মেঘদূত পাঠ‍্যাংশ অনুসারে বিরহী যক্ষের চরিত্র বর্ণনা

একাদশ শ্রেণীর সংস্কৃত মেঘদূত পাঠ‍্যাংশ অনুসারে বিরহী যক্ষের চরিত্র বর্ণনা করা হল ।

মেঘদূত পাঠ‍্যাংশ অনুসারে বিরহী যক্ষের চরিত্র বর্ণনা কর


উঃ- ভূমিকাঃ- সংস্কৃত সাহিত্যের অমর সৃষ্টি মহাকবি কালিদাস রচিত মেঘদুত গীতিকাব্যটি -এই কাব্যে কবি তাঁর অন্তরের বেদনাকে ভাষার মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচিত হয়েছে মেঘদূত কাব‍্যে প্রথম খণ্ড পূর্বমেঘ হতে আমাদের পাঠ‍্যাংশটি গৃহিত হয়েছে। এখানে যক্ষের চরিত্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

অভিশপ্ত যক্ষ

নিজ কর্তব্য অবহেলার জন্য এক বছরের জন্য রামগিরি পর্বত এর আশ্রমে কুবেরের অভিশাপে প্রিয়াহীন অবস্থায় বসবাস করছিলেন।

বিরহকাতর যক্ষ

অভিশাপ এর ফলে প্রিয়া হীন অবস্থায় রামগিরি পর্বতে বাস করায় প্রিয়া বিরহে তার শরীর অত্যন্ত শীর্ণ হয়েছে। হাত থেকে সোনার বলয় খসে পড়েছে।

প্রেমিক যক্ষ

যক্ষ ছিল প্রকৃত প্রেমিক। তার পত্নী বিচ্ছেদ তাকে ভীষণ ভাবে আঘাত করে।আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে আকাশে মেঘ দেখে হৃদয়ে অশ্রুকে সংবরণ করে চেতন-অচেতন জ্ঞান লুপ্ত হয়ে মেঘকে আহ্বান জানিয়েছেন।এখানে যক্ষকে কবি কালিদাস প্রেমিক পুরুষ রূপে দেখিয়েছেন। কেননা উন্মাদ ও কামার্ত চেতন-অচেতনে ভেদাভেদ করতে পারে না।

আশাবাদী যক্ষ

যক্ষ ফুলের অর্ঘ্য সাজিয়ে মেঘকে স্বাগত জানিয়ে মেঘের প্রশংসা জানিয়েছেন -“জাতম্ বংশে ভুবনবিদিতে পুষ্করাবর্তকানাং অর্থাৎ তুমি ভুবন বিখ্যাত পুষ্কর ও আবর্তক বংশে জন্মগ্রহণ করেছ। অবশেষে যক্ষ নিজ পত্নীকে মেঘের ভাতৃ বধু রূপে স্থান দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করেছিল।

উপসংহার

মেঘদূত’ এক বিশ্বজনীন বিরহ গীতিকাব্য। এখানে কবি যেন যক্ষ। কবি কালিদাস জীবনের অনুভূতিকে যক্ষের মাধ‍্যমে জগতের কাছে প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলা যায়-

“জগতে দুপারে দুজন

প্রাণে প্রাণে পড়ে টান

মাঝে মহা ব‍্যবধান

মনে মনে কল্পনা সৃজন।।”

Comments