ক্রিয়ার্থোপপদস্য চ কর্মণি স্থানিন :-আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণের অন্তর্গত সম্প্রদান কারক বিধায়ক সূত্র এটি। এর সাধারন অর্থ হল-
” ক্রিয়ার্থা ক্রিয়া উপপদং যস্য তস্য স্থানিনঃ অপ্রযুজ্যমানস্য তুমুনঃ, কর্মণি চতুর্থী স্যাৎ।”
যে ক্রিয়ার সমীপে তদ্ উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত কোনো ক্রিয়া যদি উক্ত হয় এবং তা যদি উহ্য হয় তবে তার কর্মে চতুর্থী বিভক্তি হয়ে থাকে(সম্প্রদানে)।
সূত্রের মধ্যে ক্রিয়ার্থক পদ শব্দের অর্থ হল তুমুন্ প্রত্যয়ান্ত ক্রিয়া। যেমন- আহর্তুম্। কোনো একটি ক্রিয়া বা কর্মের প্রয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় যে ক্রিয়া তাকেই বলা হয় ক্রিয়ার্থাক্রিয়া। যেমন- আহর্তুং যাতি। এই বাক্যে যাতি ক্রিয়াটি ক্রিয়ার্থা ক্রিয়া।
কারণ আহরন ক্রিয়ার জন্যই গমন ক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে গমন করা হল ক্রিয়া, আর আহরন করা হল ক্রিয়া আহরনই হল গ্রহণের ফল বা উদ্দেশ্য। এই ক্রিয়ার্থা ক্রিয়া উপপদ যার অর্থাৎ যে পদের সমীপে এই ক্রিয়া উচ্চারিত হয়, তাকে যাতি হল ক্রিয়ার্থা ক্রিয়া আর আহর্তুম্, হল ক্রিয়ার্থক পদ। আর স্থানিনঃ শব্দের অর্থ হল যার স্থান আছে অথচ নেই অর্থাৎ যে শব্দটি বাক্যের মধ্যে উহ্য থাকে।
এই উহ্য ক্রিয়ার যে কর্ম তাতে হবে চতুর্থী বিভক্তি। এর উদাহরণ হল- বালকঃ ফলেভ্যঃ যাতি। এই বাক্যের অর্থ হল -ফল আহরণ করতে যাচ্ছে। এখানে আহরন করা পদটি উহ্য আছে। তা হল আহর্তুম্। এটি তুমুন্ প্রত্যয়ান্ত ক্রিয়া। এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কী আহরন করতে যাচ্ছে? তবে উত্তর পাব ফল অর্থাৎ কর্ম। এই কর্মে চতুর্থী বিভক্তি হয়েছে।
তাদর্থ্যে চতুর্থী- এর মত এই উদাহরণটিতেও উপকার্য ও উপকারক ভাব আছে। কিন্তু তাদর্থ্যে চতুর্থী এই সূত্রে উপকার্যে চতুর্থী বিভক্তি হয়। কিন্তু আলোচ্য সূত্রে উপকার্যের কর্মে চতুর্থী বিভক্তি হবে এটাই হল পার্থক্য।
তাই যেখানে উহ্য তুমুন্ ক্রিয়ার অস্তিত্ব অনায়াসেই প্রতীতি হবে সেখানে আমরা তুমর্থে কর্মণি চতুর্থী করব। আর যেখানে উহ্য তুমুন্ ক্রিয়ার অস্তিত্ব থাকবে না, সেখানে তাদর্থ্যে চতুর্থী করব।
এটাই হল সূত্রটির অর্থ।