উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE ) কর্তৃক প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত (উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত) বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশ এর বড় প্রশ্ন বাসন্তিকস্বপ্নম্-এর প্রথম তিনটি শ্লোকের ভাবার্থ নিজের ভাষায় লেখো।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাটকের প্রথম তিনটি শ্লোকের ভাবার্থ নিজের ভাষায় লেখো
ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপীয়ার রচিত ‘এ মিসামার নাইট্স ড্রিম’ নাটকটি কৃষ্ণমাচার্য সংস্কৃতে অনুবাদ করে নামকরণ করেন বাসন্তিকস্বপ্নম্ ।
নাট্যংশের প্রথমাঙ্কে প্রথম তিনটি শ্লোকের বক্তা রাজা ইন্দ্রবর্মার মনের উদ্বেগজনিত ভাব প্রকাশ পেয়েছে।
বৈবস্বত নগরের রাজা ইন্দ্রবর্মা প্রেমিকা কনকলেখার গভীর প্রেমে আসক্ত। তিনিই হবেন রাজার ভাবী স্ত্রী, কিন্তু তখন তাঁদের শুভ পরিণয়ের চারটি দিন বাকি ছিল।
তাই আকাঙ্খিত দিন কতক্ষণে উপস্থিত হবে তার জন্য রাজার দৈন্যপীড়িত মন অর্থাৎ প্রেমিকাকে একান্তভাবে না পাওয়ার অভাবের যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট। তার ওপর প্রকৃতির বুকে বসন্ত ঋতুর আগমনে ছিল কোকিলের কুহু কুজন। এতে মদনশরে আক্রান্ত রাজার মন বেশি করে অস্থির হয়ে পড়েছিল।
সেই সময় তিথি অনুযায়ী আকাশে ছিল ক্ষীয়মান চাঁদ। যত তাড়াতাড়ি রাতের আকাশের চাঁদ অদৃশ্য হবে তত তাড়াতাড়ি কাঙ্খিত সময় উপস্থিত হবে।
কিন্তু রাজা যেন চাঁদকে বাস্তবে দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হতে দেখছিলেন না। তাই রাজার চোখে চাঁদ ছিল ‘নিঘৃণঃ’ অর্থাৎ নিষ্ঠুর। যত তাড়াতাড়ি চারটি দিন অতিবাহিত হয়ে কাঙ্খিত অমাবস্যা উপস্থিত হবে।
রাজাও দ্রুত তার মনের সঙ্গীকে বিবাহ মহোৎসবের মিলনক্ষেত্রে পাবেন। কিন্তু রাজার কাছে সময় যেন অচল হয়ে পড়েছিল, কিছুতেই কাটছিল না।
আর এক-একটি ক্ষণ যেন রাজার কাছে এক-একটি যুগ হয়ে উপস্থিত হচ্ছিল। আসলে কাস্খিত বস্তুকে না পাওয়ার জন্য রাজার মনের এই অবস্থা হয়েছিল।
বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাটক হতে বড় প্রশ্ন ও উত্তরগুলি দেখুন
- রাজা ও কৌমুদীর কথোপকথন
- কৌমুদীর চরিত্র
- বাসন্তিকস্বপ্নম নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজা ইন্দ্রবর্মার মনোভাবনা
- রাজা ইন্দ্রবর্মার চরিত্র
- বাসন্তিকস্বপ্নম্ নাট্যাংশের নামকরণের সার্থকতা
- রাজা ইন্দ্রবর্মা ও কৌমুদীর কথোপকথন