উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ :- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে কর্মকারক বিধায়ক বিধায়ক সূত্র এটি। এটি কারকের অধিকার সূত্রের অন্তর্গত। ‘আধারোঅধিকরণম্’ এই সূত্র থেকে আধার পদটির এবং ‘অধিশীঙস্থাসাং কর্ম’ – সূত্র থেকে কর্মপদের অনুবৃত্তি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ভট্টোজি দীক্ষিত বলেছেন- ‘উপাদি পূর্বস্য বসতেরাধারঃ কর্ম স্যাৎ’। অর্থাৎ উপ, অনু, অধি, আ-পূর্বক বস্ ধাতুর আধার কর্মসংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। এখানে আদি পদের দ্বারা উপ, অনু, অধি এবং আঙ্ এই উপসর্গগুলির গ্রহণ বুজতে হবে।
যেমন-
- i) বৈকুন্ঠং হরিঃ উপবসতি
- ii) বৈকুন্ঠং হরিঃ অনুবসতি
- iii) বৈকুন্ঠং হরিঃ অধিবসতি
- iv) বৈকুন্ঠং হরিঃ আবসতি
অর্থাৎ হরি বৈকুন্ঠে বাস করে এটাই বাক্যার্থ। আবার বার্তিকানুসারে ‘অভূক্ত্যর্থস্য ন’ অর্থাৎ অভূক্তি বা উপবাস বোঝালে উপ-বস্ যোগে আধার কর্ম সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয় না। যেমন- ‘বনে উপবসতি’।
কিন্তু একাদশীম্ উপবসতি এই বাক্যে ভোজন নিবৃত্ত অর্থ প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও আধার না হয়ে কিভাবে কর্ম প্রয়োগ হল? এর উত্তরে বলা যায় যে ‘কালাধ্বনোরত্যন্তসংযোগে’ এই সূত্রানুসারে এখানে ব্যাপ্তার্থে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
এটাই সূত্রের মূল অর্থ।