কালিদাস রচিত মেঘদূত টীকা লেখ
মেঘদূত
ভূমিকা
ভারতের সংস্কৃত সাহিত্যের আকাশে অবস্থিত জ্যোতিষ্ক স্বরূপ হলেন মহাকবি কালিদাস।
কালিদাসের অনুপম সৃষ্টি মেঘদূত গীতিকাব্য।এই কাব্যটি প্রেমমূলক গীতিকাব্যের হিসাবে বিশ্ববন্দিত।
মেঘদূত কাব্যের বিবরণ
মহাকবি কালিদাস মন্দাক্রান্তা ছন্দে রচনা করেছেন মেঘদূত গীতিকাব্য। প্রেম মূলক এই গীতিকাব্য টি পূর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ নামে দুই অংশে বিভক্ত।
পূর্বমেঘ :
কর্তব্য অবহেলা করার জন্য কুবেরের অভিশাপে রামগিরি পর্বতে এক বছরের জন্য নির্বাসিত হয় কোন একজন যক্ষ।প্রিয়া বিরহে অত্যন্ত কাতর হয়ে আষাঢ় মাসের প্রথম দিবসে আকাশে মেঘ সঞ্চার হলে যক্ষের বিরহ বেদনা শত গুণ বৃদ্ধি পায়। তখন মেঘ গিয়ে তিনি অনুরোধ করেন প্রিয়ার কাছে তার আশ্বাসবাণী পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এরপর কবি পথের বর্ণনা দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে বিভিন্ন নদ নদী পর্বত নগরী।
উত্তর মেঘ:
উত্তর মেঘে কালিদাস অলকাপুরী বর্ণনা দিয়েছেন। এই অলকাপুরী সৌন্দর্যে ও মাধুর্যে ভরপুর। অলকাপুরী দুঃখের কোন স্থান নেই তবুও যক্ষ প্রিয়ার দুঃখের কোন শেষ নেই।শেষ পর্যন্ত মিলনের আভাস বা বিরহের পরিসমাপ্তির সূচনার আভাস দিয়ে মেঘদূত’ কাব্যের পরিসমাপ্তি।
মূল্যায়ন:
মেঘদূত জনপ্রিয়তা প্রাচীন কাল হতে তাই সংস্কৃত সাহিত্যের স্থান উল্লেখযোগ্য। ভাষা ও রস গভীরতা মেঘদুত প্রত্যেক বিরহী হৃদয় উদ্বেলিত করে। বর্তমান সমাজ জীবনে মেঘদূত’ কাব্যের প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই।