পূজিতাশ্চার্থমান্যভ্যাং রাজ্ঞরাজোপজীবিণাম্। জানীয়ুঃ শৌচমিত্যেতাঃ পঞ্চ সংস্থাঃ প্রকীর্ত্তিতাঃ।।
অর্থশাস্ত্র হতে ব্যাখ্যা – 6
৬) পূজিতাশ্চার্থমান্যভ্যাং রাজ্ঞরাজোপজীবিণাম্।
জানীয়ুঃ শৌচমিত্যেতাঃ পঞ্চ সংস্থাঃ প্রকীর্ত্তিতাঃ।।
অনুবাদ:-
অর্থ ও সম্মান দ্বারা রাজাকর্ত্তৃক সম্মানিত গুরুপুরুষগণ অমাত্যাদি রাজোপজীবি দিগের শৌচ পরীক্ষা করে জানবেন। কাপটিক প্রভৃতি পাঁচ প্রকার সংস্থ নামে পরিচিত।
উৎস:-
আলোচ্য শ্লোকটি মহামতি কৌটিল্য প্রণীত অর্থশাস্ত্রের প্রথমাধিকরণের অন্তর্গত গূঢ়পুরুষোৎপত্তিঃ নামক একাদশ অধ্যায় থেকে সংগৃহীত। এখানে আচার্য কৌটিল্য গূঢ়পুরুষগণের অর্থাৎ গুপ্তচরগণের গুনাবলী বর্ণনার পর তাদের মাধ্যমে অমাত্য প্রভৃতি রাজকর্মচারীগণের শুদ্ধতা বিষয়ে অবগত হওয়ার কথা বলেছেন।
ব্যাখ্যা
রাজার প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করার জন্য গুপ্তচরগন একই স্থানে অবস্থান করেন বলে তাদের সংস্থ বলা হয়। “সম্যক্ একস্মিন্ স্থানে স্থিতাঃ সংস্থাঃ।” পাঁচ প্রকার গুপ্তচরগণ একই স্থানে থেকে রাজকার্য সাধন করে। তারা অন্যত্র বিচরন করেন না। কিন্তু সত্রী, তীক্ষ্ণ রসদ ও ভিক্ষুকী প্রভৃতি গুপ্তচরগন ইষ্টসাধনের জন্য বিভিন্ন স্থানে বিচরন করে থাকেন সংস্থ এর অন্তর্গত পাঁচ প্রকার গুপ্তচরেরা হলেন- কাপটিক ব্যঞ্জন, উদাস্থিত ব্যঞ্জন, গৃহপতি ব্যঞ্জন, বৈদেহক ব্যঞ্জন ও তাপস ব্যঞ্জন নামক গূঢ়পুরুষ। রাজা এই পাঁচ প্রকার সংস্থ গুপ্তচরদের প্রভূত অর্থ ও সম্মান দান করে রাজোপজীবি অর্থাৎ অমাত্য প্রভৃতি রাজকর্মচারীগণের শৌচাশৌচ সম্বন্ধে অবগত হবেন। রাজা এভাবে গুপ্তচরদের মাধ্যমে রাজকর্মচারীগণের মনোভাব বুঝে থাকেন।