তর্কসংগ্রহহতে কেবল অন্বয়ীহেতু ও কেবলব্যাতিরেকী হেতুর পার্থক্য লিখ।
কেবল অন্বয়ীহেতু ও কেবলব্যাতিরেকী হেতুর র্থক্য – তর্কসংগ্রহ
উ:- নৈয়ায়িকদের মতানুসারে অনুমানকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা সাধ্য, পক্ষ, হেতু বা লিঙ্গ।
এই তিন প্রকার অনুমানের মধ্যে লিঙ্গ বা হেতু অন্যতম। লিঙ্গ তিন প্রকার- অন্বয়ী ব্যতিরেকী, কেবলান্বয়ী, কেবলব্যাতিরেকী।
তাই অন্নংভট্ট বলেছেন-
“লিঙ্গং ত্রিবিধম্।
অন্বয় ব্যাতিরেকী কেবলান্বয়ি কেবল ব্যাতিরেকী চেতি” । কেবলান্বয়ীহেতু ও কেবলব্যাতিরেকী হেতুর মধ্যে বিশেষ কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে-
কেবল অন্বয়ীহেতু ও কেবলব্যাতিরেকী হেতু পার্থক্য
- i) যে হেতুর সঙ্গে সাধ্যের কেবল অন্বয় ব্যাপ্তি থাকে, ব্যাতিরেক ব্যাপ্তির দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না সেই হেতুকে কেবলান্বয়ি বলা হয়।
অপরদিকে যে হেতুর মধ্যে অন্বয় ব্যাপ্তির দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না, কেবলমাত্র ব্যাতিরেক ব্যাপ্তি দৃষ্ট হয় সেই হেতুকে কেবল ব্যতিরেকী বলে। - ii) কেবলান্বয়ি হেতুর লক্ষণ প্রসঙ্গে তর্কসংগ্রহ কার আচার্য অন্নংভট্ট বলেছেন- “অন্বয়মাত্রব্যাপ্তিকং কেবলান্বয়ি’।
অপরদিকে কেবল ব্যতিরেকী হেতুর লক্ষণ প্রসঙ্গেতর্কসংগ্রহকার আচার্য অন্নংভট্ট বলেছেন- “ব্যতিরেকমাত্রব্যাপ্তিকং কেবলব্যতিরেকি”। - iii) কেবলান্বয়ি হেতুর উদাহরণ হল- “ঘটোঅভিধেয়ঃ প্রমেয়ত্বাৎ পটবৎ। “
অপরদিকে, কেবলব্যতিরেকি হেতুর উদাহরণ হল- “পৃথিবীতরেভ্যো ভিদ্যতে গন্ধবত্ত্বাৎ, যদিতরেভ্যো ন ভিদ্যতে ন তদ্ গন্ধবৎ। “ - iv) যে পদার্থ অত্যন্তাভাবের অপ্রতিযোগী হয় অর্থাৎ অত্যন্তাভাব হয়না তাকেই কেবলান্বয়ী বলে।
অপরদিকে যে পদার্থ অত্যন্তাভাবের প্রতিযোগী হয় অর্থাৎ যার অত্যন্তাভাব হয় তাকেই কেবল ব্যতিরেকী হেতু বলে। - v) সাধ্য ‘অভিধেয়ত্ব’ ও হেতু প্রমেয়ত্ব এর অভাবের দৃষ্টান্ত সম্ভব না হওয়ায় হেতুটিকে কেবলান্বয়ি বলা হয়েছে।
অপরদিকে, সাধ্য অভিধেয়ত্ব ও হেতু প্রমেয়ত্ব এর অভাবের দৃষ্টান্ত সম্ভব হওয়ায় হেতুটিকে কেবলব্যতিরেকী হেতু বলা হয়েছে।
Comments