হেতৌ:- আচার্য ভট্টোজি দীক্ষিত কৃত বৈয়াকরণ সিদ্ধান্তকৌমুদী গ্রন্থের কারক প্রকরণে করণ কারক বিধায়ক সূত্র এটি। সূত্রটির অর্থ হল-” হেত্বর্থে তৃতীয়া স্যাৎ। দ্রব্যাদি সাধারনং নির্ব্যাপারসাধারণঞ্চ হেতুত্বম্। করণত্বং তু ক্রিয়ামাত্র বিষয়ং ব্যাপারনিয়তঞ্চ।” অর্থাৎ হেতুবাচক শব্দে তৃতীয়া বিভক্তি তৃতীয়া বিভক্তি হয়। এই হেতৌ তৃতীয়া আলোচনা করতে গিয়ে দীক্ষিত করণ ও হেতুর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করেছেন। হেতু ও করণ যেহেতু উভয়ই কারণ তাই উভয়ের মধ্যে ফলোৎপাদন যোগ্যতা বর্তমান। উভয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয়া বিভক্তি হয়ে থাকে। তাহলে এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
এর উত্তরে দীক্ষিত বলেছেন- ‘দ্রব্যাদিসাধারণম্……ইত্যাদি। ‘ হেতুরূপ কারণের কার্য বা ফল তিন প্রকার হয়ে থাকে,
- ১) দ্রব্য,
- ২) গুন
- ৩) ক্রিয়া।
কিন্তু করণ রূপ কারণের একমাত্র কার্য বা ফল হল ক্রিয়া।
হেতুতে কারণটি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় দুই-ই হতে পারে কিন্তু করণের ক্ষেত্রে কারণ শুধুমাত্র সক্রিয়। হেতুর উদাহরণ হল-
- i) দণ্ডেন ঘটঃ,
- ii) বিদ্যয়া যশঃ,
- iii) পুণ্যেন দৃষ্টো হরিঃ।
এখানে দণ্ড,বিদ্যা,পুণ্য হল কারণ অর্থাৎ হেতু। এদের কার্য হল যথাক্রমে – ঘট (দ্রব্য), যশ(গুন) হরি দর্শন( ক্রিয়া)। ঘট উৎপাদনের ক্ষেত্রে দণ্ড ক্রিয়া প্রত্যক্ষ হয়, অতএব, দণ্ড হল সব্যাপার বা সক্রিয়। এবং যশলাভের ক্ষেত্রে বিদ্যার ও হরি দর্শনের ক্ষেত্রে পুণ্যের সচেষ্টতা পরিলক্ষিত হয় না। অতএব, বিদ্যা ও পুণ্য হল নির্ব্যাপার বা নিষ্ক্রিয়।
করণের উদাহরণ হল দন্ডেন ঘটং করোতি। এই বাক্যে দণ্ড করণ অর্থাৎ কারণ এবং কার্য হল নির্মান ক্রিয়া। দণ্ড হল সব্যাপার বা সক্রিয় কারণ ঘট নির্মাণে দণ্ডের হস্ত সঞ্চারন প্রত্যক্ষ হয়। তাই দণ্ড এখানে করণ, তাই এটিতে করণে তৃতীয়া হয়েছে।
দীক্ষিতের মতে, হেতু শুধু কারণ নয়, কার্যও হয়ে থাকে। কেননা অধ্যয়নেন বসতি- এই উ