হয় সেগুলি শতম্ গােষ্ঠী নামে পরিচিত।

এই ভাষাগােষ্ঠীর ৪টি উপশ্রেণীর ভাষা বর্তমান।

যেমন – ইন্দো-ইরানীয়, আর্মেনিক প্রভৃতি এই ভাষ়াগােষ্ঠী হতে বর্তমানে ভারতের বেশিরভাগ ভাষার সৃষ্টি হয়েছে।

I.Eইন্দো-ইরানীয় আবেস্তাইন্দো-ইরানীয় সংস্কৃতবালতোশ্লাভিক
kmtomSantomsatamSta
ভাষাতত্ত্ব কি ?

ভাষাতত্ত্ব বলতে প্রাচীন রচনাবলি ও তাদের ভাষা নিয়ে গবেষণা বোঝায়।

ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষাগােষ্টী কে ভাষাতত্ত্বের কয় ভাগে করা হয়?

দুই ভাগে – যথা ১) কেন্তুম্ ২) শতম্। কেন্তুম্ ও সতম্ সম্বন্ধে জানতে দেখুন –কেন্তুম্ ও সতম্ সম্বন্ধে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ-মডার্ন সংস্কৃত

আরো পড়ুন – উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত ভাষাতত্ত্ব

Comments